স্পোর্টস ডেস্ক :
১৯৯৮ সালে কলম্বোয় পাকিস্তান নারী দলকে ৩০৯ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা নারী দল। এত দিন পর্যন্ত সেটিই ছিল মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়। ২৫ বছর অক্ষত থাকার পর অবশেষে ভাঙল সেই রেকর্ড। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে ৩৪৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নারীদের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় জয়টি পেয়েছেন ভারতের মেয়েরা।
নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টে দীপ্তি শর্মার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঐতিহাসিক এই জয় পায় ভারত। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ টেস্ট খেলে এই প্রথম জয় পেলেন ভারতের মেয়েরা।
ইতিহাসগড়া এই টেস্টে ইংল্যান্ডকে দুইদিনেই হারিয়ে দিয়েছে ভারত। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ঐতিহাসিক এই জয়ের কারিগর দীপ্তি শর্মা।
ভারতীয় মেয়েদের ইতিহাস গড়া এই জয়ের অন্যতম রূপকার দীপ্তি শর্মা। ব্যাটিংয়ে ৬৭ রান করার পাশাপাশি বোলিং দুই ইনিংসে মিলিয়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৫.৩ ওভারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৭ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানে শিকার করেন ৪টি।
প্রথম ইনিংস ৪২৮ রানের বড় স্কোর গড়ার পর ইংল্যান্ড মেয়েদের ১৩৬ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন দীপ্তি শর্মারা। এরপর ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড মেয়েদের সামনে জয়ের জন্য ৪৭৯ রানের কঠিন লক্ষ্য দেয় হারমানপ্রীত কাউরের দল। বিশাল ওই রানের পিছু ছুটতে নেমে দীপ্তি শর্মাদের বোলিং তোপে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড মেয়েদের দ্বিতীয় ইনিংস। আজ সকা্লে এক ঘণ্টা ৩৮ মিনিটে ইংলিশ মেয়েদের ১০ উইকেট তুলে নিয়ে ভারত মেয়েদের ঐতিহাসিক জয় এনে দেন দীপ্তি শর্মারা।
প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া দীপ্তি এই ইনিংসে নেন আরও ৪ উইকেট। বল হাতে ৯ উইকেট ও ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হন তিনি।
ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে দারুণ পারফর্ম করে ম্যাচসেরা হওয়া দীপ্তি ম্যাচ শেষে বলেছেন, খুব ভালো লাগছে। কারণ, এই টেস্ট শুরু হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। খুবই গর্ব বোধ হচ্ছে। আমরা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করেছি। প্রথম দিন আমরা ধৈর্য ধরে ব্যাট করতে চেয়েছি। চেষ্টা ছিল জুটি গড়ার।
নিজের ম্যাচ জেতানো বোলিং নিয়ে দীপ্তি বলেছেন, উইকেট থেকে প্রচুর সাহায্য পেয়েছি এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। হারিদি (হারমানপ্রীত কৌর) বলেছিল, নিজের জায়গায় বল করে যাও, উইকেট তোমাকে সাহায্য করবে। আমরা পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চাই।
স্মরণীয় জয়ের পর ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত বলেছেন, দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। এটা প্রমাণ করে যে আমরা কীভাবে ম্যাচ জিততে পারি। সবকিছু পরিকল্পনামতো হয়েছে এবং দলের প্রত্যেককে এ কৃতিত্ব দিতে হবে।