Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে এখনও ফিরছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে সোমবার (৩ জুলাই) রাজধানীতে মানুষের স্রোত দেখা গেছে। টানা কয়েক দিন ছুটির পর কর্মস্থলে যোগ দিতে শনিবার (১ জুলাই) থেকেই ঢাকায় ফিরছে মানুষ। বৃষ্টি ও যাত্রায় ভোগান্তি কমাতে সময় নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে।

সোমবার (৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল এবং রেল স্টশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ফাঁকা সড়কগুলোতে কিছুক্ষণ পরপর এসে থামছে যাত্রীবাহী গাড়ি। এসব গাড়িতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের অধিকাংশই চাকরিজীবী। অনেকে একা ফিরছেন, কেউ ফিরছেন পরিবার নিয়ে।

অনেকে ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি একদিন ছুটি কাটিয়ে আজ ঢাকায় ফিরছেন। এছাড়াও অনেকে বাড়তি দুদিন বা তার বেশিও ছুটি নিয়েছেন। ফলে চলতি সপ্তাহজুড়ে মানুষ ঢাকামুখী হবেন।

আইরিন আক্তার একটি সরকারি হাপাতালের নার্স। তিনি বলেন, শনিবার পর্যন্ত ছুটি ছিল, গতকাল বাড়তি ছুটি নিয়েছিলাম। তাই আজ ঢাকায় ফিরলাম। শিফটের ডিউটি, তাই সকালে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে শরীয়তপুর থেকে চলে এসেছি। এখন বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নিয়ে দুপুরের শিফটে অফিসে কাজ শুরু করবো।

তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের রেখে এসেছি, খুব খারাপ লাগছে। অফিস যেহেতু করা লাগবে তাই চলে আসতে হয়েছে। নাহলে আরও কয়েকদিন বাড়িতে থাকতে পারলে ভালো লাগতো।

রেজাউল করিম লোটন নামে ঢাকায় ফেরা এক চাকরিজীবী বলেন, ছুটি তো গতকালই শেষ হয়েছে। অফিসের বসকে ফোন করে অনুরোধ করেছি একদিন বাড়তি থাকবো। তিনি অনুমতি দেওয়ায় গতকালও বাড়িতে থেকেছি। আজ এলাম। এখন স্ত্রী-সন্তানদের বাসায় রেখে সরাসরি অফিসে যাবো।

তিনি বলেন, রাস্তা একেবারেই ফাঁকা, আসার পথে যানজটে কোথাও থামতে হয়নি। এটা ছিল খুব শান্তির বিষয়। যাওয়ার পথেও শান্তিতেই গেছি। আমি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে প্রতিটি ঈদই গ্রামে করি। আমার মা বাড়িতে আছেন, তার সঙ্গে ঈদ করতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই।

সাড়ে ১০ টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করলেও স্টেশনে যাত্রীদের ঢল নামে। তবে নামার সময় তেমন কোনো তাড়াহুড়ো দেখা যায়নি যাত্রীদের। স্টেশন গেটে কঠোর অবস্থানে ছিল কর্তব্যরতরা। টিকিট চেক করে তারপর বের হতে দিচ্ছেন। টিকিটের সাথে এনআইডি ও মোবাইল নাম্বার চেক করতে দেখা গেছে। যারা টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করেছেন তারা পড়ছেন জরিমানার মুখে।
একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় ফেরা যাত্রী মো. আব্দুল লতিফ বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি গিয়েছিলাম। ঢাকায় ব্যবসার জরুরি কাজ থাকায় আজই চলে এলাম। ট্রেনে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ঢাকায় ফিরতে পেরেছি।

পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরা গোলাম মোর্তোজা বলেন, পরিবার নিয়ে বাসে আসতে গেলে নানা ঝামেলা হয়। রাস্তায় জ্যাম, বাস জার্নি করতে গেলে অনেকে অসুস্থও হয়ে যায়। তাই ট্রেনে আসি। আর এখন ট্রেনে আগের মতো ভোগান্তি নেই। ট্রেনের যাত্রা আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো।
একতা এক্সপ্রেসে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় ফেরা সফিকুল আলম বলেন, আজ থেকে আমার অফিস শুরু হবে। অফিস শুরুর আগেই ঢাকায় ফিরলাম। ট্রেন ভালোভাবেই পৌঁছাতে পেরেছি।

কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফসার উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে যথাসময়ে সব ট্রেন স্টেশনে আসছে। যাত্রীরাও তেমন কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঢাকায় ফিরতে পারছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে এখনও ফিরছে মানুষ

