Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ. লীগের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ প্রতারিত হয়েছে : ১২ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ প্রতারিত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে চায় তারা। জনগণ এই নির্বাচন বর্জন করবে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে অবরোধের সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর ঘুরে পুনরায় পল্টন মোড় এসে শেষ হয়। এ সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্যে নেতারা এসব কথা বলেন।

জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য হুমকি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভারতের কাছে দেশ ইজারা দিয়েছে তারা। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার দেশ বিক্রির গোপন চুক্তি চূড়ান্ত করবে।

তারা বলেন, দেশবাসীকে হুঁশিয়ার থাকতে হবে। আপনারা ভোট বর্জন করবেন। এই সরকারের অধীনে দেশ-জাতি নিরাপদ নয়। সময় সমাগত, এই সরকারকে বিদায় করতে সর্বস্তরের জনগণকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

তারা আরো বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনার অধীনে পাতানো-সাজানো নির্বাচন করতে দেওয়া হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ, আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় রাজনীতির জন্য মহাবিপদ ডেকে আনবে। আওয়ামী লীগের গত পনের বছরের শাসনামলে অগণিত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক, আলেম ওলামা ও অসংখ্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়েছে তারা। দর্জি কর্মচারী বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ কুপিয়ে হত্যা করেছে। সুতরাং, এই সরকারের অধীনে দেশ-জাতি নিরাপদ নয়। তাই, সময় সমাগত, এই সরকারকে চূড়ান্ত বিদায় করতে সর্বস্তরের জনগণকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকারের সময় একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। ক্ষমতায় থাকার আর সুযোগ নাই। তিনি জনগণকে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের পাতানো ডামি নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নির্বাচন বর্জন করুন। ইনশাআল্লাহ, এবার জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, এই সরকারের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ প্রতারিত হয়েছে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। মামলা-হামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে আটক রেখে এখন আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে চায় তারা। ৭ তারিখ জনগণ এই নির্বাচন বর্জন করবে, ইনশাআল্লাহ।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য গত পনের বছর ধরে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীদের নাশকতাকারী কারাগারে এবং দাঁড়ি-টুপি ওয়ালাদের জঙ্গি বানিয়ে বিশ্বের কাছে ‘মিথ্যা বুলি’ বিক্রি করেছে। তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভারতের কাছে বাংলাদেশ ইজারা দিয়েছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর হাসিনা সরকার দেশ বিক্রির গোপন চুক্তি চূড়ান্ত করবে। দেশবাসী হুঁশিয়ার থাকবেন। আপনার ভোট বর্জন করবেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা’র সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ খান বাবলু, কাজী মো. নজরুল, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, মিজানুর রহমান পিন্টু, শেখ ফরিদ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম সানি, বাংলা জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, মো. আবদুল মনসুর, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, আবু ইউসুফ সুমন, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, যুব জাগপা’র নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সারা দেশে সর্বাত্মক গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে ১২ দলীয় জোট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আ. লীগের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ প্রতারিত হয়েছে : ১২ দল

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ প্রতারিত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে চায় তারা। জনগণ এই নির্বাচন বর্জন করবে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে অবরোধের সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর ঘুরে পুনরায় পল্টন মোড় এসে শেষ হয়। এ সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্যে নেতারা এসব কথা বলেন।

জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য হুমকি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভারতের কাছে দেশ ইজারা দিয়েছে তারা। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার দেশ বিক্রির গোপন চুক্তি চূড়ান্ত করবে।

তারা বলেন, দেশবাসীকে হুঁশিয়ার থাকতে হবে। আপনারা ভোট বর্জন করবেন। এই সরকারের অধীনে দেশ-জাতি নিরাপদ নয়। সময় সমাগত, এই সরকারকে বিদায় করতে সর্বস্তরের জনগণকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

তারা আরো বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনার অধীনে পাতানো-সাজানো নির্বাচন করতে দেওয়া হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ, আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় রাজনীতির জন্য মহাবিপদ ডেকে আনবে। আওয়ামী লীগের গত পনের বছরের শাসনামলে অগণিত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক, আলেম ওলামা ও অসংখ্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়েছে তারা। দর্জি কর্মচারী বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ কুপিয়ে হত্যা করেছে। সুতরাং, এই সরকারের অধীনে দেশ-জাতি নিরাপদ নয়। তাই, সময় সমাগত, এই সরকারকে চূড়ান্ত বিদায় করতে সর্বস্তরের জনগণকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকারের সময় একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। ক্ষমতায় থাকার আর সুযোগ নাই। তিনি জনগণকে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের পাতানো ডামি নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নির্বাচন বর্জন করুন। ইনশাআল্লাহ, এবার জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, এই সরকারের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ প্রতারিত হয়েছে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। মামলা-হামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে আটক রেখে এখন আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে চায় তারা। ৭ তারিখ জনগণ এই নির্বাচন বর্জন করবে, ইনশাআল্লাহ।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য গত পনের বছর ধরে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীদের নাশকতাকারী কারাগারে এবং দাঁড়ি-টুপি ওয়ালাদের জঙ্গি বানিয়ে বিশ্বের কাছে ‘মিথ্যা বুলি’ বিক্রি করেছে। তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভারতের কাছে বাংলাদেশ ইজারা দিয়েছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর হাসিনা সরকার দেশ বিক্রির গোপন চুক্তি চূড়ান্ত করবে। দেশবাসী হুঁশিয়ার থাকবেন। আপনার ভোট বর্জন করবেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা’র সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ খান বাবলু, কাজী মো. নজরুল, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, মিজানুর রহমান পিন্টু, শেখ ফরিদ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম সানি, বাংলা জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, মো. আবদুল মনসুর, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, আবু ইউসুফ সুমন, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, যুব জাগপা’র নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সারা দেশে সর্বাত্মক গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে ১২ দলীয় জোট।