Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইলিশের দাম বেশি থাকার যেসব কারণ জানালেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরবরাহ কম থাকায় পাশাপাশি চাঁদাবাজি ও ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় কারণে দেশে বর্তমানে ইলিশের দাম বেশি বলে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, এখন ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকার ওপরে। দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ইলিশের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরবরাহ কম, এটা প্রধান কারণ। ঢাকায় ইলিশ এখনো সেইভাবে আসেনি। আর চাঁদাবাজিও আছে, এটা এখনো বন্ধ করা যায়নি। ডিজেলের দামও বেশি।

ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। এ বছর জাটকা রক্ষা সপ্তাহসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে ইলিশ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। ১২ জুন থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আহরিত হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মডেল অনুযায়ী ২০২৪-২৫ সালে বাংলাদেশের ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন হতে পারে। কিন্তু এটাও সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মতো উৎপাদন হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে প্রকৃত উৎপাদন আরও কম হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ দিয়ে জাটকা রক্ষায় যৌথভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছি কিন্তু নির্বিচার জাটকা নিধন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা যায়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নদীর নাব্যতা হ্রাস এবং নদী দূষণ, বৃষ্টিপাত সময় মতো না হওয়া, মাত্রাতিরিক্ত তাপ ইত্যাদি। গত দু’এক সপ্তাহে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ঝড় বাদলের কারণে জেলেরা মাছ ধরতে যেতে পারেনি। তবে যারা যেতে পেরেছেন তারা মাছ পাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, ইলিশের দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নেই। ঢাকায় ১ কেজির কম ওজনের ইলিশ এখনও ২০০০ টাকার বেশি। বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে বলে আমরা আশা করছি। এরইমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বরিশাল ও চট্টগ্রামে তুলনামূলকভাবে ইলিশের দাম কম।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে বসবাসরত আপামর জনগোষ্ঠীর মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে প্রাথমিকভাবে এক বা দুইটি দেশে (বিশেষত যেখানে অপেক্ষাকৃত বেশি সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন) ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সৌদি আরবে ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে এটা পাঠানো হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইলিশের দাম বেশি থাকার যেসব কারণ জানালেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০২:০৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরবরাহ কম থাকায় পাশাপাশি চাঁদাবাজি ও ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় কারণে দেশে বর্তমানে ইলিশের দাম বেশি বলে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, এখন ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকার ওপরে। দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ইলিশের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরবরাহ কম, এটা প্রধান কারণ। ঢাকায় ইলিশ এখনো সেইভাবে আসেনি। আর চাঁদাবাজিও আছে, এটা এখনো বন্ধ করা যায়নি। ডিজেলের দামও বেশি।

ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। এ বছর জাটকা রক্ষা সপ্তাহসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে ইলিশ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। ১২ জুন থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আহরিত হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মডেল অনুযায়ী ২০২৪-২৫ সালে বাংলাদেশের ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন হতে পারে। কিন্তু এটাও সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মতো উৎপাদন হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে প্রকৃত উৎপাদন আরও কম হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ দিয়ে জাটকা রক্ষায় যৌথভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছি কিন্তু নির্বিচার জাটকা নিধন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা যায়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নদীর নাব্যতা হ্রাস এবং নদী দূষণ, বৃষ্টিপাত সময় মতো না হওয়া, মাত্রাতিরিক্ত তাপ ইত্যাদি। গত দু’এক সপ্তাহে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ঝড় বাদলের কারণে জেলেরা মাছ ধরতে যেতে পারেনি। তবে যারা যেতে পেরেছেন তারা মাছ পাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, ইলিশের দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নেই। ঢাকায় ১ কেজির কম ওজনের ইলিশ এখনও ২০০০ টাকার বেশি। বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে বলে আমরা আশা করছি। এরইমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বরিশাল ও চট্টগ্রামে তুলনামূলকভাবে ইলিশের দাম কম।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে বসবাসরত আপামর জনগোষ্ঠীর মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে প্রাথমিকভাবে এক বা দুইটি দেশে (বিশেষত যেখানে অপেক্ষাকৃত বেশি সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন) ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সৌদি আরবে ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে এটা পাঠানো হবে।