প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে সোমবার (৩ জুলাই) রাজধানীতে মানুষের স্রোত দেখা গেছে। টানা কয়েক দিন ছুটির পর কর্মস্থলে যোগ দিতে শনিবার (১ জুলাই) থেকেই ঢাকায় ফিরছে মানুষ। বৃষ্টি ও যাত্রায় ভোগান্তি কমাতে সময় নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে।

সোমবার (৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল এবং রেল স্টশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ফাঁকা সড়কগুলোতে কিছুক্ষণ পরপর এসে থামছে যাত্রীবাহী গাড়ি। এসব গাড়িতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের অধিকাংশই চাকরিজীবী। অনেকে একা ফিরছেন, কেউ ফিরছেন পরিবার নিয়ে।

অনেকে ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি একদিন ছুটি কাটিয়ে আজ ঢাকায় ফিরছেন। এছাড়াও অনেকে বাড়তি দুদিন বা তার বেশিও ছুটি নিয়েছেন। ফলে চলতি সপ্তাহজুড়ে মানুষ ঢাকামুখী হবেন।

আইরিন আক্তার একটি সরকারি হাপাতালের নার্স। তিনি বলেন, শনিবার পর্যন্ত ছুটি ছিল, গতকাল বাড়তি ছুটি নিয়েছিলাম। তাই আজ ঢাকায় ফিরলাম। শিফটের ডিউটি, তাই সকালে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে শরীয়তপুর থেকে চলে এসেছি। এখন বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নিয়ে দুপুরের শিফটে অফিসে কাজ শুরু করবো।

তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের রেখে এসেছি, খুব খারাপ লাগছে। অফিস যেহেতু করা লাগবে তাই চলে আসতে হয়েছে। নাহলে আরও কয়েকদিন বাড়িতে থাকতে পারলে ভালো লাগতো।

রেজাউল করিম লোটন নামে ঢাকায় ফেরা এক চাকরিজীবী বলেন, ছুটি তো গতকালই শেষ হয়েছে। অফিসের বসকে ফোন করে অনুরোধ করেছি একদিন বাড়তি থাকবো। তিনি অনুমতি দেওয়ায় গতকালও বাড়িতে থেকেছি। আজ এলাম। এখন স্ত্রী-সন্তানদের বাসায় রেখে সরাসরি অফিসে যাবো।

তিনি বলেন, রাস্তা একেবারেই ফাঁকা, আসার পথে যানজটে কোথাও থামতে হয়নি। এটা ছিল খুব শান্তির বিষয়। যাওয়ার পথেও শান্তিতেই গেছি। আমি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে প্রতিটি ঈদই গ্রামে করি। আমার মা বাড়িতে আছেন, তার সঙ্গে ঈদ করতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই।

সাড়ে ১০ টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করলেও স্টেশনে যাত্রীদের ঢল নামে। তবে নামার সময় তেমন কোনো তাড়াহুড়ো দেখা যায়নি যাত্রীদের। স্টেশন গেটে কঠোর অবস্থানে ছিল কর্তব্যরতরা। টিকিট চেক করে তারপর বের হতে দিচ্ছেন। টিকিটের সাথে এনআইডি ও মোবাইল নাম্বার চেক করতে দেখা গেছে। যারা টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করেছেন তারা পড়ছেন জরিমানার মুখে।
একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় ফেরা যাত্রী মো. আব্দুল লতিফ বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি গিয়েছিলাম। ঢাকায় ব্যবসার জরুরি কাজ থাকায় আজই চলে এলাম। ট্রেনে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ঢাকায় ফিরতে পেরেছি।

পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরা গোলাম মোর্তোজা বলেন, পরিবার নিয়ে বাসে আসতে গেলে নানা ঝামেলা হয়। রাস্তায় জ্যাম, বাস জার্নি করতে গেলে অনেকে অসুস্থও হয়ে যায়। তাই ট্রেনে আসি। আর এখন ট্রেনে আগের মতো ভোগান্তি নেই। ট্রেনের যাত্রা আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো।
একতা এক্সপ্রেসে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় ফেরা সফিকুল আলম বলেন, আজ থেকে আমার অফিস শুরু হবে। অফিস শুরুর আগেই ঢাকায় ফিরলাম। ট্রেন ভালোভাবেই পৌঁছাতে পেরেছি।

কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফসার উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে যথাসময়ে সব ট্রেন স্টেশনে আসছে। যাত্রীরাও তেমন কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঢাকায় ফিরতে পারছেন।