ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে ককটেলসদৃশ ছয়টি বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ও শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে ক্যাম্পাসের পৃথক চারটি স্থান থেকে এসকল ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেন পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এগুলো ককটেল কি না বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডি।
প্রক্টরিয়ার বডি ও নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে এ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছয়টি ককটেল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাতে লালন শাহ হলের পকেট গেটে দুইটি এবং সকালে জিয়া হলের সামনে একটি, ব্যবসায় অনুষদ ভবনের পাশে দুইটি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে একটি ককটেলসদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে এগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য পানির ভেতর রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, গভীর রাতে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্যটি জানতে পারি। এখন পর্যন্ত ছয়টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। ইবি থানা পুলিশের সহায়তায় সবগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ক্যাম্পাস খোলার পরেই এমন ঘটনা আতঙ্কজনক। তবে আমি মনে করি এটা কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না। গোয়েন্দা সংস্থা কাজ শুরু করেছে।
ক্যাম্পাস খোলার পরপরই এমন ঘটনা আতঙ্কজনক। আজই স্পেশাল টিম এনে পুরো ক্যাম্পাসে অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরো বলেন, কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিকভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।
ইবি থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, ইবি প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। যেহেতু দৃশ্যমান স্থানে এসব বস্তু পাওয়া গেছে এবং একটিও বিস্ফোরণ ঘটেনি, সুতরাং সন্দেহজনকও বটে। তাই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ককটেল বিষয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত সুতরাং বিষয়টিকে ছোট করে দেখা যাচ্ছে না। ক্যাম্পাসে এ ধরনের বস্তু পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। নির্বাচনকেন্দ্রিক কারও কোনো নাশকতার ভাবনা থেকে থাকলে সবগুলো এক জায়গায় থাকতো। বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখা হতো না। বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখা এটা উদ্বেগজনক। কেননা এখানে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চলাফেরা করেন। তাদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেও এটা করা হয়ে থাকতে পারে। ইবি থানা ও প্রক্টরিয়াল বডিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে জিডি করা হবে।
এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে কিনা, জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ঠিক জানি না। তবে সারাবছর কমবেশি নিয়োগ বোর্ড থাকে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর সাথে ওটার সম্পৃক্ততা আছে কিনা বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করলে বিষয়গুলো বেরিয়ে আসবে।