আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় খোরাসান প্রদেশে একটি কয়লা খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৭ জন। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পূর্বাঞ্চলে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ জন নিহত এবং আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রোববার জানিয়েছে। বিস্ফোরণের পর কিছু খনি শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়েছেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী তেহরানের দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৫৪০ কিলোমিটার (৩৩৫ মাইল) দূরে অবস্থিত তাবাসে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণটি ঘটে।
পৃথক প্রতিবেদনে বাতূাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ইরানের দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশে একটি কয়লা খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ জন নিহত এবং আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন বলে রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে। এই ঘটনায় ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, মদনজু কোম্পানির পরিচালিত ওই খনির দুটি ব্লকে মিথেন গ্যাস বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের সময় ব্লকে ৬৯ জন শ্রমিক ছিলেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
ইরানের রেড ক্রিসেন্টের প্রধানের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, আহত ১৭ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় বিস্ফোরণটি ঘটে বলেও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি মন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছি এবং আমরা এই ঘটনার বিষয়ে আমাদের কর্তব্য পালন করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
ইরানের খনিগুলো থেকে প্রতি বছর ১৮ লাখ টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু খনি এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও জরুরি পরিষেবা না থাকায় প্রায়ই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে। ২০১৩ সালে দুটি পৃথক খনি দুর্ঘটনায় ১১ জন শ্রমিক নিহত হন। ২০০৯ সালে বিভিন্ন ঘটনায় ২০ জন শ্রমিক নিহত হন। ২০১৭ সালে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছিল।