স্পোর্টস ডেস্ক :
গত বছর টেস্টে বেন স্টোকসের নেতৃত্বেই আলো ছড়িয়েছে ইংল্যান্ড। তাছাড়া গত অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরেকটি ফাইনালেও উপহার দিয়েছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। তবে গত গ্রীষ্মে টেস্টে তার নেতৃত্বে আসার পর ইংলিশদের ভাগ্য পুরোপুরি বদলে গেছে। ১২ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ১০ টিতেই। যার স্বীকৃতি দিয়েছে ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত খ্যাত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালম্যানাক। উইজডেনের এই বছরের সংস্করণে বেন স্টোকসকে বছরের পুরুষ লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড তথা শীর্ষ ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে।
চার বছরে তিন বার ব্যাট-বলে আলো ছড়ানোর স্বীকৃতি স্বরূপ এই সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। এর আগে জিতেছেন ২০২০ ও ২০২১ সালেও।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন অ্যালামনাক বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করে।
গত বছর ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব হাতে পাওয়ার পর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে জুটি বেঁধে টেস্ট ক্রিকেটে আমূল পরিবর্তন আনেন স্টোকস। সৃষ্টি হয় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার নতুন মন্ত্র ‘বাজবল’। বাজ অবশ্য ম্যাককালামের ডাক নাম। আগ্রাসী ক্রিকেটের সেই মন্ত্র মেনে এখন পর্যন্ত সফলই স্টোকস। তার নেতৃত্বে ১২ টেস্টের মধ্যে ১০টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। অথচ এর আগে ১৭ টেস্টের ভেতর কেবল একটিতে জিতেছিল দলটি। পুরো দলের সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের ভাগ্যটাও পরিবর্তন করে দেন স্টোকসবাহিনী।
নিউজিল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোসহ পাকিস্তানের মাটি থেকে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফেরে ইংল্যান্ড। এই সময়ের ভেতর ৪০ গড়ে ব্যাট করার পাশাপাশি ২৫.৬৬ গড়ে বোলিং করেছেন স্টোকস। শুধু তা-ই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেন ম্যাচজয়ী এক ইনিংস। বড় মঞ্চের খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত স্টোকসকে তাই দ্বিতীয় কোনো ভাবনা ছাড়াই লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে ঘোষণা করে উইজডেন। নারী ক্যাটাগরিতে একই পুরস্কার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি।
টি-টোয়েন্টিতে বছর জুড়ে আলো ছড়িয়ে স্বীকৃতি মিলেছে ভারতের সূর্যকুমার যাদবেররও। টি-টোয়েন্টির লিডিং ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন ভারতীয় এই ব্যাটার। গত বছর ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৮ ও ৪৯ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১৮৭ স্ট্রাইক রেটে ১ হাজার ১৬৪ রান তুলেছেন। তাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ব্যাটার হিসেবে হাজার রান নিয়ে বছর শেষ করার দুর্লভ কীর্তি গড়েছেন তিনি।
উইজডেনের বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের দলে অবশ্য জায়গা হয়নি তার। উইজডেনের বার্ষিক এই সম্মাননায় জায়গা হয়েছে টম ব্লান্ডেল, বেন ফোকস, হারমানপ্রীত কৌর, ড্যারিল মিচেল ও ম্যাথিউ পটসের।
টেস্টের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে এবারই প্রথম চালু হয়েছে উইজডেন ট্রফি। যার প্রথম বিজয়ী জনি বেয়ারস্টো! টেস্টে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ উত্থানের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। গত গ্রীষ্মে ৬৮১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।