নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের বাইরে কুমিল্লা-১ আসনের (দাউদকান্দি- তিতাস) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সবুরের সমর্থকদের মারধর করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈমের সমর্থকরা। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাইম হাসান ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিক দুজনকে আটক করেন। আটক দুজন হলেন প্লাবন ও সানজিদ। তারা দুজনই কুমিল্লা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসানের সমর্থক বলে দাবি করেন।
জানা গেছে, কুমিল্লা-১ আসনের উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাইম হাসান প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আসেন। আপিলে ১ শতাংশ ভোটের কারণে তার প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনের গেট দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরের সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানিতে আজ কুমিল্লা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসান অংশ নেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তার আপিল নামঞ্জুর করা হয়। পরে তিনি বাইরে বেরিয়ে এলে তার সমর্থকদের সঙ্গে আবদুস সবুরের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আব্দুস সবুরের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসান। তিনি বলেন, তিনি বাইরে বেরিয়ে এলে তার কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে ‘নির্বাচনের আগেই হেরে গেছিস’ এমন কটুবাক্য বলা হয় এতে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ব্যারিষ্টার নাঈম এ বিষয়ে বলেন, আমাকে ও আমার সমর্থকদের কটূক্তিমুলক কথা বলায় আমার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়। এসময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সারোয়ার বাবু ও মুরাদসহ আরও কয়েকজন হামলা চালিয়েছে।
তবে সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, আমি স্থানীয় যুবলীগের সাবেক নেতা। এখানে দেখতে এসেছিলাম। কোনো মারামারি করিনি।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক নিয়ামুল ইসলাম বলেন, একটু উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে পুলিশ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দর ও স্বাভাবিক রয়েছে। আসলে কাউকে আমরা আটক করিনি। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য হেফাজতে রাখা হয়েছে।