Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইসরাইলি ভাস্করের দেয়া পুরস্কার জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক শীর্ষ সংস্থা ইউনেস্কোর নামে প্রচার করে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। এ বিষয়টি নিয়ে ইউনেস্কোর সদর দফতরে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা নিশ্চিত করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কোনো সম্মাননা দেননি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার চালিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনেস্কো সদর দফতরে ব্যাখ্যা পাঠানো হবে, এটি বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক। মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত না থাকলে ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সম্মেলনে গজনভী ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থার আমন্ত্রণে ইউনূসকে একটি সম্মাননা স্মারক দেন ইসরাইলি ভাস্কর হেদভাসার। তিনিও নিশ্চিত করেছেন ইউনূসকে ইউনেস্কো কোনো সম্মাননা দেয়নি। এটি গজনভী ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ইউনূসকে তিনি এটা দিয়েছেন,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

নওফেল বলেন, এখন ইউনেস্কোর কাছে আমরা একটি ব্যাখ্যা পাঠাব। ইউনূস সেন্টার ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে যে সংবাদটি প্রচার হয়েছে, সেটা প্রতারণামূলক ও সবৈব মিথ্যা। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য ই্উনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটের ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবেই লেখা রয়েছে। এটা প্রতারণা ও শঠতামূলক কার্যক্রম। একজন ইসরাইলি ভাস্কারের দেয়া পুরস্কারকে তিনি ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছেন। বাংলাদেশ ইউনেস্কোর একটি সদস্য রাষ্ট্র। ইউনেস্কো কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন।

বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সদর দফতকে ব্যাখ্যা পাঠানো ও অবগত করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর নাম নিয়ে ড. ইউনূস বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন, যেটা অনৈতিক ও অপরাধমূলক।

আবার একজন ইসরাইলি ভাস্করের পুরস্কার ইউনেস্কোর নামে চালিয়ে দেয়া দেশের জন্যও মানহানিকর বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অপমানজনকও বটে। আমরা ইউনেস্কোকে এটা বলব। এছাড়া শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য ইউনূস যে দণ্ডিত হয়েছেন, সেটাও ইউনেস্কোকে জানাব। একজন দণ্ডিত ব্যক্তি ইউনেস্কোর নাম নিয়ে যে অপপ্রচার করছেন, এটি থেকে ইউনেস্কোকে সতর্ক করব।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ড. মুহাম্মদ ড. ইউনূসকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

উল্লেখ্য, ১০ বছর আগে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইউনেসকোর ‘পিস ট্রি’ পুরস্কার পেয়েছিলেন। নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:২৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইসরাইলি ভাস্করের দেয়া পুরস্কার জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক শীর্ষ সংস্থা ইউনেস্কোর নামে প্রচার করে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। এ বিষয়টি নিয়ে ইউনেস্কোর সদর দফতরে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা নিশ্চিত করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কোনো সম্মাননা দেননি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার চালিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনেস্কো সদর দফতরে ব্যাখ্যা পাঠানো হবে, এটি বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক। মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত না থাকলে ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সম্মেলনে গজনভী ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থার আমন্ত্রণে ইউনূসকে একটি সম্মাননা স্মারক দেন ইসরাইলি ভাস্কর হেদভাসার। তিনিও নিশ্চিত করেছেন ইউনূসকে ইউনেস্কো কোনো সম্মাননা দেয়নি। এটি গজনভী ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ইউনূসকে তিনি এটা দিয়েছেন,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

নওফেল বলেন, এখন ইউনেস্কোর কাছে আমরা একটি ব্যাখ্যা পাঠাব। ইউনূস সেন্টার ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে যে সংবাদটি প্রচার হয়েছে, সেটা প্রতারণামূলক ও সবৈব মিথ্যা। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য ই্উনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটের ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবেই লেখা রয়েছে। এটা প্রতারণা ও শঠতামূলক কার্যক্রম। একজন ইসরাইলি ভাস্কারের দেয়া পুরস্কারকে তিনি ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছেন। বাংলাদেশ ইউনেস্কোর একটি সদস্য রাষ্ট্র। ইউনেস্কো কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন।

বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সদর দফতকে ব্যাখ্যা পাঠানো ও অবগত করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর নাম নিয়ে ড. ইউনূস বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন, যেটা অনৈতিক ও অপরাধমূলক।

আবার একজন ইসরাইলি ভাস্করের পুরস্কার ইউনেস্কোর নামে চালিয়ে দেয়া দেশের জন্যও মানহানিকর বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অপমানজনকও বটে। আমরা ইউনেস্কোকে এটা বলব। এছাড়া শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য ইউনূস যে দণ্ডিত হয়েছেন, সেটাও ইউনেস্কোকে জানাব। একজন দণ্ডিত ব্যক্তি ইউনেস্কোর নাম নিয়ে যে অপপ্রচার করছেন, এটি থেকে ইউনেস্কোকে সতর্ক করব।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ড. মুহাম্মদ ড. ইউনূসকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

উল্লেখ্য, ১০ বছর আগে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইউনেসকোর ‘পিস ট্রি’ পুরস্কার পেয়েছিলেন। নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।