Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদযাত্রায় ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট : রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকবে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট যাদের কাছে আছে, তারাই যাত্রী। আর যাত্রার দিন উপস্থিত স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকবে ২৫ শতাংশ। টিকিট ছাড়া কেউ যেন ভ্রমণ করতে না পারে সে চেষ্টা থাকবে।

তিনি বলেন, সোমবার (১৭ এপ্রিল) থেকে ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে। ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। কী রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, তা এক মাস আগে জানানো হয়েছে। ঈদের আগে ও পরের ৫ দিন করে এ বছর ১০ দিনের জন্য শতভাগ অনলাইনে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীরা যেন নিরাপদে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, টিকিটবিহীন তথাকথিত যাত্রীদের আর ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ নেই। প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। টিকিটবিহীন যাত্রী প্রবেশ বন্ধে ঢাকামুখী ট্রেনগুলো এবার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে থাকবে না।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ঈদের ছুটি মানুষ যেন আনন্দে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারে, এজন্য রেলওয়ে কর্মচারীদের ছুটি থাকবে না। যাত্রীদের ঈদযাত্রা আনন্দদায়ক করতে ঈদের ছুটি রেলের কর্মচারীরা ভোগ করতে পারেন না।

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রেলমন্ত্রী বলেন, এখন যেটা চলছে সেটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলা যাবে না। কিন্তু যেহেতু এক লাইনে ট্রেন চলে সেক্ষেত্র কোনো দুর্ঘটনা হলে শিডিউল সমস্যায় পড়ে। তবে আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, আমরা এবারের ঈদযাত্রায় মানুষকে নিরাপদে গ্রামে পৌঁছে দিতে চাই। গরমের কারণে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলো মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র আন্তঃনগর ১০৪টি (৫২ জোড়া) ট্রেনের ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এর বাইরে লোকাল ও কমিউটার ট্রেনের ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ১৫ হাজার স্ট্যান্ডিং টিকিট। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৫ হাজারের মতো যাত্রী বহনের সক্ষমতা আমাদের আছে।

মন্ত্রী বলেন আমরা কোনো নতুন ট্রেন দিচ্ছি না, ৯টি স্পেশাল ট্রেন দিয়েছি। আমরা রেক পরিবর্তন করছি দুটি। একটি হলো—চিলাহাটিমুখী নীল সাগর ট্রেন; পদ্মা এক্সপ্রেসের নতুন যে বগি এসেছে, ইতোমধ্যে ৪৫টি বগি প্রস্তুত হয়েছে। নীল সাগর ও বেনাপল এক্সপ্রেসে আমরা নতুন বগি দিয়েছি, পুরোনো বগি বাদ দিয়েছি। একটি ট্রেনে ১৩টি, আরেকটিতে ১২টি বগি আমরা ব্যবহার করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব, রেলওয়ে মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ঈদযাত্রায় ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট : রেলমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৩৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকবে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট যাদের কাছে আছে, তারাই যাত্রী। আর যাত্রার দিন উপস্থিত স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকবে ২৫ শতাংশ। টিকিট ছাড়া কেউ যেন ভ্রমণ করতে না পারে সে চেষ্টা থাকবে।

তিনি বলেন, সোমবার (১৭ এপ্রিল) থেকে ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে। ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। কী রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, তা এক মাস আগে জানানো হয়েছে। ঈদের আগে ও পরের ৫ দিন করে এ বছর ১০ দিনের জন্য শতভাগ অনলাইনে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীরা যেন নিরাপদে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, টিকিটবিহীন তথাকথিত যাত্রীদের আর ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ নেই। প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। টিকিটবিহীন যাত্রী প্রবেশ বন্ধে ঢাকামুখী ট্রেনগুলো এবার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে থাকবে না।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ঈদের ছুটি মানুষ যেন আনন্দে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারে, এজন্য রেলওয়ে কর্মচারীদের ছুটি থাকবে না। যাত্রীদের ঈদযাত্রা আনন্দদায়ক করতে ঈদের ছুটি রেলের কর্মচারীরা ভোগ করতে পারেন না।

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রেলমন্ত্রী বলেন, এখন যেটা চলছে সেটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলা যাবে না। কিন্তু যেহেতু এক লাইনে ট্রেন চলে সেক্ষেত্র কোনো দুর্ঘটনা হলে শিডিউল সমস্যায় পড়ে। তবে আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, আমরা এবারের ঈদযাত্রায় মানুষকে নিরাপদে গ্রামে পৌঁছে দিতে চাই। গরমের কারণে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলো মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র আন্তঃনগর ১০৪টি (৫২ জোড়া) ট্রেনের ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এর বাইরে লোকাল ও কমিউটার ট্রেনের ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ১৫ হাজার স্ট্যান্ডিং টিকিট। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৫ হাজারের মতো যাত্রী বহনের সক্ষমতা আমাদের আছে।

মন্ত্রী বলেন আমরা কোনো নতুন ট্রেন দিচ্ছি না, ৯টি স্পেশাল ট্রেন দিয়েছি। আমরা রেক পরিবর্তন করছি দুটি। একটি হলো—চিলাহাটিমুখী নীল সাগর ট্রেন; পদ্মা এক্সপ্রেসের নতুন যে বগি এসেছে, ইতোমধ্যে ৪৫টি বগি প্রস্তুত হয়েছে। নীল সাগর ও বেনাপল এক্সপ্রেসে আমরা নতুন বগি দিয়েছি, পুরোনো বগি বাদ দিয়েছি। একটি ট্রেনে ১৩টি, আরেকটিতে ১২টি বগি আমরা ব্যবহার করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব, রেলওয়ে মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।