আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইতালির ভেনিস শহরের কাছে একটি ফ্লাইওভার থেকে বাস ছিটকে নিচে পড়ে অন্তত ২১ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ইউক্রেনীয়, একজন জার্মান এবং চালক ইতালির নাগরিক। এই ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছে। বাসটি পড়ে যাওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি জানায়, পর্যটকদের ক্যাম্প সাইটে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল বাসটি। পথে ভেনিসের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সেতুর কাছে বাসটি ফ্লাইওভারের রেলিঙ ভেঙে নিচে পড়ে যায়। নিচে পড়ার পর পরই বাসটিতে আগুন ধরে যায়। মেস্ত্রে জেলার রেলপথের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ভেনিস অঞ্চলের গভর্নর লুকা জাইয়া বলেছেন, এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। আহত আরো ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইতালিয়ান ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
একজন নগর কর্মকর্তা জানান, আহতদের মধ্যে ইউক্রেন, ক্রোয়েশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের নাগরিক রয়েছে। নিহতদের শনাক্তের কাজ চলছে।
ভেনিস শহরের মেয়র লুইজি ব্রুনেরো স্থানীয় গণমাধ্যমকে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেছেন, বাসটি উড়াল সেতু থেকে মেস্ত্রে রেললাইনের কাছে ছিটকে পড়ে। উড়াল সেতুটি মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে ভেনিসকে সংযুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, এটি একটি ভয়াবহ দৃশ্য, আমি বাকরুদ্ধ। এই ঘটনায় শহরে শোক ঘোষণা করেছেন তিনি।
স্কাই ইতালিয়া জানিয়েছে, বাসটি খাদে পড়ার পর আগুন ধরে যায়। এখন পর্যন্ত ২১টি মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি ‘গভীর শোক ও দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন। দেশটির পরিবহণ মন্ত্রী মাত্তিও সালভিনি বলেছেন, চালকের আকস্মিক অসুস্থতা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
ইইউ কমিশনের সভাপতি উরসুলা ফন ডার লেইন বলেছেন, তিনি এই গভীর বেদনার মুহুর্তে ইতালীয় নেতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
১০ বছর আগে ২০১৩ সালে দক্ষিণ ইতালীয় শহর মন্টেফোর্টে ইরপিনোর কাছে ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন একটি ভায়াডাক্টে একটি কোচ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩৮ জন নিহত হয়েছিল।