আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলের রকেট হামলায় হিজবুল্লাহর ৭ সদস্য নিহত হয়েছেন। এই নিয়ে হিজবুল্লাহর ১৯ সদস্য নিহত হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২০ অক্টোবর) হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এক ইসরাইলি সেনা কমান্ডার নিহত হন। এতে আহত হন আরও দুই সেনা। এর জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে এক দিনে হিজবুল্লাহর ৭ সদস্য নিহত হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার লেবাননে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের একজন সৈন্যকে অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা লেবানন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জবাবে শনিবার হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি আস্তানায় হামলা চালিয়েছে। তবে হিজবুল্লাহকে নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর হাজার হাজার রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ড্রোন সমন্বিত অস্ত্রের ভাণ্ডার রয়েছে এবং উত্তর ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর পাঁয়তারা করছে হিজবুল্লাহ।

এর আগে ইসরায়লি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছিলেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধটা অনেক বেশি কঠিন হবে, এ কারণে উত্তর ফ্রন্টে যুদ্ধের জন্য বড় ধরণের প্রস্তুতি জরুরি।

এদিকে হিজবুল্লাহর উপ মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম শনিবার রাতে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তব্য বলেন হিজবুল্লাহকে চলমান যুদ্ধে হস্তক্ষেপ না করার জন্য বহু পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা এখন যুদ্ধের ঠিক মাঝখানে ঢুকে পড়েছি এবং এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আর সুযোগ নেই। যারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তাদেরকে আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আগে দখলদার সেনাদেরকে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে, তবেই এ যুদ্ধের বিস্তার রোধ করা যাবে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে ইসরায়েলের। গাজার হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যে এটি একটি।