Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেইনকে বিদায় করে শেষ আটে আর্জেন্টিনা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্যারিস অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্টে স্বর্ণের অন্যতম বড় দাবিদার হিসেবেই আবির্ভাব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার। তবে মরোক্কোর কাছে প্রথম ম্যাচ হারার পর আলবিসেলেস্তাদের সে স্বপ্নে কিছুটা হলেও ধাক্কা লাগে। অবশ্য পরের দুই ম্যাচ জিতে সে ধাক্কা অল্পতেই আটকে রেখেছে আর্জেন্টিনা। যার ফলে হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দলের স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন আপাতত অক্ষতই রইলো। ইউক্রেনকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে দুইবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নরা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ফ্রান্সের লিঁয়ন স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দল ইউক্রেনকে ২-০ গোলে পরাজিত করে। থিয়াগো আলমাদা এবং ক্লাওদিও এচেভেরির গোলের মাধ্যমে এই বিজয় অর্জিত হয়, যা আর্জেন্টিনাকে গ্রুপ বি-তে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে গেছে। ইরাককে ৩-০ গোলে হারিয়ে মরোক্কো গ্রুপের প্রথম স্থান দখল করেছে।

গ্রুপামা স্টেডিয়ামে ম্যাচজুড়ে গোলের জন্য আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি প্রচেষ্টা চালিয়েছে ইউক্রেন। কিন্তু ১১টি শটের মধ্যে গোলমুখে রাখতে পেরেছে কেবল তিনটি। তবুও মেলেনি গোলের দেখা। ৮ শটের মধ্যে গোলমুখে ৪ শট নিয়ে দুটিতেই নিশানা ভেদ করে আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল আলভারেজদের। বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ডের পা থেকেই প্রথম সুযোগটি আসে দ্বাদশ মিনিটে। তবে তার ডানপায়ের শট চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। এরপর ১৮তম মিনিটে ইউক্রেনও ভালো সুযোগ তৈরি করে। তবে ক্রুপসির নেওয়া শটটিও পেরোয় বেশ বাইরে দিয়ে। এভাবে প্রথমার্ধ জুড়ে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও, আর্জেন্টিনা-ইউক্রেন গোলশূন্য সমতা নিয়ে বিরতিতে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই আর্জেন্টিনার হয়ে ডেডলক ভাঙেন আলমাদা। ৪৭ মিনিটে বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ডকে বল বাড়ান ক্রিস্টিয়ান মেদিনা, বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ডানপ্রান্ত দিয়ে বল জালে জড়ান আলমাদা। এতে ম্যাচে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। ৬০ মিনিটের পর উভয় দলই ম্যাচে আধিপত্য দেখাতে একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্ত আনে। পরপর দুইবার আর্জেন্টিনার রক্ষণে হানা দেন ইউক্রেনীয়রা। তবে প্রথমবার গোলরক্ষক আর পরেরটি রক্ষণে নষ্ট হয় তাদের সুযোগ দুটি।

এভাবে ম্যাচ গড়াচ্ছিল ১-০ গোলে নিষ্পত্তির দিকে। তখন ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়ে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিট, তখনই ফের আর্জেন্টিনার আঘাত। ক্লদিও এচিভেরি বক্সের মাঝামাঝি জায়গা থেকে ডানপ্রান্ত দিয়ে বল জালে জড়ান। ফলে দ্বিগুণ লিড পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা, যা তাদের বড় জয়ও নিশ্চিত করে ফেলে।

২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে প্রথম সোনা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। বেইজিংয়েও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছিল তারা। ২০১২ সালে লন্ডনে হ্যাটট্রিক স্বর্ণের মিশনে তো অংশই নিতে পারেনি। তারপর ২০১৬ ও ২০২১ অলিম্পিকে টানা দুইবার খেলে গ্রুপ পর্বে বিদায় নেয় দলটি।

গ্রুপের এক নম্বরে থেকে ইউক্রেনের মুখোমুখি হলেও আর্জেন্টিনা সেই স্থান ধরে রাখতে পারেনি। মরক্কো ইরাককে ৩-০ গোলে হারিয়ে সমান ৬ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গোল ব্যবধান দুই দলেরই সমান হলেও হেড টু হেডে এগিয়ে থেকে তারা শীর্ষস্থান দখল করেছে। প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারায় মরক্কানরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নগদে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে সপ্তাহ খানেকের মধ্য বিজ্ঞপ্তি : গভর্নর

