আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো অন্তত ১৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ২৯০ জন ফিলিস্তিনি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৫ জন নিহত এবং ২৯০ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ের গাজা যুদ্ধে ২৬ হাজার ৪২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১১ হাজারে বেশি শিশু এবং সাড়ে সাত হাজার নারী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬৫ হাজার ৮৭ জন মানুষ।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজার মোট ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় ৮৫ শতাংশই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। সেখানকার হাজার হাজার মানুষ উপকূলীয় এই উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন।
সংস্থাটি বলছে, উপত্যকার প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ অনাহারে রয়েছে। অব্যাহত বোমাবর্ষণ আর ইসরায়েলের বিধিনিষেধের কারণে পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তাও পৌঁছাতে পারছে না গাজায়।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সম্প্রতি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, শহরটিতে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে হামাস। ফলে বর্তমানে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছেন।