Dhaka বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউনিক ইস্টার্নের মালিক নূর আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির আড়ালে প্রতারণার অভিযোগে উঠেছে ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেডের রিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছরে প্রায় ৪ হাজার গ্রাহকরে ৪০ কোটি ৭১ লাখ টাকা প্রতারণা করে। এই ঘটনায় ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেডের মালিক নূর আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।

জসীম উদ্দিন খান বলেন, গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দুই বছরে নূর আলীর প্রতিষ্ঠান ইউনিক ইস্টার্ন মালয়েশিয়ায় ৩ হাজার ৭৮৭ জন কর্মী প্রেরণ করে। সরকার নির্ধারিত ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা হলেও জনপ্রতি প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়। পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ টেস্ট, মেডিকেল ফি ও পোশাকের খরচের নামে এই বাড়তি অর্থ সংগ্রহ করা হয়।

সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চক্রটি পরস্পরের যোগসাজশে মোট ৪০ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭০ টাকা হাতিয়ে নেয়, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অপরাধ।

বর্তমানে মামলাটি সিআইডির ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম বিভাগ তদন্ত করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছেন সিআইডির এই কর্মকর্তা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইউনিক ইস্টার্নের মালিক নূর আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলা

প্রকাশের সময় : ০১:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির আড়ালে প্রতারণার অভিযোগে উঠেছে ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেডের রিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছরে প্রায় ৪ হাজার গ্রাহকরে ৪০ কোটি ৭১ লাখ টাকা প্রতারণা করে। এই ঘটনায় ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেডের মালিক নূর আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।

জসীম উদ্দিন খান বলেন, গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দুই বছরে নূর আলীর প্রতিষ্ঠান ইউনিক ইস্টার্ন মালয়েশিয়ায় ৩ হাজার ৭৮৭ জন কর্মী প্রেরণ করে। সরকার নির্ধারিত ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা হলেও জনপ্রতি প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়। পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ টেস্ট, মেডিকেল ফি ও পোশাকের খরচের নামে এই বাড়তি অর্থ সংগ্রহ করা হয়।

সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চক্রটি পরস্পরের যোগসাজশে মোট ৪০ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭০ টাকা হাতিয়ে নেয়, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অপরাধ।

বর্তমানে মামলাটি সিআইডির ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম বিভাগ তদন্ত করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছেন সিআইডির এই কর্মকর্তা।