নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভাঙ্গা সেতুর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতেন বগুড়ার ধুনট ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ১৫ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। দুই উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম আঞ্চলিক এই সড়কের সেতুর মাঝের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি। অবশেষে মানুষের চলাচলের রাস্তায় ভাঙ্গা সেতুটি মেরামত করা হচ্ছে। এতে করে আসন্ন ঈদে দুই উপজেলার ২৫ হাজার মানুষের চলাচলে অসুবিধা লাঘব হবে।
তেত্রিশ বছরের পুরনো সেতুটি ১৯৯০ সালে কাজিপুর উপজেলার চরপাড়ার গুর্জিয়া খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিলো । তখন এই রাস্তায় ভারী যান চলাচল করেনি। পরবর্তীতে নানা কারণে এই রাস্তায় যান চলাচল বেড়ে যায়। চলে ভারী যানবাহনও। ফলে গত দুই মাস আগে অতিরিক্ত ইটবোঝাই ট্রাক চলাচলের সময় ভেঙে পড়েছে সেতুটির মাঝের অংশ। এতে ওই রাস্তায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন ধুনট কাজিপুরের সংযোগকারী আঞ্চলিক সড়কটির সোনামুখী ইউনিয়নের চরাপাড়া গুরজিয়া গিয়ে দেখা গেছে, পুরোদমে চলছে মেরামত কাজ। মেরামত কাজের তদারকি করছেন কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন।
সোনামুখী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী খান জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলো। এখন ভালো লাগছে। ব্রিজ ব্যবহারকারী মানুষজনের কষ্ট দূর হলো।
কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষে আমরা জরুরিভিত্তিতে সেতুটির ভাঙ্গা অংশ মেরামতের উদ্যোগ নেই। আসন্ন ঈদে এই রাস্তায় চলাচলকারী রিক্সা-ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহনের চাপের কথা চিন্তা করে এডিবি থেকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, মেরামত হলেও এই সেতু দিয়ে আপাতত ভারী যান চলাচল করতে দেয়া হবে না। জরুরী ভিত্তিতে এলজিইডি থেকে সেখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























