Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্টারনেট স্বাভাবিক হতে ‘এক সপ্তাহ’ লাগবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মহাখালীর বহুতল ভবন খাজা টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবায় যে বিঘ্ন ঘটেছিল, তা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এটি ঠিক হতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন- বিআইএসপিএ।

বিআইএসপিএ জানায়, ভবনটিতে প্রবেশ করে ডেটা সেন্টার চালু করতে পারলে ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই মোটামুটি স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে। কিন্তু তাঁদের ভবনটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ভবনে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঘটনাস্থালে যান। পরিস্থিতি দেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঞা।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট সেবাদাতাদের কোনো সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা নয়। কারণ, সেগুলো সুরক্ষিত থাকে। তবে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখনো জানা যায়নি।

নাজমুল করিম বলেন, নিরাপত্তার কারণে ভবনে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় ডেটা সেন্টার চালু করা যাচ্ছে না। অন্তত একটা ডেটা সেন্টার চালু করা গেলে ইন্টারনেট আজই আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। জেনারেটর দিয়ে এখনো ডেটা সেন্টার চালু করা সম্ভব। তবে এ জন্য তাঁদের ভবনে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, সারাদেশে ৫০০ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ইন্টারনেট পাচ্ছে না। এই ক্ষতির কারণে ৪০ শতাংশ মানুষ কোনোভাবে ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। আমাদের যে পরিমাণ ব্যাকআপ সিস্টেম আছে সেটা অপ্রতুল। ফেসবুক এবং গুগলের ডাটাবেজ রয়েছে। রবি ডিভাইস আছে, এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাকআপ সার্ভিস রয়েছে। এই ক্ষতির কারণে আগামীকালও সমস্যা হতে পারে।

নাজমুল করিম ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ২৯ তারিখ সকালের দিকে ইন্টারনেটে গতি ফিরবে।

ভবনটিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো কোম্পানির ডাটা সেন্টার ও সার্ভার রয়েছে। যেগুলোর সঙ্গে সারাদেশের বেশিরভাগ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) যুক্ত। ব্রডব্যান্ডের পাশাপাশি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

ইন্টারনেট সেবা পুনরায় সচল করতে হলে খাজা টাওয়ারে থাকা ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা দাবি করছেন আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৃহস্পতিবার (২৬ অেেক্টাবর) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। ভবনটিতে শীর্ষস্থানীয় কিছু ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের ডেটা সেন্টার রয়েছে, যার মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইন্টারনেট স্বাভাবিক হতে ‘এক সপ্তাহ’ লাগবে

প্রকাশের সময় : ০৫:১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মহাখালীর বহুতল ভবন খাজা টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবায় যে বিঘ্ন ঘটেছিল, তা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এটি ঠিক হতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন- বিআইএসপিএ।

বিআইএসপিএ জানায়, ভবনটিতে প্রবেশ করে ডেটা সেন্টার চালু করতে পারলে ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই মোটামুটি স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে। কিন্তু তাঁদের ভবনটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ভবনে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঘটনাস্থালে যান। পরিস্থিতি দেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঞা।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট সেবাদাতাদের কোনো সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা নয়। কারণ, সেগুলো সুরক্ষিত থাকে। তবে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখনো জানা যায়নি।

নাজমুল করিম বলেন, নিরাপত্তার কারণে ভবনে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় ডেটা সেন্টার চালু করা যাচ্ছে না। অন্তত একটা ডেটা সেন্টার চালু করা গেলে ইন্টারনেট আজই আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। জেনারেটর দিয়ে এখনো ডেটা সেন্টার চালু করা সম্ভব। তবে এ জন্য তাঁদের ভবনে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, সারাদেশে ৫০০ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ইন্টারনেট পাচ্ছে না। এই ক্ষতির কারণে ৪০ শতাংশ মানুষ কোনোভাবে ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। আমাদের যে পরিমাণ ব্যাকআপ সিস্টেম আছে সেটা অপ্রতুল। ফেসবুক এবং গুগলের ডাটাবেজ রয়েছে। রবি ডিভাইস আছে, এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাকআপ সার্ভিস রয়েছে। এই ক্ষতির কারণে আগামীকালও সমস্যা হতে পারে।

নাজমুল করিম ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ২৯ তারিখ সকালের দিকে ইন্টারনেটে গতি ফিরবে।

ভবনটিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো কোম্পানির ডাটা সেন্টার ও সার্ভার রয়েছে। যেগুলোর সঙ্গে সারাদেশের বেশিরভাগ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) যুক্ত। ব্রডব্যান্ডের পাশাপাশি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

ইন্টারনেট সেবা পুনরায় সচল করতে হলে খাজা টাওয়ারে থাকা ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা দাবি করছেন আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৃহস্পতিবার (২৬ অেেক্টাবর) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। ভবনটিতে শীর্ষস্থানীয় কিছু ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের ডেটা সেন্টার রয়েছে, যার মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়।