Dhaka মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসির একার পক্ষে নির্বাচন সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালো না হওয়ার কোনো সুযোগ জাতি হিসেবে আমাদের কাছে নেই বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা শুধু নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য গণমাধ্যম, জনগণ এবং রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতা অপরিহার্য।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের সূচনালগ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের ভার নির্বাচন সংস্কার কমিশন গ্রহণ করে নিয়েছে। তারা আলাপ আলোচনা করে আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। এটা আমাদের আলোচনার খাতিরে আলোচনা নয়। আমরা এটাকে মিনিংফুল হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের প্রস্তুতিতে যদি গ্য্পা থাকে আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছ থেকে এনলাইটেড হবো। আপনাদের সঙ্গে থেকে দেশকে এ ক্রান্তিলগ্ন থেকে এগিয়ে যেতে চাই। এই নির্বাচন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের শেপ ঠিক করবে। জাতি হিসেবে এ নির্বাচন ভালো হওয়ার ছাড়া উপায় নেই। সুতরাং সবাই মিলে এ নির্বাচন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন, জাতীয়ভাবেই করতে হবে। ইসির একার পক্ষে সামাল দেওয়ার সম্ভব হবে না।

নাসির উদ্দিন বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) ওপিনিয়ন মেকিংয়ের (মতামত দেওয়া) কারিগর। সেই সুযোগটা আমরা নিতে চাই। এই নির্বাচনটা ফ্রি-ফেয়ার হতে হবে। অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।

সিইসি বলেন, আমরা ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছি একাধিকবার। এটা করতে গিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এটার খুব দরকার ছিল।

নাসির উদ্দিন বলেন, একটা ক্রিটিক্যাল সময়ে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসী এবং নির্বাচনি কর্মকর্তাদের ভোটের ব্যবস্থা করছি। এটা এতদিন আইনে ছিল, কিন্তু বাস্তবে ছিল না। এটা করা কঠিন ছিল। অনলাইনে আমরা রেজিস্ট্রেশন করাবো। তারপর ভোট হবে পোস্টালে।

নির্বাচন কমিশনের সব উদ্যোগে সাংবাদিকদের পাশে চেয়ে সিইসি বলেন, আপনারা আমাদের সহযোদ্ধা। আপনারা আমাদের উদ্যোগগুলো প্রচার করবেন। মানুষকে সচেতন করবেন। আপনারা ওপিনিয়ন মোবিলাইজ করবেন। ভালো নির্বাচনে এগুলো আমাদের সহায়তা করবে। আমরা চাই, একদম ফেস্টিভ মুডে (উৎসবমুখর পরিবেশ) নির্বাচনটা হোক। ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে যান, সেজন্য আপনারা আমাদের হেল্প করবেন।

এ ধরনের আলোচনা আজই শেষ না জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, আজই আলোচনা শেষ না। এরপরও আপনাদের যদি কোনো পরামর্শ থাকে, আমাদের জানাবেন। আপনাদের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা।

তিনি বলেন, আমরা এবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ভোটের দায়িত্বে যারা থাকেন, তারা ভোট দিতে পারেন না, এসপি, রিটার্নিং কর্মকর্তারা তারা ভোট দিতে পারেন না। কাজেই তারা যাতে ভোট দিতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

সিইসি বলেন, আমরা ক্রিটিকাল সময়ে দায়িত্ব নিয়েছি। এর মধ্যেই আমরা পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করছি। এটা যদিও আগে ছিল। কাজীর গরু কিতাবে ছিল না, তেমন ছিল। আমরা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রবাসী ভাইয়েরা বলেছেন, আমরা ভোট দিতে চাই। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্বেও বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় মোটামুটি একটা পদ্ধতি বের করেছি। ডিজিটালের পাশপাশি। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার পর পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। অনেকটা সংকর পদ্ধতি। আমরা আপনাদের পাশে পেতে চাই। এগুলো প্রচার করবেন।

তিনি আরও বলেন, যত চেষ্টাই আমরা করি না কেন, মিডিয়া, জনগণ ও দলগুলো মেটার করে। মিডিয়ার দরকার মতামত গঠনের ক্ষেত্রে, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিতে। আমরা চাই ফেস্টিভ মুডে যেন নির্বাচন হয়। এটা জাতীয় নির্বাচন। সবার দায়িত্ব। ভোটারদের আগ্রহ করতে হবে। এজন্য সচতেনতা সৃষ্টি করতে হবে। তারা যেন ভোটকেন্দ্রে আসেন, ভোটটা যেন দেন। আমরা মোটামুটি চেষ্টা করবো আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সুষ্ঠু অবাধ পরিবেশ তৈরির।

ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় এই সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মনোনয়ন না পাওয়া নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

