সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে থ্রীহুইলার, নসিমন-করিমন, ভটভটি চলতে দেওয়া হবে না। কেউ চলার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যকটি জায়গায় আমরা সিল করে দেব কেউ মহাসড়কে উঠতে পারবে না। এ ছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়িও মহাসড়কে উঠতে দেওয়া হবে না।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিআইজি।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ। এখানে ফিটনেসবিহীন গাড়িও চলতে দেওয়া হবে না। ঈদের সময় অজ্ঞান পার্টি-মলমপার্টির প্রাদুর্ভাব ঘটে। এ বিষয়েও সতর্ক আছি। ইতিমধ্যে ৫-৭ বছরের তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। রাজশাহী বিভাগে একযোগে অভিযান চলছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি-মলমপার্টি এবং যত রকম পার্টি আছে তাঁদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে। এবার ঈদে কোনো পার্টি সুবিধা করতে পারবে না।’
আনিসুর রহমান বলেন, ঈদে নাড়ির টানে উত্তরাঞ্চলে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রাপথ নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ রাখতে পুলিশ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ লক্ষে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম, বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনাগামী মহাসড়কে ৭০০ পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া যানজট নিরসনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ডিআইজি বলেন, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি এবং মহাসড়কে যাতায়াতকারী নিরাপত্তায়ও বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে এবারের ঈদে যাত্রীরা যাতে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য পুরো বিভাগের পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। আশা করছি সিরাজগঞ্জের ৮৮ কিলোমিটার মহাসড়কের পথ বিগত সময়ের চেয়ে যাত্রীদের আগামী ঈদ যাত্রা হবে স্বস্তি এবং আনন্দদায়ক। এ লক্ষ্যে জেলা ও বিভাগীয় পুলিশ যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ডিআইজি আরো বলেন, এবার ঈদ যাত্রায় উত্তরাঞ্চলের মহাসড়ক ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। মহাসড়কে কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না তা ড্রোন দিয়ে শনাক্ত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ড্রোনের মাধ্যমে যানজট মনিটরিং করা হবে। কোথাও যানজটের আশঙ্কা থাকলে অথবা যানজট তৈরি হলে সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনিসুর রহমান বলেন, ‘ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম প্রান্ত থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এবং হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করা হয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আমরা চিহ্নিত করেছি। এসব জায়গায় ৭ শতাধিক পুলিশ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। মিনিয়র পুলিশ অফিসাররা তদারকিতে থাকবে। মোবাইল টিম থাকবে।’
ডিআইজি বলেন, ‘যাত্রাপথে যদি কোনো গাড়ি নষ্ট হয় বা বিকল হয়ে পড়ে সেগুলো দ্রুত উদ্ধারে ৬টি রেকার প্রস্তুত করে রেখেছি। যাতে দ্রুত গাড়িগুলো অপসারণ করে গাড়ি চলাচল করতে পারে। এ ছাড়া ড্রোনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে যানজট মনিটরিং করা হবে। কোথাও যানজটের আশঙ্কা থকলে অথবা যানজট তৈরি হলে সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জুলহাজ উদ্দিন, হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওয়াদুদসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।