Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনসহ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সংস্কার শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। তাছাড়াও বিতর্কিতদের সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছি আমরা।

শনিবার (২৪ মে) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র চাই এবং সাংবিধানিক অধিকার চাই। আর সেজন্যই আমরা বারবার নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছি। আর এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি, এমনকি এখন পর্যন্তও চাচ্ছি না। কিন্তু উনার কাছে আমরা একটি রোডম্যাপ দাবি করেছি।

ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী ব্যক্তিগতভাবে এবং পারিবারিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। তাই আওয়ামী লীগের বিচার সবচেয়ে বেশি দাবি করে বিএনপি। ফলে এই সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিচার অসম্পন্ন থাকলে বিএনপি ক্ষমতা গেলে স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করবে।

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম অবিলম্বে শেষ করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি বিএনপি জানিয়েছে বলেও জানান মোশাররফ।

তিনি বলেন, আমাদেরকে আলোচনা বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। আমরা যা অনুমান করেছিলাম তার ওপর ভিত্তি করে একটা লিখিত বক্তব্য নিয়ে এসেছিলাম। সেটা প্রধান উপদেষ্টাকে দিয়েছি। সেই ভিত্তিতে আলোচনা করেছি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা। যেকোনো উছিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে আমরা মনে করি জাতির কাছে আবার স্বৈরাচার পুনরায় ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ওপর বর্তাবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের লক্ষ্যে বিএনপি প্রথম থেকেই একটি সুস্পষ্ট জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে আসছে।

বিএনপির নেতাদের মামলার বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা বলেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে আমরা এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি বিক্ষুব্ধ। আমরা সেই স্বৈরাচারী সরকারের কর্তাব্যক্তিদের যারা দায়ী, তাদের বিচার চাই। এ জন্য আমরা স্বাধীন বিচারব্যবস্থা চাই, যারা এই বিচার সম্পন্ন করবে।

বিচারব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য আমরা স্বাধীন বিচারব্যবস্থা চাই, যারা এই বিচার সম্পন্ন করবে। আমরা বলেছি, যেসব বিচার সম্পন্ন না হবে, যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায়, তাহলে তাদের বিচারের আওতায় এনে স্বাধীন বিচারব্যস্থার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।

নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের তাগিদ দিয়ে মোশাররফ বলেন, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম অবিলম্বে সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত একটি রোডম্যাপ প্রদানের দাবি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা। যে কোনো উছিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে, আমরা মনে করি জাতির কাছে আবার স্বৈরাচার ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এর দায় বর্তমান সরকার এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ওপর বর্তাবে।

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ইস্যুতে স্পষ্ট করে মোশাররফ বলেন, সম্প্রতি নানা গুজব আছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে বলেছি যে বিএনপি কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি, বরং প্রথম দিন থেকেই এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ বলেন, আমাদের আলোচনার মধ্যে আসছে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন-মূলত এই তিনটি বিষয়। আমরা বলেছি একটার সঙ্গে আরেকটার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ সংস্কার চলমান বিষয়। এটা চলতেই থাকবে। আমরা আশা করেছি এই সরকার সবার সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব দেবে এবং তা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবে। আর ভবিষ্যতে জনগণ যদি আমাদের ক্ষমতায় বসায়, আমরা সেই সংস্কার বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেব। আর বিচারব্যবস্থা স্বাধীন, এটাও কোনো নির্দিষ্ট দিন-তারিখ দিয়ে ঠিক করা যায় না। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তৃণমূল পর্যন্ত আমাদের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি বিক্ষুব্ধ। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্তাব্যক্তিদের বিচার চাই। আমরা তো বিচারের পক্ষেই।

নির্বাচনী রোডম্যাপ বিষয়ে কোনো আশ্বাস পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে, সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, এরকম কথা হয় নাই। উনি স্পেসিফিক কিছু জানান নাই। আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি। হয়তো উনারা তাদের প্রেসের মাধ্যমে জানাবেন। সেজন্য আমরা অপেক্ষা করব।

বৈঠক নিয়ে বিএনপি সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে, সালাহ উদ্দিন বলেন, এখনই প্রতিক্রিয়া জানানোর দরকার নাই। উনারা প্রেস সেকশন থেকে কি বলেন, সেটা আগে শুনি। তারপর প্রতিক্রিয়া দেব।

এই পর্যায়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আলোচনায় যোগ করে বলেন, মূলত সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন-এই তিনটার ওপর আলোচনা হয়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে আমরা পরিষ্কার, এবং উনারাও একমত হয়েছেন যে সংস্কার ঐক্যমতের ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে এবং তা খুব দ্রুত করা সম্ভব। বিচারব্যবস্থা বিচার বিভাগ করবে এবং বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে দ্বিমত নেই। ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব-এ আলোচনাও হয়েছে।

উপদেষ্টাদের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও দুজন ছাত্র উপদেষ্টা, যাদের কারণে এই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তাদের বাদ দেওয়ার জন্য লিখিত দিয়েছি, মুখেও বলেছি।

এই বিষয়ে সরকার কোনো আশ্বাস দিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা বলেছেন, তারা দেখবেন। আমরা আমাদেরটা বলেছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনসহ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সংস্কার শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। তাছাড়াও বিতর্কিতদের সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছি আমরা।

