নিজস্ব প্রতিবেদক :
এবারের ঈদযাত্রায় লঞ্চে উঠবে না মোটরসাইকেল। যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নৌপথে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও দুর্ঘটনা এড়াতে ১১ দিন নদীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম।
রোববার (৯ এপ্রিল) গুলশানে নৌপুলিশ হেডকোয়াটার্সের কনফারেন্স রুমে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে নৌপথে আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, ১৭ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণরুপে বন্ধ থাকবে। এছাড়া সূর্যাস্তের পর বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। লঞ্চ চলাচলের সময় মাছ ধরার জাল যাতে ছড়ানো না থাকে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এধরনের কোনো কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে।
শফিকুল ইসলাম আরও জানান, শেষ সময়ে গার্মেন্টসগুলোতে ছুটি হয়। সে কারণে লঞ্চে চাপ বাড়বে। চাঁদপুর, বরিশালসহ ওইসব এলাকায় যাত্রীর চাপ পড়ে। এ সময় লঞ্চে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন থেকে বিরত রাখতে হবে। খেয়া নৌকা দিয়ে সাবধানতা সঙ্গে পারাপার করতে হবে।
এসময়ে লঞ্চে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা থেকে বিরত থাকতে বলেন শফিকুল ইসলাম।
সদরঘাটে বিআইডব্লিওটিএ’র পার্কিং লটে স্থানীয় ফলের গাড়ি, ভ্যান এবং নানা ধরনের বাহন দিয়ে ভর্তি থাকে। এর ফলে কোনও প্রাইভেট গাড়ি যাত্রী নিয়ে আসতে পারে না। এই পার্কিং যাতে গাড়ির জন্য ব্যবহার করা যায়, সে ব্যবস্থা নিতে সংবাদ সম্মেলনে অনুরোধ জানানো হয়। একইসঙ্গে লঞ্চে মোটরসাইকেল বহন ও মোটরসাইকেল যাতে লঞ্চঘাটে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।