Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজধানীতে শোভাযাত্রা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯২ জন দেখেছেন

রাজধানীতে শোভাযাত্রা

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। সাম্য মৈত্রী ও মানবিক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ১২ই রবিউল আউয়াল পৃথিবীতে মহানবীর (দ.) শুভ আগমন ঘটেছে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ হতে জশনে জুলুস বের হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীর উদ্যোগে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ইমাম পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সূফীজের প্রেসিডেন্ট আওলাদে রাসূল (দ.) শাহ সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন্ আহমদ আল্-হাসানী নেতৃত্বে অসংখ্য মানুষের অংশগ্রহণে ঢাকায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) এবং ফ্রান্সে মহানবীর (দ.) অবমাননার প্রতিবাদে শোভা যাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, পৃথিবী থেকে অন্ধকার অনাচার ব্যভিচারসহ মানবতা বিরোধী অপরাধ দূর করতে আলোর মশাল নিয়ে শুভাগমন করেন বিশ্ব মানবতার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)। আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগে নারী জাতির কোনো মর্যাদা ও অধিকারই ছিলনা।

মহানবী (দ.) নারী জাতিকে মর্যাদা ও শ্রদ্ধার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনিই পৃথিবীতে সাম্য মৈত্রী সুবিচার এবং সমতা ভিত্তিক মানবিক সমাজ গড়ে তোলেন। তাই মহানবীর (দ.) এই দুনিয়ায় শুভাগমন সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ। এজন্যই নিয়ামতের শুকরিয়ার্থে আমরা জশনে জুলুস উদযাপন করি।

তিনি বলেন, প্রকৃত ধার্মিক ধর্মের নামে হঠকারি ও উগ্রতায় বিশ্বাস করে না। কোনো ধর্মীয় নেতা বা ধর্ম যাজকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও কটূক্তি ধর্মের প্রকৃত অনুসারীরা কখনোই করতে পারে না। মুসলমানরা যদি অন্য ধর্মের ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে তাহলে ঐ ধর্মের লোকের নিকট ভালো লাগবে না।

আরও পড়ুন : উই লাভ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

অন্য ধর্ম বিশ্বাসের উপর আঘাতের নাম বাক স্বাধীনতা হতে পারে না। ফ্রান্সসহ ইউরোপের কিছু দেশ মহানবী (দ.) এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবর্তে সংঘাত উস্কে দিচ্ছে। আমি এই অমানবিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এজন্য মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কোনো ধর্মের অনুসারীরাই তাদের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননা মেনে নিতে পারে না। তাই মুসলিম হিসেবে মহানবীর (দ.) অবমাননা আমরা কিভাবে মেনে নিব? তিনি অন্য ধর্ম বিশ্বাসের উপর আঘাত না করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশে দেশে শান্তিকামী মানুষের জাগরণ ঘটাতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আলোচক হযরত মাওলানা বাকী বিল্লাহ্ আল-আযহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, আঞ্জুমান সাধারণ সম্পাদক খলিফা মো. আলমগীর খাঁন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাবেক এসপি আবুল কালাম আজাদ, হযরত মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলান ইসমাইল সিরাজী।

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সমৃদ্ধি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজধানীতে শোভাযাত্রা

প্রকাশের সময় : ০৯:০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। সাম্য মৈত্রী ও মানবিক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ১২ই রবিউল আউয়াল পৃথিবীতে মহানবীর (দ.) শুভ আগমন ঘটেছে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ হতে জশনে জুলুস বের হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীর উদ্যোগে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ইমাম পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সূফীজের প্রেসিডেন্ট আওলাদে রাসূল (দ.) শাহ সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন্ আহমদ আল্-হাসানী নেতৃত্বে অসংখ্য মানুষের অংশগ্রহণে ঢাকায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) এবং ফ্রান্সে মহানবীর (দ.) অবমাননার প্রতিবাদে শোভা যাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, পৃথিবী থেকে অন্ধকার অনাচার ব্যভিচারসহ মানবতা বিরোধী অপরাধ দূর করতে আলোর মশাল নিয়ে শুভাগমন করেন বিশ্ব মানবতার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)। আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগে নারী জাতির কোনো মর্যাদা ও অধিকারই ছিলনা।

মহানবী (দ.) নারী জাতিকে মর্যাদা ও শ্রদ্ধার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনিই পৃথিবীতে সাম্য মৈত্রী সুবিচার এবং সমতা ভিত্তিক মানবিক সমাজ গড়ে তোলেন। তাই মহানবীর (দ.) এই দুনিয়ায় শুভাগমন সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ। এজন্যই নিয়ামতের শুকরিয়ার্থে আমরা জশনে জুলুস উদযাপন করি।

তিনি বলেন, প্রকৃত ধার্মিক ধর্মের নামে হঠকারি ও উগ্রতায় বিশ্বাস করে না। কোনো ধর্মীয় নেতা বা ধর্ম যাজকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও কটূক্তি ধর্মের প্রকৃত অনুসারীরা কখনোই করতে পারে না। মুসলমানরা যদি অন্য ধর্মের ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে তাহলে ঐ ধর্মের লোকের নিকট ভালো লাগবে না।

আরও পড়ুন : উই লাভ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

অন্য ধর্ম বিশ্বাসের উপর আঘাতের নাম বাক স্বাধীনতা হতে পারে না। ফ্রান্সসহ ইউরোপের কিছু দেশ মহানবী (দ.) এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবর্তে সংঘাত উস্কে দিচ্ছে। আমি এই অমানবিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এজন্য মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কোনো ধর্মের অনুসারীরাই তাদের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননা মেনে নিতে পারে না। তাই মুসলিম হিসেবে মহানবীর (দ.) অবমাননা আমরা কিভাবে মেনে নিব? তিনি অন্য ধর্ম বিশ্বাসের উপর আঘাত না করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশে দেশে শান্তিকামী মানুষের জাগরণ ঘটাতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আলোচক হযরত মাওলানা বাকী বিল্লাহ্ আল-আযহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, আঞ্জুমান সাধারণ সম্পাদক খলিফা মো. আলমগীর খাঁন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাবেক এসপি আবুল কালাম আজাদ, হযরত মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলান ইসমাইল সিরাজী।

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সমৃদ্ধি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী।