Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ সারাক্ষণ বিএনপিকে নিয়ে ‘দুঃস্বপ্ন’ দেখছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সারাক্ষণ বিএনপিকে নিয়ে ‘দুঃস্বপ্ন’ দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) লালবাগে একটি কমিউনিটি সেন্টারে থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিলে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, বঙ্গবাজার পুড়ে গেছে-এই বাজার বড় লোকের বাজার নয়, সাধারণ মধ্যবিত্তদের বাজার। দুর্ভাগ্য আমাদের এর আগে সিদ্দিক বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ২২ জন মানুষ মারা গেলো.. এর আগে চট্টগ্রামে হয়েছে। কিন্তু এই সরকারের এসব ব্যাপারে কোনো মাথা-ব্যথা নেই। তারা উদোরপিন্ডি বুদোড় ঘাড়ে চাপাতে চায়। তারা নাকি এখন বলে যে, নাশকতার গন্ধ পায়। আওয়ামী লীগের অবস্থা হয়েছে যে, তারা সারাক্ষণ একটা দুঃস্বপ্ন দেখে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের দেয়ার কিছু নাই। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সমস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভোট দিতে পারছেন না। আপনারা জানেন ভোট আগের রাত্রে হয়ে গেছে, আর ওরা (আওয়ামী লীগ) সরকারে বসে গেছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভোটই হয়নি ১৫৩টি আসনে, নির্বাচিত ঘোষণা হয়ে গেল। আর প্রত্যেক কথায় কথায় তারা খালি বলে, উন্নয়ন করেছে। আমি এখানে আসার পথে দেখলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে লেখা ‘উন্নয়ন কি চুবাইয়ে খাবো? উন্নয়ন তো চিবাইয়ে খাওয়া যায় না। আমার পেটে যদি ভাত না থাকে, ১০টা উড়াল সেতু বানান আমার তাতে কী আসে যায়।

তিনি আরো বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনেক দুঃখের সাথে বলেছেন, ইভিএম- ব্যালট কোনোটাই কাজে দেবে না যদি বিরোধী দল অংশ না নেয়, অর্থাৎ বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় সেটা কাজে দেবে না। কেউ মানবে না। সুতরাং একটাই দাবি, পদত্যাগ করো- আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করো।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কথা খুব সোজা, ১৪ বছর বহু জ্বালিয়েছেন এদেশের মানুষদের। এখন আপনাদের মানুষ দেখতে চায় না, আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় না। সোজাসুজি বলতে চাই, আমাদের সব কিছুকে আপনারা ধ্বংস করে দিয়েছেন, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছেন, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন, চুরি-দুর্নীতিকে জাতীয়করণ করেছেন। দয়া করে সরে পড়েন, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। মানুষ একটা ভোট দেক, ভোট দিয়ে মানুষ যাকে খুশি তাকে নির্বাচন করুক।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনেক দুঃখের সঙ্গে বলেছেন যে, ইভিএম-ব্যালট কোনোটাই কাজে দেবে না যদি বিরোধী দল অংশ নেয়, অর্থাৎ বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় সেটা কাজে দেবে না। কেউ মানবে না।

ফখরুল বলেন, এই জুলুমবাজ নির্যাতনকারী সরকারকে কেউ দেখতে চান না। আসুন, ইফতারের আগে আমরা আল্লাহ তালার কাছে এই দোয়া করবো তিনি যেন আমাদেরকে সেই শক্তি দেন, তৌফিক দেন যেন আমরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই অতি দানবকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

লালবাগের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন পিন্টুকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, লালবাগের মানুষ ঢাকার সবচেয়ে পুরনো মানুষ। আপনাদের এই এলাকায় অনেক নামকরা নেতা ছিলেন। সবশেষে আমাদের নাসিরউদ্দিন পিন্টু ভাই। আমাদের একজন ত্যাগী, সাহসী, বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন। এই সরকার তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে, জেলখানার মধ্যে হত্যা করেছে। এরকম কাস্টডিওতে বহু লোককে হত্যা করেছে, এই এলাকায় মানুষকে হত্যা করেছে, গুম করে নিয়ে গেছে।

লালবাগে ‘হৃদয় কমিউনিটি সেন্টারে’ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা হয়। এতে লালবাগ থানার নেতা-কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন।

মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে এই ইফতারে মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদসহ ওয়ার্ড নেতারা বক্তব্য রাখেন।

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

আ.লীগ সারাক্ষণ বিএনপিকে নিয়ে ‘দুঃস্বপ্ন’ দেখছে: ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১১:০৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সারাক্ষণ বিএনপিকে নিয়ে ‘দুঃস্বপ্ন’ দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) লালবাগে একটি কমিউনিটি সেন্টারে থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিলে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, বঙ্গবাজার পুড়ে গেছে-এই বাজার বড় লোকের বাজার নয়, সাধারণ মধ্যবিত্তদের বাজার। দুর্ভাগ্য আমাদের এর আগে সিদ্দিক বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ২২ জন মানুষ মারা গেলো.. এর আগে চট্টগ্রামে হয়েছে। কিন্তু এই সরকারের এসব ব্যাপারে কোনো মাথা-ব্যথা নেই। তারা উদোরপিন্ডি বুদোড় ঘাড়ে চাপাতে চায়। তারা নাকি এখন বলে যে, নাশকতার গন্ধ পায়। আওয়ামী লীগের অবস্থা হয়েছে যে, তারা সারাক্ষণ একটা দুঃস্বপ্ন দেখে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের দেয়ার কিছু নাই। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সমস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভোট দিতে পারছেন না। আপনারা জানেন ভোট আগের রাত্রে হয়ে গেছে, আর ওরা (আওয়ামী লীগ) সরকারে বসে গেছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভোটই হয়নি ১৫৩টি আসনে, নির্বাচিত ঘোষণা হয়ে গেল। আর প্রত্যেক কথায় কথায় তারা খালি বলে, উন্নয়ন করেছে। আমি এখানে আসার পথে দেখলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে লেখা ‘উন্নয়ন কি চুবাইয়ে খাবো? উন্নয়ন তো চিবাইয়ে খাওয়া যায় না। আমার পেটে যদি ভাত না থাকে, ১০টা উড়াল সেতু বানান আমার তাতে কী আসে যায়।

তিনি আরো বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনেক দুঃখের সাথে বলেছেন, ইভিএম- ব্যালট কোনোটাই কাজে দেবে না যদি বিরোধী দল অংশ না নেয়, অর্থাৎ বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় সেটা কাজে দেবে না। কেউ মানবে না। সুতরাং একটাই দাবি, পদত্যাগ করো- আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করো।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কথা খুব সোজা, ১৪ বছর বহু জ্বালিয়েছেন এদেশের মানুষদের। এখন আপনাদের মানুষ দেখতে চায় না, আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় না। সোজাসুজি বলতে চাই, আমাদের সব কিছুকে আপনারা ধ্বংস করে দিয়েছেন, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছেন, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন, চুরি-দুর্নীতিকে জাতীয়করণ করেছেন। দয়া করে সরে পড়েন, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। মানুষ একটা ভোট দেক, ভোট দিয়ে মানুষ যাকে খুশি তাকে নির্বাচন করুক।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনেক দুঃখের সঙ্গে বলেছেন যে, ইভিএম-ব্যালট কোনোটাই কাজে দেবে না যদি বিরোধী দল অংশ নেয়, অর্থাৎ বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় সেটা কাজে দেবে না। কেউ মানবে না।

ফখরুল বলেন, এই জুলুমবাজ নির্যাতনকারী সরকারকে কেউ দেখতে চান না। আসুন, ইফতারের আগে আমরা আল্লাহ তালার কাছে এই দোয়া করবো তিনি যেন আমাদেরকে সেই শক্তি দেন, তৌফিক দেন যেন আমরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই অতি দানবকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

লালবাগের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন পিন্টুকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, লালবাগের মানুষ ঢাকার সবচেয়ে পুরনো মানুষ। আপনাদের এই এলাকায় অনেক নামকরা নেতা ছিলেন। সবশেষে আমাদের নাসিরউদ্দিন পিন্টু ভাই। আমাদের একজন ত্যাগী, সাহসী, বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন। এই সরকার তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে, জেলখানার মধ্যে হত্যা করেছে। এরকম কাস্টডিওতে বহু লোককে হত্যা করেছে, এই এলাকায় মানুষকে হত্যা করেছে, গুম করে নিয়ে গেছে।

লালবাগে ‘হৃদয় কমিউনিটি সেন্টারে’ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা হয়। এতে লালবাগ থানার নেতা-কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন।

মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে এই ইফতারে মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদসহ ওয়ার্ড নেতারা বক্তব্য রাখেন।