ইসির একার পক্ষে নির্বাচন সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না : সিইসি

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালো না হওয়ার কোনো সুযোগ জাতি হিসেবে আমাদের কাছে নেই বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা শুধু নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য গণমাধ্যম, জনগণ এবং রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতা অপরিহার্য।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের সূচনালগ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের ভার নির্বাচন সংস্কার কমিশন গ্রহণ করে নিয়েছে। তারা আলাপ আলোচনা করে আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। এটা আমাদের আলোচনার খাতিরে আলোচনা নয়। আমরা এটাকে মিনিংফুল হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের প্রস্তুতিতে যদি গ্য্পা থাকে আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছ থেকে এনলাইটেড হবো। আপনাদের সঙ্গে থেকে দেশকে এ ক্রান্তিলগ্ন থেকে এগিয়ে যেতে চাই। এই নির্বাচন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের শেপ ঠিক করবে। জাতি হিসেবে এ নির্বাচন ভালো হওয়ার ছাড়া উপায় নেই। সুতরাং সবাই মিলে এ নির্বাচন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন, জাতীয়ভাবেই করতে হবে। ইসির একার পক্ষে সামাল দেওয়ার সম্ভব হবে না।

নাসির উদ্দিন বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) ওপিনিয়ন মেকিংয়ের (মতামত দেওয়া) কারিগর। সেই সুযোগটা আমরা নিতে চাই। এই নির্বাচনটা ফ্রি-ফেয়ার হতে হবে। অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।

সিইসি বলেন, আমরা ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছি একাধিকবার। এটা করতে গিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এটার খুব দরকার ছিল।

নাসির উদ্দিন বলেন, একটা ক্রিটিক্যাল সময়ে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসী এবং নির্বাচনি কর্মকর্তাদের ভোটের ব্যবস্থা করছি। এটা এতদিন আইনে ছিল, কিন্তু বাস্তবে ছিল না। এটা করা কঠিন ছিল। অনলাইনে আমরা রেজিস্ট্রেশন করাবো। তারপর ভোট হবে পোস্টালে।

নির্বাচন কমিশনের সব উদ্যোগে সাংবাদিকদের পাশে চেয়ে সিইসি বলেন, আপনারা আমাদের সহযোদ্ধা। আপনারা আমাদের উদ্যোগগুলো প্রচার করবেন। মানুষকে সচেতন করবেন। আপনারা ওপিনিয়ন মোবিলাইজ করবেন। ভালো নির্বাচনে এগুলো আমাদের সহায়তা করবে। আমরা চাই, একদম ফেস্টিভ মুডে (উৎসবমুখর পরিবেশ) নির্বাচনটা হোক। ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে যান, সেজন্য আপনারা আমাদের হেল্প করবেন।

এ ধরনের আলোচনা আজই শেষ না জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, আজই আলোচনা শেষ না। এরপরও আপনাদের যদি কোনো পরামর্শ থাকে, আমাদের জানাবেন। আপনাদের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা।

তিনি বলেন, আমরা এবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ভোটের দায়িত্বে যারা থাকেন, তারা ভোট দিতে পারেন না, এসপি, রিটার্নিং কর্মকর্তারা তারা ভোট দিতে পারেন না। কাজেই তারা যাতে ভোট দিতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

সিইসি বলেন, আমরা ক্রিটিকাল সময়ে দায়িত্ব নিয়েছি। এর মধ্যেই আমরা পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করছি। এটা যদিও আগে ছিল। কাজীর গরু কিতাবে ছিল না, তেমন ছিল। আমরা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রবাসী ভাইয়েরা বলেছেন, আমরা ভোট দিতে চাই। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্বেও বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় মোটামুটি একটা পদ্ধতি বের করেছি। ডিজিটালের পাশপাশি। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার পর পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। অনেকটা সংকর পদ্ধতি। আমরা আপনাদের পাশে পেতে চাই। এগুলো প্রচার করবেন।

তিনি আরও বলেন, যত চেষ্টাই আমরা করি না কেন, মিডিয়া, জনগণ ও দলগুলো মেটার করে। মিডিয়ার দরকার মতামত গঠনের ক্ষেত্রে, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিতে। আমরা চাই ফেস্টিভ মুডে যেন নির্বাচন হয়। এটা জাতীয় নির্বাচন। সবার দায়িত্ব। ভোটারদের আগ্রহ করতে হবে। এজন্য সচতেনতা সৃষ্টি করতে হবে। তারা যেন ভোটকেন্দ্রে আসেন, ভোটটা যেন দেন। আমরা মোটামুটি চেষ্টা করবো আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সুষ্ঠু অবাধ পরিবেশ তৈরির।

ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় এই সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।