Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরাকে আনন্দময় করতে আমরা সবাই মাঠে আছি : হাইওয়ে পুলিশপ্রধান

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

হাইওয়ে পুলিশপ্রধান মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে দেশের সকল মহাসড়কে পুলিশের সমন্বিত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশসহ পুলিশের সকল ইউনিট কাজ করছে। ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরাকে আনন্দময় করতে আমরা সবাই মাঠে আছি। ঈদের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে। বিগত বছরের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা আরও নিরাপদ হচ্ছে, সামনের দিনগুলোতেও থাকবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার আলেখারচর ট্র্যাফিক পুলিশ বক্সের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আসন্ন ঈদকে ঘিরে মহাসড়কে তিন স্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আমরা ঈদের আগে যেমন আছি, ঈদের দিন যেমন থাকব, ঈদের পরেও হাইওয়ে পুলিশ মাঠে থাকব। ঈদের আগে সবাই দু-একদিনের মধ্যেই বাড়িতে ফিরে। আসার সময় কিন্তু এমনটা হয় না। অনেকেই ধীরে ধীরে শহরে ফিরে। এতে করে রাতে সড়ক ফাঁকা থাকে। তাই অনেকে ওভার স্পিডে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেন। ফলে দুর্ঘটনার পরিমাণ কিন্তু ঈদের পরেই বেড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ঈদযাত্রাকে নিরাপদ করতে পুলিশের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, এর পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতাও প্রয়োজন। আবার তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কোনো পিকআপ বা খোলা ট্রাকে কেউ যাতে না উঠে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রাকে আমরা কখনই সমর্থন করি না। এ ছাড়া যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিশের পেট্রোল টিম দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। ঈদের পর রাস্তা ফাঁকা থাকায় যানবাহনের বেশি গতির কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। তাই সেই পরিস্থিতিকেও মোকাবিলা করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, খোলা ট্রাক, পিকআপভ্যান, পণ্য পরিবহনে অনেক যাত্রী উঠে বসে। এটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা এ বছর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি, যেন কোনো যাত্রী সাধারণ এসব পরিবহনে না ওঠে। আমরাও কিন্তু আইন প্রয়োগে কঠোর থাকব। চালক ও মালিকদেরও আমরা অনুরোধ করব, এসব ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার যেন না করে। এতে আমাদের ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছে উল্লেখ করে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান বলেন, এ মহাসড়কে ১ হাজার ৪২৭টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা এখনও উদ্বোধন করতে পারিনি কিন্তু আমরা এর সুবিধা ভোগ করতে পারছি। প্রতিটি হাইওয়ে পুলিশ সদস্যকে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলার যে সড়কগুলো রয়েছে সেখানে কিশোররা হেলে-দুলে মোটরসাইকেল চালায়। এটা কিন্তু খুবই ভয়ংকর দুর্ঘটনার কারণ। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সবাইকে অনুরোধ করছি -বিষয়টি যেন খেয়াল রাখার জন্য। তবে মহাসড়কে স্পিড গান ও পুলিশের সার্বক্ষণিক টহল রয়েছে, এমন কিছু হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই বলব, আনন্দ নিয়ে যেমন বাড়িতে ফিরেছেন, তেমনি আনন্দ নিয়েই যেন কর্মস্থলে ফিরতে পারেন সবাই সেদিকে খেয়াল রাখবেন। দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি, চালক, মালিক, যাত্রী সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আরও দুই দিন সামনে রয়েছে। ৮ এবং ৯ তারিখ মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যাতায়াত করবেন। আমরা বিশ্বাস করি বিগত দিনগুলোর মতো আগামী দিনগুলোতেও ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে পারব।

হাইওয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, প্রযুক্তি আমাদের সেবার মান উন্নত করেছে, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে। এজন্য এবারও আমরা বডি ওর্ন ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করছি। বিশেষ করে যেখানে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে আমাদের ড্রোন থাকবে। ড্রোনের মাধ্যমে আমরা ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করবো। পুরো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখন সিসি ক্যামেরার আওতায়। আমরা প্রতিনিয়ত মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করছি। বিগত যেকোনো বছরের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা অনেক বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।

হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি, চালক, যাত্রী ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রতিবন্ধকতা জানতে চান।

এ সময় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশনস) মাহফুজুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (পূর্ব) মাহবুবুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (কুমিল্লা রিজিয়ন) মো. খাইরুল আলম, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামস তাবরেজ, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরাকে আনন্দময় করতে আমরা সবাই মাঠে আছি : হাইওয়ে পুলিশপ্রধান

