Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদে বগুড়ায় মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দেবে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরবিচ্ছিন্ন চলাচলের জন্য মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা দেবে বগুড়া জেলা প্রশাসন। ঈদকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সড়ক বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ বিভাগের সমন্বয়ে ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, সড়ক দুর্ঘটনা, টিকিট কালোবাজারি, যানজট, যানবাহন বিকল হয়ে ঈদ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে কারণে কাজ করবে যৌথ টিম। জেলা প্রশাসনের গঠিত এই টিম জেলার ৬৪ কিলোমিটার মহাসড়কে দিনরাত পাহাড়া ও নিরাপত্তা প্রদান করবে।

বগুড়া সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সড়ক বিভাগের আওতায় মোট ৫৭২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে ১৩০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৬১ কিলোমিটার আঞ্চলিক সহাসড়ক, ৩৮১ কিলোমটার জেলা সড়ক। বগুড়ার সকল রুটেই এখন ঈদ যাত্রীদের ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ছে। সড়কগুলো দিয়ে দিনরাত ভারি যানবাহন চলাচল করছে। সড়কগুলোতে এখন যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এর সঙ্গে হাটিকুমরুল থেকে রংপুর ফোরলেন সড়কের আওতায় বগুড়াতেও সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। সিংহভাগ কাজ শেষের পথে হওয়ার কারণে ঈদ যাত্রীদের চলাচলে তেমন কোন দুর্ভোগ হবে না। মহাসড়কের সদ্য নির্মিত আন্ডারপাস, ওভারপাসগুলো ঈদ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। যেন যানজট ছাড়ায় চলাচল করতে পারে। বগুড়ার শুরু সিরাজগঞ্জের চানাইকোনা থেকে গাইবান্ধার রহবল পর্যন্ত বগুড়া সীমনায় ৬৪ কিলোমিটারজুড়ে নির্বিঘ্নে চলাচলে জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চলাচলের জন্য বাঁধা যেন না হয় সে জন্য সড়ক মেরামত, বন্ধ সড়ক খুলে দেওয়া, যাত্রীদের সকল নিরাপত্তা প্রদান করবে।

বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, জাতীয় মহাসড়কের অবস্থা ভাল রয়েছে। যে টুকু সমস্যা আছে তা দ্রুত শেষ করা হবে। যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ দ্রুত ও দুর্ভোগহীন ঘরে ফেরে। ঈদে দূরপাল্লাসহ সকল যানবহন চলাচলে সকল সড়ক মেরামত করার পাশাপাশি খুলে দেওয়া হবে ওভারপাস। এতে জানযট ছাড়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ঈদে ঘরমুখি মানুষ যেন নিরাপত্তার সাথে বাড়ি ফিরতে পারেন সে বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়া গেছে। নির্দেশনা প্রদান করেছেন মাননীয় সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সে মোতাবেক বগুড়াসহ উত্তরে যানবাহন চলাচলে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। কোনো যানবাহন যেন যানজটে না পরে এবং যানজট যেন সৃষ্টি না করতে পারে সে বিষয়ে সড়কে পুলিশ প্রশাসনও কাজ করবে। ফোরলেনের সকল সুবিধা এবার ঈদে ঘরমুখি মানুষ গ্রহণ করতে পারবে। বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা ওভারপাস খুলে দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে ঈদ যাত্রীরা।

ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে গৃহীত ‘সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক)-২’ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া অংশে পড়েছে ৬৪ কিলোমিটার মহাসড়ক। যার কাজ এখনও চলমান। ফলে কাজ শেষ না হওয়ায় এবার ঈদযাত্রায় উত্তরের এগারোটি জেলার যাত্রীদের ভোগান্তি পোহানোর আশঙ্কা করছেন চালকেরা।

বগুড়া মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ে দিনে যে পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে, ঈদে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে কয়েকগুণ। বর্তমান অবস্থায় যানবাহনের চাপ আর রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের ধীরগতি থাকার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এছাড়াও মহাসড়কে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত রিকশার অবৈধ চলাচলের কারণে বগুড়া জেলার সীমানায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ঈদ যাত্রায় যানবাহনের সংখ্যা বেশি হলে তা যানজটে পরিণত হতে পারে। আর এতে করে ঈদে উত্তরের ঘরমুখো যাত্রীদের পোহাতে হতে পারে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি।

 

তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও হাইওয়ে পুলিশের দাবি, বগুড়া অংশে এবার থাকবে না কোনো দুর্ভোগ। ইতোমধ্যেই তারা দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে এমন সব এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে দ্রুত কাজ করছেন। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সেসব এলাকার কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা তাদের।

বগুড়ার চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, শেরপুর বাসস্ট্যান্ড, মির্জাপুর এলাকায় দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে। ধুনট মোড় এলাকাতেও একটি শাখা সড়ক ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে সেখানেও যানজট লেগেই থাকছে। অন্যদিকে শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় ওভারপাসের নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় চলাচলরত দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে থেমে থেমে চলতে হচ্ছে। এছাড়া শহরের বনানী ও মাটিডালি এলাকায় সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো মহাসড়ককে স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রীদের ওঠানো ও নামানোর কারণে যানজট লেগেই থাকছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ঈদে বগুড়ায় মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দেবে প্রশাসন

