নিজস্ব প্রতিবেদক :
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর প্রতিবাদে ও তফসিল ঘোষণা বন্ধের দাবিতে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে গণমিছিল শুরু করেছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। অভিমুখে যাত্রা করা ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর শান্তিনগরে তাদের আটকে দেওয়া হয়। এসময় মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে গণমিছিল শুরু করে দলটি। তবে রাজধানীর মালিবাগ শান্তিনগর মোড়ে পুলিশ প্রস্তুত ছিল আগে থেকেই। সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয় গণমিছিল।
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। তবে সিনিয়র নেতারা পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিবৃত করেন। অবশেষে সেখানে পথসভা করে দলটি। সেখানে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ভাইদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। আমরা চাইলেই এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, এ তফসিল ঘোষণা অবিলম্বে বন্ধ করুন। যদি আজ তফসিল ঘোষণা করেন, তাহলে এ দেশের জনগণ থেকে কোনো দিন মাফ পাবেন না।
নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় যে তফসিল ঘোষণা করতে চান, সেটি যদি করেন, তবে দেশ যুদ্ধের দিকে চলে যাবে। আমরা সেটি চাই না। অবিলম্বে তফসিল ঘোষণা বন্ধ করুন।
তিনি আবারও নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ার করে বলেন, এ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন চায় না। আমরাও চাই না। এখনো সময় আছে। তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকুন। এরপরও যদি ঘোষণা করেন, তবে তা হবে রক্তক্ষয়ী সিদ্ধান্ত। রক্তক্ষয়ী কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।
জনগণের আদালতে নির্বাচন কমিশনের বিচার হবে উল্লেখ করে মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ২০১৪, ২০১৮ সালে যে তামাশার নির্বাচন আপনারা করেছেন, সেটি থেকে এবার বিরত থাকুন। সেই ধরনের কোন নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না, বিশ্ববাসীও সে ধরনের নির্বাচনে দেখতে চায় না।
শান্তিনগর মোড়ে সমাবেশে বক্তব্য শেষে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত মোনাজাত করেন এ নেতা। মোনাজাত শেষে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। পরে মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ অভিমুখে ফিরে যান।
গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।
এর আগে গত রোববার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করার ঘোষণা দেন।