Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের নতুন কমিটির উদ্যোগে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার (আওয়ামী লীগ) নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তার দাবি, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। তাদের পুরোনো লক্ষ্য বাকশালের ন্যায় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সেই লক্ষ্যে তারা ২০১৪ সালের নির্বাচনকে একটা প্রহসনে পরিণত করেছে, যেখানে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। একইভাবে ২০১৮ সালেও আগের রাতে ভোট দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ সেখানেও অংশ গ্রহণ করেনি। এমনকি আপনারা লক্ষ্য করেছেন- স্থায়ী সরকার নির্বাচনগুলোতে জনগণ অংশ নিচ্ছে না। অতি সম্প্রতি যে ভোট হয়েছে, সেখানে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে গেছে। কাজেই জনগণ, বিশ্ববাসী বোঝে এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনও সুষ্ঠু ভোট হবে না। তাই জনগণ এ নির্বাচনেও অংশ নেবে না।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জনগণ ভোট দিতে যায়নি। সাম্প্রতিক যে নির্বাচন হয়ে গেল সেখানে ১৪ পার্সেন্ট লোক ভোট দিয়েছে। কারণ জনগণ বোঝে, বিদেশীরা বোঝে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিনই সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে না। এবার জনগণ জেগে উঠেছে। বিশ্বাস করি, এবার জনগণ দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করবে। দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।

জনগণ বোঝে, বিদেশীরা বোঝে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিনই সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এবার জনগণ জেগে উঠেছে। বিশ্বাস করি, এবার জনগণ দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করবে। দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করে নেয়া হয়েছে। একটা ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে, জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে।

খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে কারাদণ্ড দিয়ে গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার আমাদের দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে রেখেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। তিনি প্রবাসে থেকেও আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন গণতন্ত্রের উদ্ধারের জন্য। আমাদের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। তাদের প্রায়ই কারাগারে যেতে হচ্ছে ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

মহাসচিব বলেন, আমাদের অগণিত নেতাকর্মী কারাগারে আছেন। মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছেন। দেশের সত্যিকার অর্থে একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে জনগণের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দল যেন ভূমিকা পালন করে, যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছে তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায় স্বেচ্ছাসেবক সেবক দল সেই শপথ নিয়েছে। আন্দোলনকে বেগবান করে এই সরকারের পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে। সত্যিকার অর্থে একটি গণতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। এদেশের জনগণকে মুক্ত করবে এই শপথ নিয়েছে।

সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যাচ্ছি না। বিশেষ করে সিটি নির্বাচনে মেয়র বলেন বা কাউন্সিলর বলেন কোনো পদেই আমাদের দল অংশগ্রহণ করবে না।

এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শারাফাত আলী অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

আ.লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১২:৫০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের নতুন কমিটির উদ্যোগে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার (আওয়ামী লীগ) নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তার দাবি, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। তাদের পুরোনো লক্ষ্য বাকশালের ন্যায় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সেই লক্ষ্যে তারা ২০১৪ সালের নির্বাচনকে একটা প্রহসনে পরিণত করেছে, যেখানে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। একইভাবে ২০১৮ সালেও আগের রাতে ভোট দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ সেখানেও অংশ গ্রহণ করেনি। এমনকি আপনারা লক্ষ্য করেছেন- স্থায়ী সরকার নির্বাচনগুলোতে জনগণ অংশ নিচ্ছে না। অতি সম্প্রতি যে ভোট হয়েছে, সেখানে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে গেছে। কাজেই জনগণ, বিশ্ববাসী বোঝে এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনও সুষ্ঠু ভোট হবে না। তাই জনগণ এ নির্বাচনেও অংশ নেবে না।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জনগণ ভোট দিতে যায়নি। সাম্প্রতিক যে নির্বাচন হয়ে গেল সেখানে ১৪ পার্সেন্ট লোক ভোট দিয়েছে। কারণ জনগণ বোঝে, বিদেশীরা বোঝে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিনই সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে না। এবার জনগণ জেগে উঠেছে। বিশ্বাস করি, এবার জনগণ দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করবে। দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।

জনগণ বোঝে, বিদেশীরা বোঝে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিনই সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এবার জনগণ জেগে উঠেছে। বিশ্বাস করি, এবার জনগণ দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করবে। দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করে নেয়া হয়েছে। একটা ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে, জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে।

খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে কারাদণ্ড দিয়ে গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার আমাদের দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে রেখেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। তিনি প্রবাসে থেকেও আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন গণতন্ত্রের উদ্ধারের জন্য। আমাদের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। তাদের প্রায়ই কারাগারে যেতে হচ্ছে ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

মহাসচিব বলেন, আমাদের অগণিত নেতাকর্মী কারাগারে আছেন। মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছেন। দেশের সত্যিকার অর্থে একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে জনগণের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দল যেন ভূমিকা পালন করে, যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছে তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায় স্বেচ্ছাসেবক সেবক দল সেই শপথ নিয়েছে। আন্দোলনকে বেগবান করে এই সরকারের পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে। সত্যিকার অর্থে একটি গণতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। এদেশের জনগণকে মুক্ত করবে এই শপথ নিয়েছে।

সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যাচ্ছি না। বিশেষ করে সিটি নির্বাচনে মেয়র বলেন বা কাউন্সিলর বলেন কোনো পদেই আমাদের দল অংশগ্রহণ করবে না।

এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শারাফাত আলী অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।