নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন স্থগিত হওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। একদিন আগেও আওয়ামী লীগের (নিবন্ধন স্থগিত) নামের পাশে প্রতীক হিসেবে নৌকা ছিল। তবে বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে ইসির ওয়েবসাইটে দেখা যায় আওয়ামী লীগ (নিবন্ধন স্থগিত) নামের পাশে প্রতীক হিসেবে নৌকা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নৌকা প্রতীকটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে দেয়া এক পোস্টে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকাকে কেন আবার শিডিউলভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন প্রশ্ন তুলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
পোস্টে তিনি লিখেন, অভিশপ্ত “নৌকা” মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণ–অভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদের দেয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা? পরাজিতদের স্বপ্নের রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে তাদের মার্কা ফিরিয়ে দিতে চান? বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রইল।
বর্তমানে ইসির তফসিলভুক্ত ৬৯টি প্রতীকের মধ্যে ৫০টি প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে রাজনৈতিক দলের জন্য। যার মধ্যে স্থগিত হওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও প্রতীক রয়েছে। অবশিষ্ট ১৯টি প্রতীক রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। তবে নতুন তালিকায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত হয়ে আসলে জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লাসহ প্রতীকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫টি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। গত ১২ মে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।