লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) ওমর ফারুক মুন্সির ইয়াবা সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে তাকে খালি গায়ে ইয়াবা সেবন করতে দেখা গেছে।
এদিকে মাদক সেবনসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় সোমবার মেম্বার ফারুককে তার স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে গেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
ফারুক চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি মুন্সিগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটি এবং ওই বাজার জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক।
ভাইরাল ছবিগুলোতে দেখা যায়, শর্ট প্যান্ট পড়ে খালি গায়ে চেয়ারে বসে ইউপি সদস্য ফারুক ইয়াবা সেবন করছে। তার সামনে থাকা টেবিলে লাল রঙের দিয়াশলাই, সিগারেট, ফুয়েল পেপার, বোতলের লাল ও সবুজ রঙের কর্ক। তবে ছবিটি ঠিক কোন সময়ে তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ইয়াবা সেবনের ছবি নিয়ে বেশ নেতিবাচক সমালোচনা করতে দেখা গেছে। তারা জানান, মেম্বার ফারুক মুন্সি সবসময় বিভিন্ন রকম মাদক সেবন করে থাকে। তার বিরুদ্ধে এরকম একাধিক তথ্য রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে তারা খুবই বিব্রত বোধ করছে। জনপ্রতিনিধি যদি মাদক সেবন করে তাহলে সাধারণ জনগণ কিভাবে সুশাসন রক্ষা করবে এমন মন্তব্য করেন তারা।
ইউপি সদস্য ওমর ফারুক মুন্সি বলেন, আমি ইউপি সদস্য হয়েছি। সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির এবং বাজার জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এতে আমার প্রতিপক্ষ সুপার এডিট করে ইয়াবা সেবনের ছবিটি ছড়িয়ে দিয়েছে। এ ছবি আমার নয়। আমার দৈহিক গঠনের সঙ্গে ছবির মিল নেই।
ফারুকের স্ত্রী কাকন আক্তার বলেন, ফারুকের সঙ্গে এখন আমার কোনো সম্পর্ক নেই। বিতর্কিত কয়েকটি ঘটনার কারণে আমি তার ওপর বিরক্ত।
চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া বলেন, ফারুকের ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরালের ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ফারুকের কাছে অবৈধ কোনো কিছু পেলে আমাদের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ছিল। ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল নিয়ে আমাদের কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও ব্যবস্থা নিতে পারে।
এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইউপি সদস্য ফারুকের ইয়াবা সেবনের ছবি তিনি দেখেননি। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।