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরবিচ্ছিন্ন চলাচলের জন্য মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা দেবে বগুড়া জেলা প্রশাসন। ঈদকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সড়ক বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ বিভাগের সমন্বয়ে ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, সড়ক দুর্ঘটনা, টিকিট কালোবাজারি, যানজট, যানবাহন বিকল হয়ে ঈদ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে কারণে কাজ করবে যৌথ টিম। জেলা প্রশাসনের গঠিত এই টিম জেলার ৬৪ কিলোমিটার মহাসড়কে দিনরাত পাহাড়া ও নিরাপত্তা প্রদান করবে।

বগুড়া সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সড়ক বিভাগের আওতায় মোট ৫৭২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে ১৩০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৬১ কিলোমিটার আঞ্চলিক সহাসড়ক, ৩৮১ কিলোমটার জেলা সড়ক। বগুড়ার সকল রুটেই এখন ঈদ যাত্রীদের ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ছে। সড়কগুলো দিয়ে দিনরাত ভারি যানবাহন চলাচল করছে। সড়কগুলোতে এখন যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এর সঙ্গে হাটিকুমরুল থেকে রংপুর ফোরলেন সড়কের আওতায় বগুড়াতেও সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। সিংহভাগ কাজ শেষের পথে হওয়ার কারণে ঈদ যাত্রীদের চলাচলে তেমন কোন দুর্ভোগ হবে না। মহাসড়কের সদ্য নির্মিত আন্ডারপাস, ওভারপাসগুলো ঈদ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। যেন যানজট ছাড়ায় চলাচল করতে পারে। বগুড়ার শুরু সিরাজগঞ্জের চানাইকোনা থেকে গাইবান্ধার রহবল পর্যন্ত বগুড়া সীমনায় ৬৪ কিলোমিটারজুড়ে নির্বিঘ্নে চলাচলে জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চলাচলের জন্য বাঁধা যেন না হয় সে জন্য সড়ক মেরামত, বন্ধ সড়ক খুলে দেওয়া, যাত্রীদের সকল নিরাপত্তা প্রদান করবে।

বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, জাতীয় মহাসড়কের অবস্থা ভাল রয়েছে। যে টুকু সমস্যা আছে তা দ্রুত শেষ করা হবে। যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ দ্রুত ও দুর্ভোগহীন ঘরে ফেরে। ঈদে দূরপাল্লাসহ সকল যানবহন চলাচলে সকল সড়ক মেরামত করার পাশাপাশি খুলে দেওয়া হবে ওভারপাস। এতে জানযট ছাড়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ঈদে ঘরমুখি মানুষ যেন নিরাপত্তার সাথে বাড়ি ফিরতে পারেন সে বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়া গেছে। নির্দেশনা প্রদান করেছেন মাননীয় সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সে মোতাবেক বগুড়াসহ উত্তরে যানবাহন চলাচলে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। কোনো যানবাহন যেন যানজটে না পরে এবং যানজট যেন সৃষ্টি না করতে পারে সে বিষয়ে সড়কে পুলিশ প্রশাসনও কাজ করবে। ফোরলেনের সকল সুবিধা এবার ঈদে ঘরমুখি মানুষ গ্রহণ করতে পারবে। বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা ওভারপাস খুলে দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে ঈদ যাত্রীরা।

ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে গৃহীত ‘সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক)-২’ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া অংশে পড়েছে ৬৪ কিলোমিটার মহাসড়ক। যার কাজ এখনও চলমান। ফলে কাজ শেষ না হওয়ায় এবার ঈদযাত্রায় উত্তরের এগারোটি জেলার যাত্রীদের ভোগান্তি পোহানোর আশঙ্কা করছেন চালকেরা।

বগুড়া মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ে দিনে যে পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে, ঈদে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে কয়েকগুণ। বর্তমান অবস্থায় যানবাহনের চাপ আর রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের ধীরগতি থাকার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এছাড়াও মহাসড়কে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত রিকশার অবৈধ চলাচলের কারণে বগুড়া জেলার সীমানায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ঈদ যাত্রায় যানবাহনের সংখ্যা বেশি হলে তা যানজটে পরিণত হতে পারে। আর এতে করে ঈদে উত্তরের ঘরমুখো যাত্রীদের পোহাতে হতে পারে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি।

 

তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও হাইওয়ে পুলিশের দাবি, বগুড়া অংশে এবার থাকবে না কোনো দুর্ভোগ। ইতোমধ্যেই তারা দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে এমন সব এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে দ্রুত কাজ করছেন। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সেসব এলাকার কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা তাদের।

বগুড়ার চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, শেরপুর বাসস্ট্যান্ড, মির্জাপুর এলাকায় দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে। ধুনট মোড় এলাকাতেও একটি শাখা সড়ক ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে সেখানেও যানজট লেগেই থাকছে। অন্যদিকে শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় ওভারপাসের নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় চলাচলরত দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে থেমে থেমে চলতে হচ্ছে। এছাড়া শহরের বনানী ও মাটিডালি এলাকায় সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো মহাসড়ককে স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রীদের ওঠানো ও নামানোর কারণে যানজট লেগেই থাকছে।