নিজস্ব প্রতিবেদক :
জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাকাণ্ড পরিচালনায় সহায়তার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হাসিনার বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ১০ ডিসেম্বর হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগে থেকেই আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান ও পলক একাধিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি এ মামলায় পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। পরে তা মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার দায়ে জয় ও পলকের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) জমা দেয় প্রসিকিউশন। এর আগে, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর তামিম।
প্রসিকিউশন বলছে, আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করে সংঘটিতভাবে হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করা হয়। এ অভিযোগে শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধ তদন্ত শেষ হয়েছে।
অভিযোগ আছে, আন্দোলন তিন সপ্তাহ পার হলে সময় হঠাৎ হঠাৎ বন্ধ করা হতো ইন্টারনেট সেবা। ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ছিল মোবাইল ইন্টারনেট।
এ ছাড়া ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ ছিল ১৩ দিন; যা স্বাভাবিক হয় ৫ আগস্ট দুপুর থেকে।
এদিকে আরেক মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করতে যাচ্ছে প্রসিকিউশন। এই দুজনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে কারফিউ জারি করে আন্দোলনকারীদের শেষ করে দেয়াসহ সব হত্যাকাণ্ডের পরামর্শ দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে।
সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার অথবা আগামী সপ্তাহে দুই মামলায় জয় ও পলক এবং আনিসুল ও সালমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবে প্রসিকিউশন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















