Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আহতদের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন : ঢামেক পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকার একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদের জন্য সব ধরনের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছি। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, আমাদের এখানে ২০ জন ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমাদের এখানে ১৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। শেখ হাসিনা বার্নে ৯ জন ভর্তি আছেন। গতকাল বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। আমরা আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এর মধ্যে আইসিইউতে থাকা রাজন ছাড়া বাকিদের সবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ঢামেক হাসপাতালে এখন পর্যন্ত পৌনে ২শ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব রোগীর মধ্যে রাজন ছাড়া বাকিরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তারা ফলোআপের জন্য চিকিৎসা নিতে আসবেন। আমরা এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ পেয়েছি।

তিনি বলেন, আইসিইউতে থাকা রাজনের বুধবার (৮ মার্চ) অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। আমরা তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছি। বোর্ডে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা রয়েছেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিক বাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। পরে সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ঘটনার দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। এরপর বুধবার আবারও দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ চলে। বুধবার বিকেলে ভবনের বেজমেন্ট থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করায় বুধবার রাত পর্যন্ত ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মুসা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয় এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবনের ভেতর থেকে নিখোঁজ স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ জনে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আহতদের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন : ঢামেক পরিচালক

প্রকাশের সময় : ০২:৩১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকার একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদের জন্য সব ধরনের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছি। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, আমাদের এখানে ২০ জন ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমাদের এখানে ১৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। শেখ হাসিনা বার্নে ৯ জন ভর্তি আছেন। গতকাল বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। আমরা আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এর মধ্যে আইসিইউতে থাকা রাজন ছাড়া বাকিদের সবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ঢামেক হাসপাতালে এখন পর্যন্ত পৌনে ২শ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব রোগীর মধ্যে রাজন ছাড়া বাকিরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তারা ফলোআপের জন্য চিকিৎসা নিতে আসবেন। আমরা এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ পেয়েছি।

তিনি বলেন, আইসিইউতে থাকা রাজনের বুধবার (৮ মার্চ) অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। আমরা তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছি। বোর্ডে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা রয়েছেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিক বাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। পরে সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ঘটনার দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। এরপর বুধবার আবারও দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ চলে। বুধবার বিকেলে ভবনের বেজমেন্ট থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করায় বুধবার রাত পর্যন্ত ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মুসা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয় এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবনের ভেতর থেকে নিখোঁজ স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ জনে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক।