Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সিরিজ ড্র

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২০২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে সুযোগ ছিল ট্রফি জেতার। জনি বেয়ারস্টোর ঝড়ো ইনিংসে সেই স্বপ্নও দেখছিল তারা। কিন্তু সেটা হতে দিলো না নিউ জিল্যান্ড। ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৬ উইকেটের জয়ে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ বাঁচালো টিম সাউদির দল।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ট্রেন্ট ব্রিজে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। রান তাড়া করতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয়ে লক্ষ্যে পৌছে যায় কিউইরা।

সর্বশেষ দুই ম্যাচে সিরিজ জয়ের সুযোগ পাওয়া ইংল্যান্ড চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছিল। তবে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বলা যায় সহজেই জয় পেয়েছে স্বাগতিকেরা। ১৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ডের জয়ের কাজ সহজ হয় পাওয়ারপ্লেতে ৭৩ রান তোলায়। যদিও তাদের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ২২ রানের মাথায় ৬ বলে ১৬ করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন ওপেনার ফিন অ্যালেন।

ফিন ফিরলেও পাওয়ারপ্লেতে রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট। দ্বিতীয় উইকেটে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। মিচেল ১৪ রানে আউট হওয়ার পর উইকেটরক্ষক ব্যাটারও দ্রুত ফেরেন ২ রানের জন্য ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ৩২ বলে ৪৮ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২ ছক্কা ও ৬ চারের সৌজন্যে। তাঁদের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে জয়ের কাজটা করেন গ্লেন ফিলিপস ও মার্ক চাপম্যান। দুজনে মিলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। ২৫ বলে ৪২ রান করে ফিলিপস আউট হলে বাকি কাজটুকু রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে সারেন চাপম্যান। ২৫ বলে ৪০ অপরাজিত থাকেন তিনি। আর ৯ বলে ১৭ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র।

এর আগে টস জিতে ঘরের মাটিতে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল ইংল্যান্ড। এতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। উইল জ্যাকসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে গড়েছিলেন ৬৫ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ১৬ রানে জ্যাকস আউট হয়েছেন ইস সোধির শিকার হয়ে। এতেই বোঝা যায় শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন বেয়ারস্টোই।

শুরু থেকেই কিউই বোলারদের উপর দাপট দেখিয়েছেন বেয়ারস্টো। দলীয় ১০৫ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৪১ বল খেলে করেছেন ৭৩ রান, ৫টি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ৬টি ছক্কা। এদিকে ইংলিশ এ উইকেটরক্ষক ফেরার পর আর দলের হাল ধরতে পারেননি কেউ। দাউয়িদ মালানের ২৬ এবং লিয়াম লিভিংস্টোনের ২৬ রানে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের সংগ্রহ গড়ে ইংলিশরা। দল সিরিজ জিততে না পারলেও সিরি-সেরা হয়েছেন বেয়ারস্টো। ৪ ইনিংসে ১৭৫ রান করে। আর ম্যাচ-সেরা হয়েছেন ৩০ রানে ৩ উইকেট নেওয়া মিচেল স্যান্টনার।

নিউজিল্যান্ডের জয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সিরিজ ভাগাভাগি করে নিতে হয় ইংল্যান্ডকে। ২-০ তে এগিয়ে গিয়েও শেষ দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় ২-২ ব্যবধানে সমতা মেনে নিতে হয় ইংলিশদের। সমান ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। প্রথম ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হবে কার্ডিফে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব ছাড়লেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সিরিজ ড্র

প্রকাশের সময় : ০২:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে সুযোগ ছিল ট্রফি জেতার। জনি বেয়ারস্টোর ঝড়ো ইনিংসে সেই স্বপ্নও দেখছিল তারা। কিন্তু সেটা হতে দিলো না নিউ জিল্যান্ড। ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৬ উইকেটের জয়ে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ বাঁচালো টিম সাউদির দল।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ট্রেন্ট ব্রিজে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। রান তাড়া করতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয়ে লক্ষ্যে পৌছে যায় কিউইরা।

সর্বশেষ দুই ম্যাচে সিরিজ জয়ের সুযোগ পাওয়া ইংল্যান্ড চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছিল। তবে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বলা যায় সহজেই জয় পেয়েছে স্বাগতিকেরা। ১৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ডের জয়ের কাজ সহজ হয় পাওয়ারপ্লেতে ৭৩ রান তোলায়। যদিও তাদের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ২২ রানের মাথায় ৬ বলে ১৬ করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন ওপেনার ফিন অ্যালেন।

ফিন ফিরলেও পাওয়ারপ্লেতে রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট। দ্বিতীয় উইকেটে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। মিচেল ১৪ রানে আউট হওয়ার পর উইকেটরক্ষক ব্যাটারও দ্রুত ফেরেন ২ রানের জন্য ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ৩২ বলে ৪৮ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২ ছক্কা ও ৬ চারের সৌজন্যে। তাঁদের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে জয়ের কাজটা করেন গ্লেন ফিলিপস ও মার্ক চাপম্যান। দুজনে মিলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। ২৫ বলে ৪২ রান করে ফিলিপস আউট হলে বাকি কাজটুকু রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে সারেন চাপম্যান। ২৫ বলে ৪০ অপরাজিত থাকেন তিনি। আর ৯ বলে ১৭ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র।

এর আগে টস জিতে ঘরের মাটিতে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল ইংল্যান্ড। এতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। উইল জ্যাকসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে গড়েছিলেন ৬৫ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ১৬ রানে জ্যাকস আউট হয়েছেন ইস সোধির শিকার হয়ে। এতেই বোঝা যায় শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন বেয়ারস্টোই।

শুরু থেকেই কিউই বোলারদের উপর দাপট দেখিয়েছেন বেয়ারস্টো। দলীয় ১০৫ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৪১ বল খেলে করেছেন ৭৩ রান, ৫টি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ৬টি ছক্কা। এদিকে ইংলিশ এ উইকেটরক্ষক ফেরার পর আর দলের হাল ধরতে পারেননি কেউ। দাউয়িদ মালানের ২৬ এবং লিয়াম লিভিংস্টোনের ২৬ রানে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের সংগ্রহ গড়ে ইংলিশরা। দল সিরিজ জিততে না পারলেও সিরি-সেরা হয়েছেন বেয়ারস্টো। ৪ ইনিংসে ১৭৫ রান করে। আর ম্যাচ-সেরা হয়েছেন ৩০ রানে ৩ উইকেট নেওয়া মিচেল স্যান্টনার।

নিউজিল্যান্ডের জয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সিরিজ ভাগাভাগি করে নিতে হয় ইংল্যান্ডকে। ২-০ তে এগিয়ে গিয়েও শেষ দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় ২-২ ব্যবধানে সমতা মেনে নিতে হয় ইংলিশদের। সমান ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। প্রথম ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হবে কার্ডিফে।