Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের ৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইরানের ছয় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি তদারকি ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট।

তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ইরানের সরকারের বেপরোয়া প্রচেষ্টা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই নয় বরং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। তাই ইরান যেন পরমাণু প্রকল্প অগ্রসর করার মাধ্যমে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে না পারে, সেজন্য সবসময় যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করে যাবে।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের সবাই ইরানের পরমাণু প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বলেও জানান স্কট বেসেন্ট।

কোন কোন কোম্পানি ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টি আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত।

প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- অ্যাটমিক অ্যানার্জি অর্গানাইজেশন অব ইরান (এইওআই) এবং দ্য ইরান সেন্ট্রিফিউজ কোম্পানি (টিইএসএ)। প্রতিষ্ঠান দুটি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।

গত ৭ এপ্রিল অনেকটা আকস্মিকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু হচ্ছে ওয়াশিংটনের। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগশি বলেছেন, আলোচনা হবে পরোক্ষভাবে ও এতে ওমান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকবে।

এরপর ৮ এপ্রিল ট্রাম্প বলেন, এই আলোচনা যদি সফল না হয়, সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে বড় মাত্রার বিপদে পড়বে ইরান। এমনকি দেশটিতে বোমা হামলাও হতে পারে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

ইরানের ৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশের সময় : ১০:৩৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইরানের ছয় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি তদারকি ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট।

তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ইরানের সরকারের বেপরোয়া প্রচেষ্টা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই নয় বরং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। তাই ইরান যেন পরমাণু প্রকল্প অগ্রসর করার মাধ্যমে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে না পারে, সেজন্য সবসময় যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করে যাবে।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের সবাই ইরানের পরমাণু প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বলেও জানান স্কট বেসেন্ট।

কোন কোন কোম্পানি ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টি আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত।

প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- অ্যাটমিক অ্যানার্জি অর্গানাইজেশন অব ইরান (এইওআই) এবং দ্য ইরান সেন্ট্রিফিউজ কোম্পানি (টিইএসএ)। প্রতিষ্ঠান দুটি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।

গত ৭ এপ্রিল অনেকটা আকস্মিকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু হচ্ছে ওয়াশিংটনের। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগশি বলেছেন, আলোচনা হবে পরোক্ষভাবে ও এতে ওমান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকবে।

এরপর ৮ এপ্রিল ট্রাম্প বলেন, এই আলোচনা যদি সফল না হয়, সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে বড় মাত্রার বিপদে পড়বে ইরান। এমনকি দেশটিতে বোমা হামলাও হতে পারে।