Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজা উপত্যকার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও অন্তত ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাত শুরুর পর থেকে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজা মোট নিহত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৬ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন ফিলিস্তিনি।

আর বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাদের বোমা-গুলিতে গাজায় নিহত হয়েছেন ৭১ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৭৬ জন ফিলিস্তিনি।

কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ড. হোসাম আবু সাফিয়া জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় রাতভর হামলায় ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। হামলার সময় সেখানে প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, হাসপাতালের মেডিকেল টিম ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৬৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। কোনো আধুনিক উদ্ধার সরঞ্জাম না থাকায় হাত দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। ড. সাফিয়া সতর্ক করেন, যদি আন্তর্জাতিক সহায়তা না আসে এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম না পৌঁছায়, তবে হাসপাতালটি ‘গণকবরে’ পরিণত হতে পারে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এই হামলাগুলোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলাগুলো এমন সময়ে ঘটলো, যখন গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় অভিযান নতুন করে জোরদার হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজারের বেশি মানুষ। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

প্রকাশের সময় : ১১:৪৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজা উপত্যকার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও অন্তত ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাত শুরুর পর থেকে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজা মোট নিহত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৬ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন ফিলিস্তিনি।

আর বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাদের বোমা-গুলিতে গাজায় নিহত হয়েছেন ৭১ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৭৬ জন ফিলিস্তিনি।

কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ড. হোসাম আবু সাফিয়া জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় রাতভর হামলায় ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। হামলার সময় সেখানে প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, হাসপাতালের মেডিকেল টিম ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৬৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। কোনো আধুনিক উদ্ধার সরঞ্জাম না থাকায় হাত দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। ড. সাফিয়া সতর্ক করেন, যদি আন্তর্জাতিক সহায়তা না আসে এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম না পৌঁছায়, তবে হাসপাতালটি ‘গণকবরে’ পরিণত হতে পারে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এই হামলাগুলোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলাগুলো এমন সময়ে ঘটলো, যখন গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় অভিযান নতুন করে জোরদার হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজারের বেশি মানুষ। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।