Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ প্রতিনিধিদল ভারতে যাওয়ায় বিএনপির ঘুম নেই : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল ভারতে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের ঘুম নেই। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভারতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ থেকে নিয়ম অনুযায়ী ওরা (ভারত) আসলে আমরা যাই। চীনের সঙ্গেও এটা হয়েছে। এবার ভারতেও গেছে আমাদের প্রতিনিধি দল। আমাদের পক্ষ থেকে এটা নিয়ম আছে যে, প্রতিনিধি তাদেরও আসবে, আমাদেরও যাবে। করোনার কারণে আমরা নিয়মটা দেরিতে পালন করছি। ভারতে প্রতিনিধি যাওয়ার পর বিএনপি নেতাদের চোখে মুখে সারারাত দুঃচিন্তায় ঘুম নেই। আওয়ামী লীগ ভারতে গিয়ে আবার কী করছে সেই চিন্তা করে তাদের ঘুম নেই।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। কোনো বন্ধু আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না, ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। জনগণের সঙ্গে আমরা আছি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর জেল হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র আপনাদের (বিএনপি) হাতে নিরাপদ নয়। যারা খুনের মাস্টারমাইন্ড তাদের হাতে মুক্তিযুদ্ধ নিরাপদ নয়। তাদের হাতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিরাপদ নয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ফখরুল সাহেবের কাছে আমি আবারো জানতে চাই, একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকে? আপনি কেমন সুন্দর করে মিথ্যা বয়ান করেন। আপনার নেত্রীর ছয়টা জন্মদিন কেন, আমি সে জবাব পাইনি।

বঙ্গমাতাকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ নারী, তিনি বাংলার মহীয়সী নারী। বেগম মুজিব সম্পর্কে এবং তার বর্ণাঢ্য ইতিহাস সম্পর্কে তোমাদের মূল্যায়ন আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার সম্পর্কে তোমরা যথাযথই জেনেছো।

বাংলাদেশের ওপর বৈশ্বিক শক্তির প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে আজকে যারা মাতব্বর, মোড়ল গণতন্ত্রের মাতব্বর, মানবাধিকারের মাতব্বর, তাদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্র কেমন আছে? মানবাধিকার কেমন আছে? তাদের দেশে শতশত নারীর মৃত্যু হয়, শিশুর মৃত্যু হয়। সেখানে মানবাধিকারের পতাকা ভূলুণ্ঠিত কেন? যারা আমাদের পরামর্শ দেন, তারা কেন ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারেন না। দুষ্টু ছেলে ইসরায়েলকে কেউ কিছু বলে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে রাজনীতিটা কেমন হয়ে গেছে। আদর্শ কোথায়? গণতন্ত্র কেথায়? মূল্যবোধ কোথায়? মানবাধিকার কোথায়? মনে মনে ভাবি আর অবাক হই। গতকাল সিএনএনের একটা রিপোর্ট দেখছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ যত বাড়ছে, ততই তার পক্ষে জনমত বাড়ছে।

মানবাধিকার নিয়ে মার্কিনিদের কার্যক্রমের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যারা আমাদের গণতন্ত্রের শিক্ষা দেয়, ছবক দেয়; আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে যারা সমালোচনা করে- সেই দেশের এই অবস্থা দেখে ব্যক্তিগতভাবে অসহায়বোধ করলাম। এটা দেখে আমি অবাকই হয়েছি। বিশ্ব রাজনীতিতে আজ যারা গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের মাতবর তাদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্র আর মানবাধিকার কেমন আছে! তাদের দেশে মানবাধিকারের পতাকা ভূলুণ্ঠিত কেন? যারা আমাকে ছবক দেয় তারা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে না কেন? নাইজারের চলমান সংকটের কোনো সমাধান নেই, আমেরিকা আর ইউএন (জাতিসংঘ) কি পারছে সুদানের দুই প্রেসিডেন্টের কলহ বন্ধ করতে? দুষ্টু ছেলে ইসরায়েলকে তো কেউ কিছু বলেন না!

