Dhaka শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শিশুসহ নিহত ৪১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রধান শিশু হাসপাতালে সোমবার প্রকাশ্যে দিবালোকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া দেশটির অন্যান্য শহরেও বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪১ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া সোমবার প্রকাশ্য দিবালোকে কিয়েভের প্রধান শিশু হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে এবং ইউক্রেনজুড়ে অন্যান্য শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এই হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৪১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

দিনের বেলা ইউক্রেনে রাশিয়ার এই ধরনের হামলা বেশ বিরল এবং বিমান হামলার পর বাবা-মায়েরা শিশুকে ধরে হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় হাঁটছিলেন, তাদের অনেকে হতবাক হয়ে পড়েছিলেন এবং কাঁদছিলেন। হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কিয়েভের শত শত বাসিন্দা ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে সাহায্য করেন।

৩৩ বছর বয়সী স্বিতলানা ক্রাভচেঙ্কো রয়টার্সকে বলেন, এটি ভয়ংকর ছিল। আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না, আমি (আমার শিশুকে) ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলাম। আমি তাকে এই কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম, যাতে সে শ্বাস নিতে পারে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিন শিশুসহ নিহতের সংখ্যা ৩৭ জন। আর আহত হয়েছেন ১৭০ জনের বেশি মানুষ। তবে বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার স্থান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, কিয়েভের একটি শিশু হাসপাতাল, মাতৃসদন কেন্দ্র, শিশু নার্সারি ও একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্রসহ ১০০টির বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ সন্ত্রাসীদের অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। উদ্বিগ্ন হলেই সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে যাবে না। সমবেদনা কোনো অস্ত্র না।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় কেন্দ্রীয় শহর ক্রিভি রিগ ও দিনিপ্রো এবং দুটি পূর্বাঞ্চলীয় শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভয়াবহ এই হামলায় ঘটনায় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) শোক দিবস ঘোষণা করেছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে দেশটি তাদের পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে জরুরিভাবে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আপগ্রেড চেয়েছে।

বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৩৮টি আগত ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৩০টিকে ভূপাতিত করেছে বলে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে।

রয়টার্সের যাচাই করা একটি অনলাইন ভিডিওতে আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র শিশুদের হাসপাতালের দিকে পতিত হওয়ার পর বড় বিস্ফোরণ দেখা যায়। ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিস ক্ষেপণাস্ত্রটিকে কেএইচ-১০১ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

কিয়েভের সামরিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীতে তিন শিশুসহ ২৭ জন মারা গেছে। প্রথম হামলার দুই ঘণ্টা পরে আরেকটি হামলায় ৮২ জন আহত হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, ‘আড়াই বছর ধরে চলমান যুদ্ধে এটি সবচেয়ে বড় হামলা ছিল। এতে ৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘কিয়েভের শিশু হাসপাতালে ভয়াবহ হামলায় পাঁচটি ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসাধীন শিশুদের অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে ১১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ৬৮ জন আহত হয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় শহর পোকরভস্কে ক্ষেপণাস্ত্র একটি শিল্প স্থাপনায় আঘাত হানলে তিনজন নিহত হয় বলে আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এক ঘোষণায় বলেছেন, ‘ইউক্রেন এ হামলার প্রতিশোধ নেবে।’ তিনি কিয়েভের পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আক্রমণের দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন। পোল্যান্ড সফররত জেলেনস্কি পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্কের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এই লোকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব, আমরা অবশ্যই আমাদের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে শক্তিশালী জবাব দেব। আমাদের অংশীদারদের কাছে প্রশ্ন হলো : তারা কি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে?’

ইউক্রেনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনে ন্যাটো দেশগুলোর নেতাদের তিন দিনের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার একদিন আগে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ইউক্রেনে মস্কোর মারাত্মক এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যেখানে কিয়েভের শিশু হাসপাতালও রয়েছে, রাশিয়ার বর্বরতার একটি ভয়ঙ্কর অনুস্মারক।’

হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাইডেন আরও বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন এবং তার ন্যাটো মিত্ররা ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার জন্য নতুন ব্যবস্থা ঘোষণা করবে।’

কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, কিয়েভে মস্কোর এই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় যুক্তরাজ্যে, ফ্রান্স, ইকুয়েডর, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ইউক্রেনের অনেক শিশু রয়েছে।

অন্যদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের বাহিনী ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শিল্প ও বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। মস্কো বারবার বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করে থাকে। যদিও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণ শুরুর পর থেকে তাদের হামলায় হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বার্ড স্ট্রাইক, বেঙ্গালুরুতে ফ্লাইট বাতিল করল এয়ার ইন্ডিয়া

ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শিশুসহ নিহত ৪১

প্রকাশের সময় : ১২:০০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রধান শিশু হাসপাতালে সোমবার প্রকাশ্যে দিবালোকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া দেশটির অন্যান্য শহরেও বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪১ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া সোমবার প্রকাশ্য দিবালোকে কিয়েভের প্রধান শিশু হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে এবং ইউক্রেনজুড়ে অন্যান্য শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এই হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৪১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

দিনের বেলা ইউক্রেনে রাশিয়ার এই ধরনের হামলা বেশ বিরল এবং বিমান হামলার পর বাবা-মায়েরা শিশুকে ধরে হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় হাঁটছিলেন, তাদের অনেকে হতবাক হয়ে পড়েছিলেন এবং কাঁদছিলেন। হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কিয়েভের শত শত বাসিন্দা ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে সাহায্য করেন।

৩৩ বছর বয়সী স্বিতলানা ক্রাভচেঙ্কো রয়টার্সকে বলেন, এটি ভয়ংকর ছিল। আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না, আমি (আমার শিশুকে) ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলাম। আমি তাকে এই কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম, যাতে সে শ্বাস নিতে পারে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিন শিশুসহ নিহতের সংখ্যা ৩৭ জন। আর আহত হয়েছেন ১৭০ জনের বেশি মানুষ। তবে বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার স্থান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, কিয়েভের একটি শিশু হাসপাতাল, মাতৃসদন কেন্দ্র, শিশু নার্সারি ও একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্রসহ ১০০টির বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ সন্ত্রাসীদের অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। উদ্বিগ্ন হলেই সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে যাবে না। সমবেদনা কোনো অস্ত্র না।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় কেন্দ্রীয় শহর ক্রিভি রিগ ও দিনিপ্রো এবং দুটি পূর্বাঞ্চলীয় শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভয়াবহ এই হামলায় ঘটনায় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) শোক দিবস ঘোষণা করেছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে দেশটি তাদের পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে জরুরিভাবে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আপগ্রেড চেয়েছে।

বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৩৮টি আগত ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৩০টিকে ভূপাতিত করেছে বলে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে।

রয়টার্সের যাচাই করা একটি অনলাইন ভিডিওতে আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র শিশুদের হাসপাতালের দিকে পতিত হওয়ার পর বড় বিস্ফোরণ দেখা যায়। ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিস ক্ষেপণাস্ত্রটিকে কেএইচ-১০১ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

কিয়েভের সামরিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীতে তিন শিশুসহ ২৭ জন মারা গেছে। প্রথম হামলার দুই ঘণ্টা পরে আরেকটি হামলায় ৮২ জন আহত হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, ‘আড়াই বছর ধরে চলমান যুদ্ধে এটি সবচেয়ে বড় হামলা ছিল। এতে ৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘কিয়েভের শিশু হাসপাতালে ভয়াবহ হামলায় পাঁচটি ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসাধীন শিশুদের অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে ১১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ৬৮ জন আহত হয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় শহর পোকরভস্কে ক্ষেপণাস্ত্র একটি শিল্প স্থাপনায় আঘাত হানলে তিনজন নিহত হয় বলে আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এক ঘোষণায় বলেছেন, ‘ইউক্রেন এ হামলার প্রতিশোধ নেবে।’ তিনি কিয়েভের পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আক্রমণের দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন। পোল্যান্ড সফররত জেলেনস্কি পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্কের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এই লোকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব, আমরা অবশ্যই আমাদের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে শক্তিশালী জবাব দেব। আমাদের অংশীদারদের কাছে প্রশ্ন হলো : তারা কি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে?’

ইউক্রেনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনে ন্যাটো দেশগুলোর নেতাদের তিন দিনের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার একদিন আগে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ইউক্রেনে মস্কোর মারাত্মক এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যেখানে কিয়েভের শিশু হাসপাতালও রয়েছে, রাশিয়ার বর্বরতার একটি ভয়ঙ্কর অনুস্মারক।’

হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাইডেন আরও বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন এবং তার ন্যাটো মিত্ররা ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার জন্য নতুন ব্যবস্থা ঘোষণা করবে।’

কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, কিয়েভে মস্কোর এই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় যুক্তরাজ্যে, ফ্রান্স, ইকুয়েডর, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ইউক্রেনের অনেক শিশু রয়েছে।

অন্যদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের বাহিনী ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শিল্প ও বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। মস্কো বারবার বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করে থাকে। যদিও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণ শুরুর পর থেকে তাদের হামলায় হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।