শনিবার (২৪ মে) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র চাই এবং সাংবিধানিক অধিকার চাই। আর সেজন্যই আমরা বারবার নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছি। আর এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি, এমনকি এখন পর্যন্তও চাচ্ছি না। কিন্তু উনার কাছে আমরা একটি রোডম্যাপ দাবি করেছি।

ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী ব্যক্তিগতভাবে এবং পারিবারিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। তাই আওয়ামী লীগের বিচার সবচেয়ে বেশি দাবি করে বিএনপি। ফলে এই সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিচার অসম্পন্ন থাকলে বিএনপি ক্ষমতা গেলে স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করবে।

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম অবিলম্বে শেষ করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি বিএনপি জানিয়েছে বলেও জানান মোশাররফ।

তিনি বলেন, আমাদেরকে আলোচনা বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। আমরা যা অনুমান করেছিলাম তার ওপর ভিত্তি করে একটা লিখিত বক্তব্য নিয়ে এসেছিলাম। সেটা প্রধান উপদেষ্টাকে দিয়েছি। সেই ভিত্তিতে আলোচনা করেছি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা। যেকোনো উছিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে আমরা মনে করি জাতির কাছে আবার স্বৈরাচার পুনরায় ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ওপর বর্তাবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের লক্ষ্যে বিএনপি প্রথম থেকেই একটি সুস্পষ্ট জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে আসছে।

বিএনপির নেতাদের মামলার বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা বলেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে আমরা এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি বিক্ষুব্ধ। আমরা সেই স্বৈরাচারী সরকারের কর্তাব্যক্তিদের যারা দায়ী, তাদের বিচার চাই। এ জন্য আমরা স্বাধীন বিচারব্যবস্থা চাই, যারা এই বিচার সম্পন্ন করবে।

বিচারব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য আমরা স্বাধীন বিচারব্যবস্থা চাই, যারা এই বিচার সম্পন্ন করবে। আমরা বলেছি, যেসব বিচার সম্পন্ন না হবে, যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায়, তাহলে তাদের বিচারের আওতায় এনে স্বাধীন বিচারব্যস্থার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।

নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের তাগিদ দিয়ে মোশাররফ বলেন, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম অবিলম্বে সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত একটি রোডম্যাপ প্রদানের দাবি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা। যে কোনো উছিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে, আমরা মনে করি জাতির কাছে আবার স্বৈরাচার ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এর দায় বর্তমান সরকার এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ওপর বর্তাবে।

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ইস্যুতে স্পষ্ট করে মোশাররফ বলেন, সম্প্রতি নানা গুজব আছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে বলেছি যে বিএনপি কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি, বরং প্রথম দিন থেকেই এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ বলেন, আমাদের আলোচনার মধ্যে আসছে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন-মূলত এই তিনটি বিষয়। আমরা বলেছি একটার সঙ্গে আরেকটার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ সংস্কার চলমান বিষয়। এটা চলতেই থাকবে। আমরা আশা করেছি এই সরকার সবার সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব দেবে এবং তা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবে। আর ভবিষ্যতে জনগণ যদি আমাদের ক্ষমতায় বসায়, আমরা সেই সংস্কার বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেব। আর বিচারব্যবস্থা স্বাধীন, এটাও কোনো নির্দিষ্ট দিন-তারিখ দিয়ে ঠিক করা যায় না। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তৃণমূল পর্যন্ত আমাদের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি বিক্ষুব্ধ। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্তাব্যক্তিদের বিচার চাই। আমরা তো বিচারের পক্ষেই।

নির্বাচনী রোডম্যাপ বিষয়ে কোনো আশ্বাস পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে, সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, এরকম কথা হয় নাই। উনি স্পেসিফিক কিছু জানান নাই। আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি। হয়তো উনারা তাদের প্রেসের মাধ্যমে জানাবেন। সেজন্য আমরা অপেক্ষা করব।

বৈঠক নিয়ে বিএনপি সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে, সালাহ উদ্দিন বলেন, এখনই প্রতিক্রিয়া জানানোর দরকার নাই। উনারা প্রেস সেকশন থেকে কি বলেন, সেটা আগে শুনি। তারপর প্রতিক্রিয়া দেব।

এই পর্যায়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আলোচনায় যোগ করে বলেন, মূলত সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন-এই তিনটার ওপর আলোচনা হয়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে আমরা পরিষ্কার, এবং উনারাও একমত হয়েছেন যে সংস্কার ঐক্যমতের ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে এবং তা খুব দ্রুত করা সম্ভব। বিচারব্যবস্থা বিচার বিভাগ করবে এবং বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে দ্বিমত নেই। ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব-এ আলোচনাও হয়েছে।

উপদেষ্টাদের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও দুজন ছাত্র উপদেষ্টা, যাদের কারণে এই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তাদের বাদ দেওয়ার জন্য লিখিত দিয়েছি, মুখেও বলেছি।

এই বিষয়ে সরকার কোনো আশ্বাস দিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা বলেছেন, তারা দেখবেন। আমরা আমাদেরটা বলেছি।