Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরাকে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ তীর্থযাত্রী নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৬ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই ইরানের এবং শিয়া অনুসারি। তারা সকলেই বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ আরবাইনের যোগ দিতে পবিত্র নগরী কারবালায় এসেছিলেন।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইএনএ শনিবার ইরাকের সালাহউদ্দীন প্রদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিচালক খালেদ বুরহানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দুজাইল এবং সামাররা শহরের মধ্যে দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আরও ১৩ জন আহত হয়েছে।

তবে পরিস্থিতির বিশদ বিবরণ দেননি বুরহান। তিনি বলেছেন, নিহতদের বেশিরভাগই ইরান থেকে আসা দর্শনার্থী। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সালাহউদ্দিনের একজন মেডিকেল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, শুক্রবার মধ্যরাতের আগে দুটি মিনিবাস একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর আরবাইন পালন শুরুর পর থেকে আকাশ ও সড়কপথে ইরাকের সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় ২৬ লাখ পূণ্যার্থী দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। প্রায় প্রতি বছরই আরবাইনের সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ বছরের শোক পালন শেষ হয়েছে বুধ ও বৃহস্পতিবার।

দুর্ঘটনা পরিস্থিতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি খালেদ বুরহান। তবে বলেছেন, নিহতদের বেশিরভাগই ইরান থেকে আসা শিয়া মুসলিম পূণ্যার্থী। প্রতি বছর লাখ লাখ শিয়া পূণ্যার্থী বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান আরবাইন-এ যোগ দিতে পবিত্র শহর কারবালায় আসেন। পূণ্যার্থীদের বেশিরভাগই আসেন ইরান থেকে।

তেল-সমৃদ্ধ ইরাকে সংঘাত, উদাসীনতা ও অন্তহীন দুর্নীতির কারণে সড়ক ও সেতুসহ প্রায় সকল অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহার, মদ্যপ অবস্থায় ও অতিরিক্ত গতিবেগে গাড়ি চালানোকেও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানটি ইমাম হুসেনের শাহাদাত হওয়া উপলক্ষ্যে ৪০ দিনের শোক পালনের উদ্দেশে পালিত হয়ে থাকে। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে এই অনুষ্ঠান শেষ হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছর ইরাকে ৪ হাজার ৯০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং প্রতিদিন গড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন।

দ্বন্দ্ব, অবহেলা এবং স্থানীয় দুর্নীতি কারণে তেল সমৃদ্ধ ইরাকের অবকাঠামো, রাস্তা ও সেতুসহ অন্যান্য অবকাঠামোর বেহাল দশা। কর্মকর্তারা আরও বলেন, গাড়ি চালানোর সময় গতি এবং মোবাইল ফোনের ব্যবহার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেন হাসিনা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীদের অভিযোগ

ইরাকে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ তীর্থযাত্রী নিহত

প্রকাশের সময় : ১১:৫৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৬ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই ইরানের এবং শিয়া অনুসারি। তারা সকলেই বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ আরবাইনের যোগ দিতে পবিত্র নগরী কারবালায় এসেছিলেন।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইএনএ শনিবার ইরাকের সালাহউদ্দীন প্রদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিচালক খালেদ বুরহানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দুজাইল এবং সামাররা শহরের মধ্যে দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আরও ১৩ জন আহত হয়েছে।

তবে পরিস্থিতির বিশদ বিবরণ দেননি বুরহান। তিনি বলেছেন, নিহতদের বেশিরভাগই ইরান থেকে আসা দর্শনার্থী। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সালাহউদ্দিনের একজন মেডিকেল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, শুক্রবার মধ্যরাতের আগে দুটি মিনিবাস একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর আরবাইন পালন শুরুর পর থেকে আকাশ ও সড়কপথে ইরাকের সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় ২৬ লাখ পূণ্যার্থী দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। প্রায় প্রতি বছরই আরবাইনের সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ বছরের শোক পালন শেষ হয়েছে বুধ ও বৃহস্পতিবার।

দুর্ঘটনা পরিস্থিতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি খালেদ বুরহান। তবে বলেছেন, নিহতদের বেশিরভাগই ইরান থেকে আসা শিয়া মুসলিম পূণ্যার্থী। প্রতি বছর লাখ লাখ শিয়া পূণ্যার্থী বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান আরবাইন-এ যোগ দিতে পবিত্র শহর কারবালায় আসেন। পূণ্যার্থীদের বেশিরভাগই আসেন ইরান থেকে।

তেল-সমৃদ্ধ ইরাকে সংঘাত, উদাসীনতা ও অন্তহীন দুর্নীতির কারণে সড়ক ও সেতুসহ প্রায় সকল অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহার, মদ্যপ অবস্থায় ও অতিরিক্ত গতিবেগে গাড়ি চালানোকেও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানটি ইমাম হুসেনের শাহাদাত হওয়া উপলক্ষ্যে ৪০ দিনের শোক পালনের উদ্দেশে পালিত হয়ে থাকে। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে এই অনুষ্ঠান শেষ হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছর ইরাকে ৪ হাজার ৯০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং প্রতিদিন গড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন।

দ্বন্দ্ব, অবহেলা এবং স্থানীয় দুর্নীতি কারণে তেল সমৃদ্ধ ইরাকের অবকাঠামো, রাস্তা ও সেতুসহ অন্যান্য অবকাঠামোর বেহাল দশা। কর্মকর্তারা আরও বলেন, গাড়ি চালানোর সময় গতি এবং মোবাইল ফোনের ব্যবহার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।