Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইতালির কাছে হারল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ফিফা বিশ্বকাপের মতো অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপেরও পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের এবারের আসরে ব্রাজিলের যুবারা নেমেছে হেক্সা মিশনে। যেখানে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ ছিল ইতালি যুব দল।

রোববার (২১ মে) বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ৩টায় আর্জেন্টিনার এস্তাদিও মালভিনাস স্টেডিয়ামে ইতালির যুবাদের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে নেইমারের দেশটি। ম্যাচটিতে ব্রাজিলের হয়ে জোড়া গোল করেন মার্কোস লিওনার্দো। ইতালির হয়ে জোড়া গোল পেয়েছেন সিজার কাসেদাই এবং একটি গোল করেছেন মাত্তেও প্রাতি।

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে উড়িয়ে দিলো ইতালি

এবারের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের লক্ষ্য শিরোপা জয়। কিন্তু প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করে বসে হলুদ জার্সিধারীরা। শুরু থেকেই আধিপত্য দেখাতে শুরু করে ইতালি। এদিন প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করে বসে হলুদ জার্সিধারীরা।

ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটের মাথায় প্রথম আক্রমণে যায় তারা। কিন্তু ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ইতালিয় ফুটবলার সিজার কাসেডির নেয়া শট গোলপোস্টের কিছুটা উপর দিয়ে চলে যায়। এরপরের তিন মিনিটে ব্রাজিল তিনটি কর্ণার পেলেও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১১ তম মিনিটে ডিবক্সের ভেতর থেকে ইতালির ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডার মাত্তেও ডান পায়ের কিক থেকে দলকে লিড এনে দেন। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে ব্রাজিল মরিয়া চেষ্টা চালায় সমতায় ফিরতে। তবে ২৭ মিনিটে উল্টো গোল হজম করতে হয় সেলেসাও বাহিনীকে। কর্ণার কিক থেকে আসা বলে ইতালির হয়ে এবারের গোলটি করে সিজার কাসেদাই। তাতে ম্যাচের ৩০ মিনিট না পেরোতেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে লাতিন আমেরিকান জায়ান্টরা।

গোল ব্যবধান কমাতে মরিয়া ব্রাজিলের ভুলে নিজেদের তৃতীয় গোল পায় ইতালি। নিজেদের ডি বক্সে ইতালিয়ান ফুটবলার কাসেদাইকে ফাউল করে বসেন ব্রাজিলিয়ান আর্থার। আর এ সুযোগে পেনাল্টিতে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন কাসেদাই। ব্রাজিলকে হতাশ করে ৩ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ইতালি।

ছবি : সংগৃহীত

বিরতির পর খেলা শুরু হতেই দুজন বদলি খেলোয়াড় নামায় ব্রাজিল। কিন্তু তবুও ইতালির রক্ষণে কোনো চিড় ধরাতে পারেনি তারা। উল্টো আবারও ক্যেকবার আক্রমণে যায় ইতালি। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ইতালির গোল পোস্ট লক্ষ্য করে প্রথম শট নেয় ব্রাজিল। কিইন্তু তাও ব্যর্থ হয়। এরপর খেলার গতি কিছুটা বারে সেলেসাওদের। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর ম্যাচের ৭২ মার্কো লিওনার্দোর নেয়া শটে মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় ব্রাজিলিয়ান যুবারা।

এরপর দুই দলই আক্রমণে গেলেও গোলের দেখা পায়নি কেউ। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় সষ্ঠ বিশ্বকাপ জিততে নামা ব্রাজিলিয়ান যুবারা। প্রথম গোল করা লিওনার্দোই ডি বক্সের ভেতর থেকে দ্বিতীয় গোল করে এগিয়ে দেন নিজের দলকে। কিন্তু সমতায় ফিরতে তখনও আরও এক গোল দরকার। কিন্তু ম্যাচের শেষ অব্দি আর তেমন আরকমণে যেতে পারেনি কোনো দলই। ফলে যুব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৩-২ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সেলেসাওদের।

যুব বিশ্বকাপে ব্রাজিল-ইতালি রয়েছে ‘গ্রুপ ডি’তে। এই গ্রুপের অপর দুই দল হলো নাইজেরিয়া ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পরবর্তী ম্যাচগুলো হলো ২৪ মে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে এবং ২৭ মে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে।

উল্লেখ্য, ছয় গ্রুপের ২৪ দলের মধ্যে প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুইটি করে মোট ১২টি ও তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা ৪টি দল যাবে নকআউট পর্বে। এরপর শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল শেষে ১১ জুন শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সুনামগঞ্জে প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

