Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত ২০

যশোর জেলা প্রতিনিধি : 

যশোরের কেশবপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে যানবাহন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে পারছিলেন না। গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি তাঁর লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে কিছু ব্যক্তি বাধা দেন। তাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের কয়েকজন হলেন- উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ গাজী (২৫), ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম (২০), রিয়াজুর রহমান (২৪), বিএনপি নেতা আফসার মোড়ল (৫০), ইব্রাহিম খলিল (২৪), নূর ইসলাম মোল্লা (৪৫), জালাল দফাদার (৩২), রোজিনা বেগম (৪০), আব্দুল মান্নান (৪৫) ও আব্দুল হামিদ শেখ (৫০)। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় আবারও ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর তার সমর্থকদের নিয়ে পরিষদে গেলে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।

সুফলাকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জি এম মহিউদ্দিন অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান মুনজুর রহমানের লোকজন অতর্কিতে হামলা চালিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের আহত করে। তিনি আরও বলেন, হামলার সময় তাঁর ব্যক্তিগত অফিসও ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর সমর্থকদের দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের ওপর আগে হামলা চালিয়েছিল। তাতে তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থলে কাচের বোতলের টুকরা পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত ২০

প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোর জেলা প্রতিনিধি : 

যশোরের কেশবপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে যানবাহন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে পারছিলেন না। গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি তাঁর লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে কিছু ব্যক্তি বাধা দেন। তাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের কয়েকজন হলেন- উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ গাজী (২৫), ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম (২০), রিয়াজুর রহমান (২৪), বিএনপি নেতা আফসার মোড়ল (৫০), ইব্রাহিম খলিল (২৪), নূর ইসলাম মোল্লা (৪৫), জালাল দফাদার (৩২), রোজিনা বেগম (৪০), আব্দুল মান্নান (৪৫) ও আব্দুল হামিদ শেখ (৫০)। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় আবারও ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর তার সমর্থকদের নিয়ে পরিষদে গেলে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।

সুফলাকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জি এম মহিউদ্দিন অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান মুনজুর রহমানের লোকজন অতর্কিতে হামলা চালিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের আহত করে। তিনি আরও বলেন, হামলার সময় তাঁর ব্যক্তিগত অফিসও ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর সমর্থকদের দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের ওপর আগে হামলা চালিয়েছিল। তাতে তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থলে কাচের বোতলের টুকরা পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।