তিনি বলেন, আজ মার্কিন কিছু সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আর জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখেছেন যেন বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়। কিন্তু তাদের দেশের এই ধরনের ছবি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়।

বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের একটা দলের পাঁচজন মানুষকে কানাডা আশ্রয় দেয়নি। কারণ তাদের দল সন্ত্রাসী দল। তাদের এই দল বৈধভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে চায়। মির্জা ফখরুল কি আদালতের এ রায় দেখেননি? তিনি যখন লাফালাফি করেন, বড় বড় কথা বলেন, বেপরোয়া হয়ে মিথ্যাচার করেন, তখন তার দল সম্পর্কে পরপর পাঁচবার কানাডার আদালতের যে মন্তব্য- এই মন্তব্য কি তিনি উপলব্ধি করেন না? যদি করতেন তাহলে কি এমন হতো?

তিনি বলেন, এ বছর পৃথিবীর ২২ দেশে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশ কী এমন অপরাধী দেশ যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা আর জাতিসংঘ ঘুরে ঘুরে সবাই শুধু বাংলাদেশে আসে। আমরা কি বিপদে আছি? ঘুরে ফিরে সবাই শুধু এখানে আসে। নাইজারের খবরই নেই। সোমালিয়া, সুদান বা কঙ্গোর খবরই নেই। এসব নিয়ে কার কী মাথাব্যথা।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এখন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবনা এখনো আসেনি। কিন্তু এই সরকার জনগণের সরকার। বিবেকের সরকার। আমরা একটা কাজ করবো। এরপর এই সিদ্ধান্তটা সঠিক না বেঠিক সেটি আমি জনগণের কাছে শুনবো। সেখানে যদি কোনো কারেকশনের প্রয়োজন হয় সেটি আমি করে দেবো। এটাই জনগণের সরকার, এটাই শেখ হাসিনার সরকার। এ নিয়ে আবার তুচ্ছতাচ্ছিল্য শুরু করেছে! সাইবার অপরাধীদেরও মুক্ত করতে চান? ঢালাওভাবে এই আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয় সেজন্য নতুন করে রিকাস্ট হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের সহস্রাধিক নারী নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

আ.লীগ প্রতিনিধিদল ভারতে যাওয়ায় বিএনপির ঘুম নেই : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল ভারতে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের ঘুম নেই। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভারতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ থেকে নিয়ম অনুযায়ী ওরা (ভারত) আসলে আমরা যাই। চীনের সঙ্গেও এটা হয়েছে। এবার ভারতেও গেছে আমাদের প্রতিনিধি দল। আমাদের পক্ষ থেকে এটা নিয়ম আছে যে, প্রতিনিধি তাদেরও আসবে, আমাদেরও যাবে। করোনার কারণে আমরা নিয়মটা দেরিতে পালন করছি। ভারতে প্রতিনিধি যাওয়ার পর বিএনপি নেতাদের চোখে মুখে সারারাত দুঃচিন্তায় ঘুম নেই। আওয়ামী লীগ ভারতে গিয়ে আবার কী করছে সেই চিন্তা করে তাদের ঘুম নেই।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। কোনো বন্ধু আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না, ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। জনগণের সঙ্গে আমরা আছি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর জেল হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র আপনাদের (বিএনপি) হাতে নিরাপদ নয়। যারা খুনের মাস্টারমাইন্ড তাদের হাতে মুক্তিযুদ্ধ নিরাপদ নয়। তাদের হাতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিরাপদ নয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ফখরুল সাহেবের কাছে আমি আবারো জানতে চাই, একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকে? আপনি কেমন সুন্দর করে মিথ্যা বয়ান করেন। আপনার নেত্রীর ছয়টা জন্মদিন কেন, আমি সে জবাব পাইনি।

বঙ্গমাতাকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ নারী, তিনি বাংলার মহীয়সী নারী। বেগম মুজিব সম্পর্কে এবং তার বর্ণাঢ্য ইতিহাস সম্পর্কে তোমাদের মূল্যায়ন আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার সম্পর্কে তোমরা যথাযথই জেনেছো।

