স্পোর্টস ডেস্ক :
গ্যারেথ সাউথগেট দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে খালি আছে ইংল্যান্ডের কোচের পদ। নতুন কোচের সন্ধানে আছে ইংলিশরা। তবে এই সময়ের জন্য অন্তর্র্বতীকালীন কোচ হিসেবে লি কার্সলিকে নিয়োগ দিয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।
শুক্রবারর (৯ আগস্ট) কার্সলিকে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা।
কার্সলির প্রথম অ্যাসাইমেন্ট আগামী ৭ সেপ্টেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে আরও একটি ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। কার্সলির দায়িত্ব পালনকালে স্থায়ী কোচের সন্ধানে থাকবে এফএ।
২০২১ সাল থেকে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হেডকোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন কার্সলি। এবার তাকে জাতীয় দলের দায়িত্বও দেওয়া হলো।
কারসলি এক বিবৃতিতে বলেন, ইংল্যান্ডের এই স্কোয়াডকে অন্তর্র্বতীকালীন ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নেতৃত্ব দেওয়া সম্মানের বিষয়।যেহেতু আমি খেলোয়াড় এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলের সঙ্গে খুব পরিচিত, তাই নতুন ম্যানেজার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলাকালীন সময় দলকে পরিচালনা করা আমার পক্ষে বোধগম্য। আমার প্রধান অগ্রাধিকার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা এবং আমাদের লক্ষ্য উয়েফা নেশনস লিগে উন্নতি করা।
নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু খেলোয়াড় এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলের সঙ্গে আমি খুব পরিচিত, এফএ (ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) নতুন ম্যানেজার নিয়োগের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার এই সময় দলকে দিক নির্দেশন দেওয়া আমার কাছে মনে হয়েছে যৌক্তিক কাজ। আমার মূল অগ্রাধিকার থাকবে ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা এবং আমাদের লক্ষ্য উয়েফা নেশন্স লিগে উপরের ধাপে ওঠা।
এর আগে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও শিরোপাবঞ্চিত হয় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের কাঁদিয়ে চতুর্থবারের মতো শিরোপা জয় করে স্পেন। দলের ব্যর্থতায় পদত্যাগ করেন হেডকোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এরপর থেকে ইংল্যান্ড দলের প্রধান কোচের পদ শূন্য ছিল।
খেলোয়াড়ি জীবনে মিডফিল্ডার ছিলেন কার্সলি। রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৪০ ম্যাচ খেলেন তিনি। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে তার ক্লাব ছিল ডার্বি ও এভারটন। এরপর শুরু করেন কোচিং পেশা, যার শুরুটা হয় কভেন্ট্রি দিয়ে। পরে ব্রেন্টফোর্ড ও বার্মিংহামেও কাজ করেন তিনি। ২০২০ সালে যোগ দেন ইংল্যান্ডের সেট-আপে। এবার পেয়ে গেলেন জাতীয় দলের দায়িত্ব।