Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে গেল ভারতের কাছে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল, সেমিফাইনালও নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। সেভাবে কারও তেমন কিছু হারানোর নেই বলে কলকাতায় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াইটি হওয়ার কথা ছিল নকআউটের আগে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার। কিন্তু সেটি হলো বড়ই একপেশে। ১ নম্বর দল ভারত ম্যাচটি জিতেছে ২৪৩ রানের ব্যবধানে! বিরাট কোহলির রেকর্ড ছোঁয়া শতকের পর ৩২৬ রান তুলেছিল ভারত, রবীন্দ্র জাদেজার ৫ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গেছে ৮৩ রানেই। বিশ্বকাপে এটিই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। ফলে ভারত জিতল টানা আটটি ম্যাচ, অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের পর দক্ষিণ আফ্রিকা হারল প্রথমবার। দুটিই আবার রান তাড়া করতে নেমে।

ভারতের দেওয়া ৩২৭ রানে লক্ষ্যে প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাটে আসে কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৬ রানে ৫ করে সাজঘরে ফেরেন ডি কক। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক টেম্বাও। আউট হবার আগে ১১ রান করেন তিনি।

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরা প্রোটিয়াদের তৃতীয় উইকেটে ধাক্কা সামাল দেবার চেষ্টা করেন এইডেন মার্করাম ও রাসি ফন ডার ডুসেন। তবে বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেনি এই জুটি। ১৩ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৩৫ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেণ মার্করাম। এরপর ৫ রানের ব্যবধানে আরও দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায় বাভুমার দল। পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানেই গুটিয়ে যায়। ভারতের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা।

এর আগে টসে জিতে ইডেনে ব্যাট করতে নেমেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই দলীয় অর্ধশতক পূরণ করেন রোহিত শর্মা ও গুভমান গিল। লুঙ্গি এঙ্গিডি ও মার্কো ইয়ানসেনের উপর প্রথম ওভার থেকেই চড়াও হন দুই ভারতীয় ওপেনার। তবে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে কাগিসো রাবাদা এসেই বিধ্বংসী জুটি ভাঙেন। ২৪ বলে ৪০ রান করা ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফিরিয়ে প্রোটিয়া শিবিরে স্বস্তি এনে দেন রাবাদা। এরপর ক্রিজে নামেন বিরাট কোহলি। পাওয়ার প্লেতে রোহিত আউট হলেও রানের চাকা সচল রাখেন গিল ও কোহলি।

প্রথম দশ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান তুলে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা। তবে ১১তম ওভারে কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন গিল। দলীয় ৯৩ রানে দুই উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার। মিডেল ওভারে প্রোটিয়া বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টপ অর্ডার ব্যাটার। দুজনে মিলে ১৩৪ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন। ৮৭ সালে ৭৭ রান করে নিশ্চিত শতক বঞ্চিত হয়ে দলীয় ২২৭ রানে ৩৭তম ওভারে সাজঘরে ফিরেন আইয়ার।

এরপর এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের জন্মদিনে ইতিহাস রচনা করেন বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপে আজ নিজেদের অষ্টম ম্যাচ খেলতে নামার আগে ওয়ানডেতে কোহলির শতকের সংখ্যা ছিল ৪৮টি। কলকাতায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ৪৯ তম ওভারে ক্যারিয়ারের ৪৯তম শতক হাঁকিয়ে ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন টেন্ডুল্কারকে ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট।

শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজার ১৫ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় ভারত। নির্ধারিত ৫০ ওভারে কোহলির রেকর্ডগড়া শতকে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ১০১ রান করেন কোহলি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে গেল ভারতের কাছে

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল, সেমিফাইনালও নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। সেভাবে কারও তেমন কিছু হারানোর নেই বলে কলকাতায় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াইটি হওয়ার কথা ছিল নকআউটের আগে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার। কিন্তু সেটি হলো বড়ই একপেশে। ১ নম্বর দল ভারত ম্যাচটি জিতেছে ২৪৩ রানের ব্যবধানে! বিরাট কোহলির রেকর্ড ছোঁয়া শতকের পর ৩২৬ রান তুলেছিল ভারত, রবীন্দ্র জাদেজার ৫ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গেছে ৮৩ রানেই। বিশ্বকাপে এটিই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। ফলে ভারত জিতল টানা আটটি ম্যাচ, অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের পর দক্ষিণ আফ্রিকা হারল প্রথমবার। দুটিই আবার রান তাড়া করতে নেমে।

ভারতের দেওয়া ৩২৭ রানে লক্ষ্যে প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাটে আসে কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৬ রানে ৫ করে সাজঘরে ফেরেন ডি কক। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক টেম্বাও। আউট হবার আগে ১১ রান করেন তিনি।

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরা প্রোটিয়াদের তৃতীয় উইকেটে ধাক্কা সামাল দেবার চেষ্টা করেন এইডেন মার্করাম ও রাসি ফন ডার ডুসেন। তবে বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেনি এই জুটি। ১৩ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৩৫ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেণ মার্করাম। এরপর ৫ রানের ব্যবধানে আরও দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায় বাভুমার দল। পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানেই গুটিয়ে যায়। ভারতের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা।

এর আগে টসে জিতে ইডেনে ব্যাট করতে নেমেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই দলীয় অর্ধশতক পূরণ করেন রোহিত শর্মা ও গুভমান গিল। লুঙ্গি এঙ্গিডি ও মার্কো ইয়ানসেনের উপর প্রথম ওভার থেকেই চড়াও হন দুই ভারতীয় ওপেনার। তবে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে কাগিসো রাবাদা এসেই বিধ্বংসী জুটি ভাঙেন। ২৪ বলে ৪০ রান করা ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফিরিয়ে প্রোটিয়া শিবিরে স্বস্তি এনে দেন রাবাদা। এরপর ক্রিজে নামেন বিরাট কোহলি। পাওয়ার প্লেতে রোহিত আউট হলেও রানের চাকা সচল রাখেন গিল ও কোহলি।

প্রথম দশ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান তুলে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা। তবে ১১তম ওভারে কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন গিল। দলীয় ৯৩ রানে দুই উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার। মিডেল ওভারে প্রোটিয়া বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টপ অর্ডার ব্যাটার। দুজনে মিলে ১৩৪ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন। ৮৭ সালে ৭৭ রান করে নিশ্চিত শতক বঞ্চিত হয়ে দলীয় ২২৭ রানে ৩৭তম ওভারে সাজঘরে ফিরেন আইয়ার।

এরপর এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের জন্মদিনে ইতিহাস রচনা করেন বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপে আজ নিজেদের অষ্টম ম্যাচ খেলতে নামার আগে ওয়ানডেতে কোহলির শতকের সংখ্যা ছিল ৪৮টি। কলকাতায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ৪৯ তম ওভারে ক্যারিয়ারের ৪৯তম শতক হাঁকিয়ে ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন টেন্ডুল্কারকে ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট।

শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজার ১৫ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় ভারত। নির্ধারিত ৫০ ওভারে কোহলির রেকর্ডগড়া শতকে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ১০১ রান করেন কোহলি।