ইউক্রেইনকে বিদায় করে শেষ আটে আর্জেন্টিনা

প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্যারিস অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্টে স্বর্ণের অন্যতম বড় দাবিদার হিসেবেই আবির্ভাব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার। তবে মরোক্কোর কাছে প্রথম ম্যাচ হারার পর আলবিসেলেস্তাদের সে স্বপ্নে কিছুটা হলেও ধাক্কা লাগে। অবশ্য পরের দুই ম্যাচ জিতে সে ধাক্কা অল্পতেই আটকে রেখেছে আর্জেন্টিনা। যার ফলে হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দলের স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন আপাতত অক্ষতই রইলো। ইউক্রেনকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে দুইবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নরা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ফ্রান্সের লিঁয়ন স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দল ইউক্রেনকে ২-০ গোলে পরাজিত করে। থিয়াগো আলমাদা এবং ক্লাওদিও এচেভেরির গোলের মাধ্যমে এই বিজয় অর্জিত হয়, যা আর্জেন্টিনাকে গ্রুপ বি-তে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে গেছে। ইরাককে ৩-০ গোলে হারিয়ে মরোক্কো গ্রুপের প্রথম স্থান দখল করেছে।

গ্রুপামা স্টেডিয়ামে ম্যাচজুড়ে গোলের জন্য আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি প্রচেষ্টা চালিয়েছে ইউক্রেন। কিন্তু ১১টি শটের মধ্যে গোলমুখে রাখতে পেরেছে কেবল তিনটি। তবুও মেলেনি গোলের দেখা। ৮ শটের মধ্যে গোলমুখে ৪ শট নিয়ে দুটিতেই নিশানা ভেদ করে আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল আলভারেজদের। বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ডের পা থেকেই প্রথম সুযোগটি আসে দ্বাদশ মিনিটে। তবে তার ডানপায়ের শট চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। এরপর ১৮তম মিনিটে ইউক্রেনও ভালো সুযোগ তৈরি করে। তবে ক্রুপসির নেওয়া শটটিও পেরোয় বেশ বাইরে দিয়ে। এভাবে প্রথমার্ধ জুড়ে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও, আর্জেন্টিনা-ইউক্রেন গোলশূন্য সমতা নিয়ে বিরতিতে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই আর্জেন্টিনার হয়ে ডেডলক ভাঙেন আলমাদা। ৪৭ মিনিটে বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ডকে বল বাড়ান ক্রিস্টিয়ান মেদিনা, বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ডানপ্রান্ত দিয়ে বল জালে জড়ান আলমাদা। এতে ম্যাচে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। ৬০ মিনিটের পর উভয় দলই ম্যাচে আধিপত্য দেখাতে একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্ত আনে। পরপর দুইবার আর্জেন্টিনার রক্ষণে হানা দেন ইউক্রেনীয়রা। তবে প্রথমবার গোলরক্ষক আর পরেরটি রক্ষণে নষ্ট হয় তাদের সুযোগ দুটি।

এভাবে ম্যাচ গড়াচ্ছিল ১-০ গোলে নিষ্পত্তির দিকে। তখন ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়ে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিট, তখনই ফের আর্জেন্টিনার আঘাত। ক্লদিও এচিভেরি বক্সের মাঝামাঝি জায়গা থেকে ডানপ্রান্ত দিয়ে বল জালে জড়ান। ফলে দ্বিগুণ লিড পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা, যা তাদের বড় জয়ও নিশ্চিত করে ফেলে।

২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে প্রথম সোনা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। বেইজিংয়েও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছিল তারা। ২০১২ সালে লন্ডনে হ্যাটট্রিক স্বর্ণের মিশনে তো অংশই নিতে পারেনি। তারপর ২০১৬ ও ২০২১ অলিম্পিকে টানা দুইবার খেলে গ্রুপ পর্বে বিদায় নেয় দলটি।

গ্রুপের এক নম্বরে থেকে ইউক্রেনের মুখোমুখি হলেও আর্জেন্টিনা সেই স্থান ধরে রাখতে পারেনি। মরক্কো ইরাককে ৩-০ গোলে হারিয়ে সমান ৬ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গোল ব্যবধান দুই দলেরই সমান হলেও হেড টু হেডে এগিয়ে থেকে তারা শীর্ষস্থান দখল করেছে। প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারায় মরক্কানরা।