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

হাইওয়ে পুলিশপ্রধান মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে দেশের সকল মহাসড়কে পুলিশের সমন্বিত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশসহ পুলিশের সকল ইউনিট কাজ করছে। ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরাকে আনন্দময় করতে আমরা সবাই মাঠে আছি। ঈদের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে। বিগত বছরের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা আরও নিরাপদ হচ্ছে, সামনের দিনগুলোতেও থাকবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার আলেখারচর ট্র্যাফিক পুলিশ বক্সের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আসন্ন ঈদকে ঘিরে মহাসড়কে তিন স্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আমরা ঈদের আগে যেমন আছি, ঈদের দিন যেমন থাকব, ঈদের পরেও হাইওয়ে পুলিশ মাঠে থাকব। ঈদের আগে সবাই দু-একদিনের মধ্যেই বাড়িতে ফিরে। আসার সময় কিন্তু এমনটা হয় না। অনেকেই ধীরে ধীরে শহরে ফিরে। এতে করে রাতে সড়ক ফাঁকা থাকে। তাই অনেকে ওভার স্পিডে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেন। ফলে দুর্ঘটনার পরিমাণ কিন্তু ঈদের পরেই বেড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ঈদযাত্রাকে নিরাপদ করতে পুলিশের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, এর পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতাও প্রয়োজন। আবার তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কোনো পিকআপ বা খোলা ট্রাকে কেউ যাতে না উঠে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রাকে আমরা কখনই সমর্থন করি না। এ ছাড়া যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিশের পেট্রোল টিম দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। ঈদের পর রাস্তা ফাঁকা থাকায় যানবাহনের বেশি গতির কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। তাই সেই পরিস্থিতিকেও মোকাবিলা করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, খোলা ট্রাক, পিকআপভ্যান, পণ্য পরিবহনে অনেক যাত্রী উঠে বসে। এটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা এ বছর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি, যেন কোনো যাত্রী সাধারণ এসব পরিবহনে না ওঠে। আমরাও কিন্তু আইন প্রয়োগে কঠোর থাকব। চালক ও মালিকদেরও আমরা অনুরোধ করব, এসব ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার যেন না করে। এতে আমাদের ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছে উল্লেখ করে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান বলেন, এ মহাসড়কে ১ হাজার ৪২৭টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা এখনও উদ্বোধন করতে পারিনি কিন্তু আমরা এর সুবিধা ভোগ করতে পারছি। প্রতিটি হাইওয়ে পুলিশ সদস্যকে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলার যে সড়কগুলো রয়েছে সেখানে কিশোররা হেলে-দুলে মোটরসাইকেল চালায়। এটা কিন্তু খুবই ভয়ংকর দুর্ঘটনার কারণ। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সবাইকে অনুরোধ করছি -বিষয়টি যেন খেয়াল রাখার জন্য। তবে মহাসড়কে স্পিড গান ও পুলিশের সার্বক্ষণিক টহল রয়েছে, এমন কিছু হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই বলব, আনন্দ নিয়ে যেমন বাড়িতে ফিরেছেন, তেমনি আনন্দ নিয়েই যেন কর্মস্থলে ফিরতে পারেন সবাই সেদিকে খেয়াল রাখবেন। দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি, চালক, মালিক, যাত্রী সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আরও দুই দিন সামনে রয়েছে। ৮ এবং ৯ তারিখ মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যাতায়াত করবেন। আমরা বিশ্বাস করি বিগত দিনগুলোর মতো আগামী দিনগুলোতেও ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে পারব।

হাইওয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, প্রযুক্তি আমাদের সেবার মান উন্নত করেছে, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে। এজন্য এবারও আমরা বডি ওর্ন ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করছি। বিশেষ করে যেখানে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে আমাদের ড্রোন থাকবে। ড্রোনের মাধ্যমে আমরা ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করবো। পুরো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখন সিসি ক্যামেরার আওতায়। আমরা প্রতিনিয়ত মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করছি। বিগত যেকোনো বছরের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা অনেক বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।

হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি, চালক, যাত্রী ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রতিবন্ধকতা জানতে চান।

এ সময় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশনস) মাহফুজুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (পূর্ব) মাহবুবুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (কুমিল্লা রিজিয়ন) মো. খাইরুল আলম, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামস তাবরেজ, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।