Dhaka রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরায় ট্রেনের ধাক্কায় দুই পোশাককর্মীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (৩৪) ও অন্তরা (২২) নামে দুই পোশাককর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল ইসলাম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম অনন্তপুর গ্রামের নূরনবীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের টঙ্গি এলাকায় থাকতেন এবং ‘তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’-এ কোয়ালিটি সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত অপরজন অন্তরা একই প্রতিষ্ঠানের কর্মী, তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়।

ঢাকা রেলওয়ে থানার বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তারা রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন। এসময় পেছন থেকে আসা ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেন তাদের ধাক্কা দেয়। এতে দুজনই গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে নাজমুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাত ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে অন্তরাও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পুলিশ জানায়, অন্তরার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নাজমুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত নাজমুলের ভাতিজা সাকিব আলম জানান, তার চাচার অফিসের পাশেই রেললাইন। রাতে অফিস থেকে বের হয়ে রেললাইন দিয়ে হেঁটে বাসায় যাওয়ার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার ও সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উত্তরায় ট্রেনের ধাক্কায় দুই পোশাককর্মীর মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (৩৪) ও অন্তরা (২২) নামে দুই পোশাককর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল ইসলাম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম অনন্তপুর গ্রামের নূরনবীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের টঙ্গি এলাকায় থাকতেন এবং ‘তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’-এ কোয়ালিটি সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত অপরজন অন্তরা একই প্রতিষ্ঠানের কর্মী, তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়।

ঢাকা রেলওয়ে থানার বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তারা রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন। এসময় পেছন থেকে আসা ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেন তাদের ধাক্কা দেয়। এতে দুজনই গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে নাজমুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাত ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে অন্তরাও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পুলিশ জানায়, অন্তরার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নাজমুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত নাজমুলের ভাতিজা সাকিব আলম জানান, তার চাচার অফিসের পাশেই রেললাইন। রাতে অফিস থেকে বের হয়ে রেললাইন দিয়ে হেঁটে বাসায় যাওয়ার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার ও সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।