Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি

সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারীসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নয়ানগর এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নয়ানগর এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১২টায় দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

দগ্ধরা হলেন- মো. সাদিকুল (২৮), মো. হাশেম আলী (৪০), মোছা. সাবিনা বেগম (৪০), মো. নজরুল ইসলাম (৪৫), মো. মহসিন (২৭) ও মোছা. কমলা বেগম (৫০)।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মধ্যরাতে আশুলিয়া থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ ছয়জনকে আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে কমলা বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ, সাবিনা বেগমের শরীরের ৫০ শতাংশ, সাদিকুল ইসলামের শরীরের ৫০ শতাংশ, হাসেম আলীর শরীরের ৪৫ শতাংশ, নজরুল ইসলামের শরীরের ৪৫ শতাংশ ও মহসিনের শরীরের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

সবাই জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান তিনি।

তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ভাবি সাবিনা পোশাক কারখানায় কাজ করেন। রাতে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে গিয়ে দেখি সাবিনাসহ আরও কয়েকজন দগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

দগ্ধ সাবিনার স্বামী মোতালেব হোসেন জানান, এই এলাকার শফিকের সেমি পাকা বাড়িতে অনেকেই ভাড়া থাকেন। রাতে কাপড়ের দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলাম এই সময় হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনতে পাই। বাসায় গিয়ে দেখি আরো কয়েকটি ঘরে আগুন জ্বলছে এবং প্রচণ্ড দোয়া বের হচ্ছে। আশেপাশে ভাড়াটিয়াদের সহযোগিতায় আমার স্ত্রীসহ ছয়জনকে বের করে আনা হয়। পরে তাদেরকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এখানে সবাই গ্যাসের সিলিন্ডারে রান্না করে। ধারণা করা হচ্ছে- গ্যাসের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস জানায়, গতকাল রাতে ওই বাসায় রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। পরে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় একাধিক পরিবারের প্রায় ৬ জন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, ধারণা করছি- গ্যাস সিলিন্ডারের ক্যাপের লিকেজ থেকেই গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল। রান্নার সময় আগুনের স্পর্শ পেতেই তা নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি

সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারীসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নয়ানগর এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নয়ানগর এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১২টায় দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

দগ্ধরা হলেন- মো. সাদিকুল (২৮), মো. হাশেম আলী (৪০), মোছা. সাবিনা বেগম (৪০), মো. নজরুল ইসলাম (৪৫), মো. মহসিন (২৭) ও মোছা. কমলা বেগম (৫০)।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মধ্যরাতে আশুলিয়া থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ ছয়জনকে আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে কমলা বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ, সাবিনা বেগমের শরীরের ৫০ শতাংশ, সাদিকুল ইসলামের শরীরের ৫০ শতাংশ, হাসেম আলীর শরীরের ৪৫ শতাংশ, নজরুল ইসলামের শরীরের ৪৫ শতাংশ ও মহসিনের শরীরের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

সবাই জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান তিনি।

তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ভাবি সাবিনা পোশাক কারখানায় কাজ করেন। রাতে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে গিয়ে দেখি সাবিনাসহ আরও কয়েকজন দগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

দগ্ধ সাবিনার স্বামী মোতালেব হোসেন জানান, এই এলাকার শফিকের সেমি পাকা বাড়িতে অনেকেই ভাড়া থাকেন। রাতে কাপড়ের দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলাম এই সময় হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনতে পাই। বাসায় গিয়ে দেখি আরো কয়েকটি ঘরে আগুন জ্বলছে এবং প্রচণ্ড দোয়া বের হচ্ছে। আশেপাশে ভাড়াটিয়াদের সহযোগিতায় আমার স্ত্রীসহ ছয়জনকে বের করে আনা হয়। পরে তাদেরকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এখানে সবাই গ্যাসের সিলিন্ডারে রান্না করে। ধারণা করা হচ্ছে- গ্যাসের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস জানায়, গতকাল রাতে ওই বাসায় রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। পরে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় একাধিক পরিবারের প্রায় ৬ জন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, ধারণা করছি- গ্যাস সিলিন্ডারের ক্যাপের লিকেজ থেকেই গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল। রান্নার সময় আগুনের স্পর্শ পেতেই তা নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।