বাংলাদেশের ওপর বৈশ্বিক শক্তির প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে আজকে যারা মাতব্বর, মোড়ল গণতন্ত্রের মাতব্বর, মানবাধিকারের মাতব্বর, তাদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্র কেমন আছে? মানবাধিকার কেমন আছে? তাদের দেশে শতশত নারীর মৃত্যু হয়, শিশুর মৃত্যু হয়। সেখানে মানবাধিকারের পতাকা ভূলুণ্ঠিত কেন? যারা আমাদের পরামর্শ দেন, তারা কেন ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারেন না। দুষ্টু ছেলে ইসরায়েলকে কেউ কিছু বলে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে রাজনীতিটা কেমন হয়ে গেছে। আদর্শ কোথায়? গণতন্ত্র কেথায়? মূল্যবোধ কোথায়? মানবাধিকার কোথায়? মনে মনে ভাবি আর অবাক হই। গতকাল সিএনএনের একটা রিপোর্ট দেখছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ যত বাড়ছে, ততই তার পক্ষে জনমত বাড়ছে।

মানবাধিকার নিয়ে মার্কিনিদের কার্যক্রমের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যারা আমাদের গণতন্ত্রের শিক্ষা দেয়, ছবক দেয়; আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে যারা সমালোচনা করে- সেই দেশের এই অবস্থা দেখে ব্যক্তিগতভাবে অসহায়বোধ করলাম। এটা দেখে আমি অবাকই হয়েছি। বিশ্ব রাজনীতিতে আজ যারা গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের মাতবর তাদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্র আর মানবাধিকার কেমন আছে! তাদের দেশে মানবাধিকারের পতাকা ভূলুণ্ঠিত কেন? যারা আমাকে ছবক দেয় তারা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে না কেন? নাইজারের চলমান সংকটের কোনো সমাধান নেই, আমেরিকা আর ইউএন (জাতিসংঘ) কি পারছে সুদানের দুই প্রেসিডেন্টের কলহ বন্ধ করতে? দুষ্টু ছেলে ইসরায়েলকে তো কেউ কিছু বলেন না!

তিনি বলেন, আজ মার্কিন কিছু সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আর জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখেছেন যেন বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়। কিন্তু তাদের দেশের এই ধরনের ছবি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়।

বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের একটা দলের পাঁচজন মানুষকে কানাডা আশ্রয় দেয়নি। কারণ তাদের দল সন্ত্রাসী দল। তাদের এই দল বৈধভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে চায়। মির্জা ফখরুল কি আদালতের এ রায় দেখেননি? তিনি যখন লাফালাফি করেন, বড় বড় কথা বলেন, বেপরোয়া হয়ে মিথ্যাচার করেন, তখন তার দল সম্পর্কে পরপর পাঁচবার কানাডার আদালতের যে মন্তব্য- এই মন্তব্য কি তিনি উপলব্ধি করেন না? যদি করতেন তাহলে কি এমন হতো?

তিনি বলেন, এ বছর পৃথিবীর ২২ দেশে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশ কী এমন অপরাধী দেশ যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা আর জাতিসংঘ ঘুরে ঘুরে সবাই শুধু বাংলাদেশে আসে। আমরা কি বিপদে আছি? ঘুরে ফিরে সবাই শুধু এখানে আসে। নাইজারের খবরই নেই। সোমালিয়া, সুদান বা কঙ্গোর খবরই নেই। এসব নিয়ে কার কী মাথাব্যথা।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এখন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবনা এখনো আসেনি। কিন্তু এই সরকার জনগণের সরকার। বিবেকের সরকার। আমরা একটা কাজ করবো। এরপর এই সিদ্ধান্তটা সঠিক না বেঠিক সেটি আমি জনগণের কাছে শুনবো। সেখানে যদি কোনো কারেকশনের প্রয়োজন হয় সেটি আমি করে দেবো। এটাই জনগণের সরকার, এটাই শেখ হাসিনার সরকার। এ নিয়ে আবার তুচ্ছতাচ্ছিল্য শুরু করেছে! সাইবার অপরাধীদেরও মুক্ত করতে চান? ঢালাওভাবে এই আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয় সেজন্য নতুন করে রিকাস্ট হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের সহস্রাধিক নারী নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।