নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশি মোটরসাইকেলে হয়ে থাকে, তাই ঈদে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুলিশ সদস্যদেরও মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে পবিত্র ঈদ উল-ফিতর উপলক্ষে শপিংমল ও বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে গত এক বছরে যত দুর্ঘটনা ঘটেছে তার অর্ধেকের বেশি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় আমাদের কী করতে হবে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা যারা ছুটিতে দূরদূরান্তে যাবেন, তাদেরকে আমরা নিরুৎসাহিত করিনি বরং নিষেধ করেছি, তারা কোনো অবস্থাতেই মোটরসাইকেল নিয়ে নিজের এলাকায় যেতে পারবেন না।
মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে পুলিশ সদস্যদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। অনেকের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে এ বিষয়ে, ঈদের সময় অনেক গাড়ির চাপ থাকে, কিছুটা দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকে। নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, তারা কী করবেন ভাবা উচিত। ছোট যানবাহন এড়িয়ে বড় যানবাহনে যাতায়াত করা অধিক নিরাপদ।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একটি সভা হয়েছে বাস মালিক নেতাদের সঙ্গে। তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে কোনো অবস্থাতেই ফিটনেসবিহীন যানবাহনে যেন যাত্রী নেওয়ার অপতৎপরতা না চালায়। পুলিশও রাস্তায় সতর্ক থাকবে সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন যেন রাস্তায় না চলে সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে। বাস মালিকদের নিষেধ করা হয়েছে যেন ফিটনেসবিহীন গাড়ি বের না করে। যদি কেউ অমান্য করে তাহলে ট্রাফিক আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় ঈদের কেনাকাটায় ঢাকার তীব্র যানজট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনার বলেন, ঢাকায় যে পরিমাণ মার্কেট ও যানবাহন রয়েছে সেই তুলনায় পর্যাপ্ত বৈধ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। তাই বলে যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না, করলে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মার্কেট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে যেন তারা তাদের করিডরে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