ইতালির কাছে হারল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল

প্রকাশের সময় : ০২:০৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ফিফা বিশ্বকাপের মতো অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপেরও পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের এবারের আসরে ব্রাজিলের যুবারা নেমেছে হেক্সা মিশনে। যেখানে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ ছিল ইতালি যুব দল।

রোববার (২১ মে) বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ৩টায় আর্জেন্টিনার এস্তাদিও মালভিনাস স্টেডিয়ামে ইতালির যুবাদের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে নেইমারের দেশটি। ম্যাচটিতে ব্রাজিলের হয়ে জোড়া গোল করেন মার্কোস লিওনার্দো। ইতালির হয়ে জোড়া গোল পেয়েছেন সিজার কাসেদাই এবং একটি গোল করেছেন মাত্তেও প্রাতি।

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে উড়িয়ে দিলো ইতালি

এবারের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের লক্ষ্য শিরোপা জয়। কিন্তু প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করে বসে হলুদ জার্সিধারীরা। শুরু থেকেই আধিপত্য দেখাতে শুরু করে ইতালি। এদিন প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করে বসে হলুদ জার্সিধারীরা।

ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটের মাথায় প্রথম আক্রমণে যায় তারা। কিন্তু ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ইতালিয় ফুটবলার সিজার কাসেডির নেয়া শট গোলপোস্টের কিছুটা উপর দিয়ে চলে যায়। এরপরের তিন মিনিটে ব্রাজিল তিনটি কর্ণার পেলেও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১১ তম মিনিটে ডিবক্সের ভেতর থেকে ইতালির ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডার মাত্তেও ডান পায়ের কিক থেকে দলকে লিড এনে দেন। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে ব্রাজিল মরিয়া চেষ্টা চালায় সমতায় ফিরতে। তবে ২৭ মিনিটে উল্টো গোল হজম করতে হয় সেলেসাও বাহিনীকে। কর্ণার কিক থেকে আসা বলে ইতালির হয়ে এবারের গোলটি করে সিজার কাসেদাই। তাতে ম্যাচের ৩০ মিনিট না পেরোতেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে লাতিন আমেরিকান জায়ান্টরা।

গোল ব্যবধান কমাতে মরিয়া ব্রাজিলের ভুলে নিজেদের তৃতীয় গোল পায় ইতালি। নিজেদের ডি বক্সে ইতালিয়ান ফুটবলার কাসেদাইকে ফাউল করে বসেন ব্রাজিলিয়ান আর্থার। আর এ সুযোগে পেনাল্টিতে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন কাসেদাই। ব্রাজিলকে হতাশ করে ৩ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ইতালি।

ছবি : সংগৃহীত

বিরতির পর খেলা শুরু হতেই দুজন বদলি খেলোয়াড় নামায় ব্রাজিল। কিন্তু তবুও ইতালির রক্ষণে কোনো চিড় ধরাতে পারেনি তারা। উল্টো আবারও ক্যেকবার আক্রমণে যায় ইতালি। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ইতালির গোল পোস্ট লক্ষ্য করে প্রথম শট নেয় ব্রাজিল। কিইন্তু তাও ব্যর্থ হয়। এরপর খেলার গতি কিছুটা বারে সেলেসাওদের। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর ম্যাচের ৭২ মার্কো লিওনার্দোর নেয়া শটে মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় ব্রাজিলিয়ান যুবারা।

এরপর দুই দলই আক্রমণে গেলেও গোলের দেখা পায়নি কেউ। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় সষ্ঠ বিশ্বকাপ জিততে নামা ব্রাজিলিয়ান যুবারা। প্রথম গোল করা লিওনার্দোই ডি বক্সের ভেতর থেকে দ্বিতীয় গোল করে এগিয়ে দেন নিজের দলকে। কিন্তু সমতায় ফিরতে তখনও আরও এক গোল দরকার। কিন্তু ম্যাচের শেষ অব্দি আর তেমন আরকমণে যেতে পারেনি কোনো দলই। ফলে যুব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৩-২ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সেলেসাওদের।

যুব বিশ্বকাপে ব্রাজিল-ইতালি রয়েছে ‘গ্রুপ ডি’তে। এই গ্রুপের অপর দুই দল হলো নাইজেরিয়া ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পরবর্তী ম্যাচগুলো হলো ২৪ মে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে এবং ২৭ মে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে।

উল্লেখ্য, ছয় গ্রুপের ২৪ দলের মধ্যে প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুইটি করে মোট ১২টি ও তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা ৪টি দল যাবে নকআউট পর্বে। এরপর শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল শেষে ১১ জুন শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।