Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসির এখতিয়ারে অন্য কারো হস্তক্ষেপ নয় : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণে সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপের সুযোগ রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সমালোচনা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এখতিয়ার। অন্য কারো হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আরএফইডি-টক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে। স্থায়ী কমিটির কাছে নির্ভরশীল হতে চাই না। এই সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করতে হবে। পার্লামেন্টারি স্টান্ডিং কমিটির মুখাপেক্ষী হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হবে। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারও হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

চলমান সংস্কারে সীমানা পুনর্র্নিধারণ, নতুন দল নিবন্ধনসহ নানা বিষয় তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন কানুন বিধি বিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাজের সমালোচনা করে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, সুপারিশ অনেক কিছু দেওয়া যায়। বাস্তবায়ন করা কঠিন। সীমানা নির্ধারণে ইসির হস্তক্ষেপ না রাখার সুপারিশকে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছেন, এটা ইসির এখতিয়ার।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কিনা তা দলটির নিবন্ধন থাকার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, সীমানা পুনর্র্নিধারণ আইনেও জটিলতার কারণে ভোটার তালিকা হালনাগাদের পাশাপাশি এই কাজগুলো করা যাচ্ছে না। এবার তফসিল ঘোষণার আগে নিবন্ধন থাকার ওপর নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ।

নাসির উদ্দীন আরও বলেন, সংস্কার কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশ ইসির সংবিধানিক দায়িত্বের পরিপন্থী। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মেনে জবাবদিহির ক্ষমতা সংসদীয় কমিটিতে গেলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।’

সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়া সংবিধান পরিপন্থী, কমিশনের এই সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়া সীমানা নির্ধারণে সংস্কার কমিশনের স্বাধীন প্রতিষ্ঠান তৈরি করার সুপারিশের কোনো মানে নেই। ইসি নিজেই স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। ইসির অধীনেই এই দায়িত্ব থাকা উচিত।

নাসির উদ্দীন আরও বলেন, ‘সুপারিশ অনেক দেওয়া যায়, কিন্তু যারা বাস্তবায়ন করবেন তারা বুঝবেন কী কী বাধা আছে সুপারিশ বাস্তবায়নে।’

সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন জুনে হওয়ার যে কথা বলছেন তখন বর্ষাকাল আর এই সময়ে নির্বাচন হয় না। আর যদি ডিসেম্বরে হয় তাহলে অক্টোবরের মধ্যে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই আমাদের আইন-কানুন, বিধি-বিধান দ্রুত ঠিক করে কাজ সমাধান করতে হবে যাতে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমরা প্রস্তুত থাকতে পারি। এর মাঝে আইন-কানুন পরিবর্তন করলে আমাদের জন্য কাজ করা বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

ইসির এখতিয়ারে অন্য কারো হস্তক্ষেপ নয় : সিইসি

প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণে সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপের সুযোগ রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সমালোচনা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এখতিয়ার। অন্য কারো হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আরএফইডি-টক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে। স্থায়ী কমিটির কাছে নির্ভরশীল হতে চাই না। এই সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করতে হবে। পার্লামেন্টারি স্টান্ডিং কমিটির মুখাপেক্ষী হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হবে। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারও হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

চলমান সংস্কারে সীমানা পুনর্র্নিধারণ, নতুন দল নিবন্ধনসহ নানা বিষয় তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন কানুন বিধি বিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাজের সমালোচনা করে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, সুপারিশ অনেক কিছু দেওয়া যায়। বাস্তবায়ন করা কঠিন। সীমানা নির্ধারণে ইসির হস্তক্ষেপ না রাখার সুপারিশকে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছেন, এটা ইসির এখতিয়ার।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কিনা তা দলটির নিবন্ধন থাকার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, সীমানা পুনর্র্নিধারণ আইনেও জটিলতার কারণে ভোটার তালিকা হালনাগাদের পাশাপাশি এই কাজগুলো করা যাচ্ছে না। এবার তফসিল ঘোষণার আগে নিবন্ধন থাকার ওপর নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ।

নাসির উদ্দীন আরও বলেন, সংস্কার কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশ ইসির সংবিধানিক দায়িত্বের পরিপন্থী। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মেনে জবাবদিহির ক্ষমতা সংসদীয় কমিটিতে গেলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।’

সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়া সংবিধান পরিপন্থী, কমিশনের এই সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়া সীমানা নির্ধারণে সংস্কার কমিশনের স্বাধীন প্রতিষ্ঠান তৈরি করার সুপারিশের কোনো মানে নেই। ইসি নিজেই স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। ইসির অধীনেই এই দায়িত্ব থাকা উচিত।

নাসির উদ্দীন আরও বলেন, ‘সুপারিশ অনেক দেওয়া যায়, কিন্তু যারা বাস্তবায়ন করবেন তারা বুঝবেন কী কী বাধা আছে সুপারিশ বাস্তবায়নে।’

সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন জুনে হওয়ার যে কথা বলছেন তখন বর্ষাকাল আর এই সময়ে নির্বাচন হয় না। আর যদি ডিসেম্বরে হয় তাহলে অক্টোবরের মধ্যে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই আমাদের আইন-কানুন, বিধি-বিধান দ্রুত ঠিক করে কাজ সমাধান করতে হবে যাতে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমরা প্রস্তুত থাকতে পারি। এর মাঝে আইন-কানুন পরিবর্তন করলে আমাদের জন্য কাজ করা বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’