Dhaka শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইভিএম হলো টিকার মতো, আগে অনেক ভয় থাকে, দেওয়ার সময় টেরও পায় না : ইসি আলমগীর

মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ইভিএম হলো টিকার মতো, আগে অনেক ভয় থাকে, দেওয়ার সময় টেরও পায় না। ইভিএমে অত্যন্ত সহজ এবং ভোট শেষে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করে। এই পদ্ধতিতে ভোটের বাক্স ছিনতাইয়ের ভয় থাকে না, একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারে না ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন ।

ইসি আলমগীর বলেন, এখন সবাই অনেক স্মার্ট, সবার কাছেই স্মার্ট ফোন রয়েছে। ভোটাররা ভোট দিতে আসলে দেখবে ইভিএমে ভোট দিতে অনেক সহজ। আমাদের অভিজ্ঞাতা অনুযায়ী, যে সকল জায়গায় ইভিএমে আমারা ভোট করেছি, সেখানে ফিডব্যাক অনেক ভালো পেয়েছি। ভোটের পরে সব প্রার্থী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোনো রকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয়। কেউ যেন অন্যায়ভাবে কোনো প্রার্থীর প্রচারে বাধা দিতে না পারে। কোনো ভোটারকে ভোট দিতে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এবং ভোটার তার ভোট শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে।

আলমগীর বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগেও কিন্তু যে কেউ নির্বাচন করতে পারতো, কোনো রাজনৈতিক পরিচয় প্রয়োজন ছিল না। মাঝে আনইটা করা হয়েছিল যাতে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা হয়ে আসে। এবার আপনারা দেখেছেন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এটিকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। যার ফলে এখন আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেবার নেই।

ইসি আলমগীর বলেন, একটা হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্ত। আরেকটা হলো নির্বাচন কমিশনের আইন। নির্বাচন কমিশনের আইনে আত্মীয়-অনাত্মীয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত, তাদের পলিসি। তবে যে কোনো দল অথবা যে কেউ বলুক না কেন, যেটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে সেটাকে আমরা ওয়েলকাম জানাই।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেখানেই প্রভাব বিস্তার অথবা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোন প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাধা দিতে না পারে এই ম্যাসেজ আজকের সভায় দিয়েছি।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেকে রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের (বিএনপি) অনেক কর্মী-সর্মথকরা অফিসিয়ালি না করলেও আন-অফিসিয়ালি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সেদিক থেকে বলা যাবে না এই নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না।

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, দেখেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকলের সহযোগিতায় উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এটা আরও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন , আপনারা দেখেছেন সিংড়া এলাকায় যে প্রার্থী তাকে আমরা ডাকিয়েছি , সঠিক উত্তর না দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । নোয়াখালী এলাকায় একজন সংসদ সদস্য তার ছেলেকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন দেখে আমরা তাকেও সতর্ক করেছি এবং এই রকম আরও আছে তাদের প্রত্যেককেই বিরত থাকার জন্য বলেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞাসহ আরও অনেকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইভিএম হলো টিকার মতো, আগে অনেক ভয় থাকে, দেওয়ার সময় টেরও পায় না : ইসি আলমগীর

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ইভিএম হলো টিকার মতো, আগে অনেক ভয় থাকে, দেওয়ার সময় টেরও পায় না। ইভিএমে অত্যন্ত সহজ এবং ভোট শেষে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করে। এই পদ্ধতিতে ভোটের বাক্স ছিনতাইয়ের ভয় থাকে না, একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারে না ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন ।

ইসি আলমগীর বলেন, এখন সবাই অনেক স্মার্ট, সবার কাছেই স্মার্ট ফোন রয়েছে। ভোটাররা ভোট দিতে আসলে দেখবে ইভিএমে ভোট দিতে অনেক সহজ। আমাদের অভিজ্ঞাতা অনুযায়ী, যে সকল জায়গায় ইভিএমে আমারা ভোট করেছি, সেখানে ফিডব্যাক অনেক ভালো পেয়েছি। ভোটের পরে সব প্রার্থী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোনো রকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয়। কেউ যেন অন্যায়ভাবে কোনো প্রার্থীর প্রচারে বাধা দিতে না পারে। কোনো ভোটারকে ভোট দিতে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এবং ভোটার তার ভোট শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে।

আলমগীর বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগেও কিন্তু যে কেউ নির্বাচন করতে পারতো, কোনো রাজনৈতিক পরিচয় প্রয়োজন ছিল না। মাঝে আনইটা করা হয়েছিল যাতে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা হয়ে আসে। এবার আপনারা দেখেছেন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এটিকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। যার ফলে এখন আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেবার নেই।

ইসি আলমগীর বলেন, একটা হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্ত। আরেকটা হলো নির্বাচন কমিশনের আইন। নির্বাচন কমিশনের আইনে আত্মীয়-অনাত্মীয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত, তাদের পলিসি। তবে যে কোনো দল অথবা যে কেউ বলুক না কেন, যেটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে সেটাকে আমরা ওয়েলকাম জানাই।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেখানেই প্রভাব বিস্তার অথবা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোন প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাধা দিতে না পারে এই ম্যাসেজ আজকের সভায় দিয়েছি।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেকে রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের (বিএনপি) অনেক কর্মী-সর্মথকরা অফিসিয়ালি না করলেও আন-অফিসিয়ালি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সেদিক থেকে বলা যাবে না এই নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না।

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, দেখেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকলের সহযোগিতায় উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এটা আরও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন , আপনারা দেখেছেন সিংড়া এলাকায় যে প্রার্থী তাকে আমরা ডাকিয়েছি , সঠিক উত্তর না দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । নোয়াখালী এলাকায় একজন সংসদ সদস্য তার ছেলেকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন দেখে আমরা তাকেও সতর্ক করেছি এবং এই রকম আরও আছে তাদের প্রত্যেককেই বিরত থাকার জন্য বলেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞাসহ আরও অনেকে।