আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলে তেহরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে এবার ইরানে প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা চালালো ইসরায়েলি সামারিক বাহিনী। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা ‘ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট হামলা’ শুরু করেছে।
তেহরানে কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। তবে, হতাহত ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টায় এ হামলা শুরু হয়। এ হামলার কঠিন জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ইরানের মিসাইল হামলার পর থেকে মাসব্যাপী ইরান সমর্থক গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণের জবাবে এ হামলা চালানো হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, উভয়কেই ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে ইরানে ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তবে ওয়াশিংটনকে এই হামলা সম্পর্কে আগেই অবহিত করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অপরদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলভিশন জানিয়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানাকে জানিয়েছে জানিয়েছে, মধ্য ও দক্ষিণ সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানের রেভুলেশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ একটি সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী তেহরানের পশ্চিম ও দক্ষিণের কিছু সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরান থেকে সব রুটে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তা বন্ধই থাকবে।
এদিকে, সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলীয় কিছু সামরিক স্থাপনাতেও হামলা করেছে ইসরায়েল।
অন্যদিকে, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরাকের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।