Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশপাশে সড়ক-বাড়িঘরও নেই, অথচ সেখানে নির্মাণ লাখ সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জেলার বিভিন্ন স্থানে সেতুর দরকার অথচ সেতু নেই কিন্তু এর উল্টো ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচর গ্রামে। আশপাশে সড়ক নেই, বাড়িঘরও নেই, অথচ সেখানে সেতু নির্মাণে সরকারের লাখ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি উপজেলা প্রকৌশলীর স্থান নির্বাচনে ভুলের কারণে সেতুটি জনগণের কাজে আসছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচর গ্রামের খালের উপর ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। আশপাশে নেই বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট।

তারা বলছেন, অযথাই সরকারি অর্থের অপচয় করা হয়েছে। মানুষেরই যদি কাজে না লাগে তাহলে এসব সেতু নির্মাণ করা হলো কেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেতুর ওপারে প্রভাবশালী এক ঠিকাদার গরুর ফার্ম করবেন, তাই আগেভাগে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেতুটি তেমন কাজে আসবে না গ্রামবাসীর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, খালের ওপারে প্রভাবশালী এক ঠিকাদার অনেক জমি কিনেছেন। ওখানে নাকি গরুর ফার্ম করবেন। তাই আগেভাগে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেতু নির্মাণের আগে উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে স্থান নির্বাচন ও সেতুর প্রয়োনীয়তা সম্পর্কিত তথ্যসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এরপর অনুমোদন হলে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এরপর সেতু নিমাণ করা হয়।

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ লাখ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ ট্রেডার্স কাজ সম্পন্ন করেছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আকতার হোসেন বাবুল বলেন, আমি টেন্ডারে পেয়ে কাজ করেছি। স্থান নির্বাচন করে আমাকে সাইড বুঝিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার। আমার দায় কাজের গুণগত মান নিয়ে। এই সেতু দিয়ে লোক চলাচল না করার দায়ভার আমার নয়।

খোয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য দবির মালত বলেন, আমাদের এলাকায় অনেক স্থানে সেতু দরকার কিন্তু নেই। একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে বাড়িঘর নেই, রাস্তাঘাটও নেই। সেতু নির্মাণ হবে সেটাও আমরা জানতাম না।

একই রকম বক্তব্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল মোল্লার। তিনি বলেন, ওখানে সেতু নির্মাণরে বিষয়টি আমরা জানতাম না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুদ্দিন বলেন, সরকারের অর্থ কাজে আসবে না এমন স্থানে সেতু নির্মাণ করার কথা নয়। সেতু নির্মাণের আগে স্থান নির্বাচন করা হয়।’ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মব জাস্টিস সরকার কোনোভাবেই বরদাশত করে না : রিজওয়ানা হাসান

আশপাশে সড়ক-বাড়িঘরও নেই, অথচ সেখানে নির্মাণ লাখ সেতু

প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জেলার বিভিন্ন স্থানে সেতুর দরকার অথচ সেতু নেই কিন্তু এর উল্টো ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচর গ্রামে। আশপাশে সড়ক নেই, বাড়িঘরও নেই, অথচ সেখানে সেতু নির্মাণে সরকারের লাখ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি উপজেলা প্রকৌশলীর স্থান নির্বাচনে ভুলের কারণে সেতুটি জনগণের কাজে আসছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচর গ্রামের খালের উপর ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। আশপাশে নেই বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট।

তারা বলছেন, অযথাই সরকারি অর্থের অপচয় করা হয়েছে। মানুষেরই যদি কাজে না লাগে তাহলে এসব সেতু নির্মাণ করা হলো কেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেতুর ওপারে প্রভাবশালী এক ঠিকাদার গরুর ফার্ম করবেন, তাই আগেভাগে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেতুটি তেমন কাজে আসবে না গ্রামবাসীর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, খালের ওপারে প্রভাবশালী এক ঠিকাদার অনেক জমি কিনেছেন। ওখানে নাকি গরুর ফার্ম করবেন। তাই আগেভাগে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেতু নির্মাণের আগে উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে স্থান নির্বাচন ও সেতুর প্রয়োনীয়তা সম্পর্কিত তথ্যসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এরপর অনুমোদন হলে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এরপর সেতু নিমাণ করা হয়।

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ লাখ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ ট্রেডার্স কাজ সম্পন্ন করেছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আকতার হোসেন বাবুল বলেন, আমি টেন্ডারে পেয়ে কাজ করেছি। স্থান নির্বাচন করে আমাকে সাইড বুঝিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার। আমার দায় কাজের গুণগত মান নিয়ে। এই সেতু দিয়ে লোক চলাচল না করার দায়ভার আমার নয়।

খোয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য দবির মালত বলেন, আমাদের এলাকায় অনেক স্থানে সেতু দরকার কিন্তু নেই। একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে বাড়িঘর নেই, রাস্তাঘাটও নেই। সেতু নির্মাণ হবে সেটাও আমরা জানতাম না।

একই রকম বক্তব্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল মোল্লার। তিনি বলেন, ওখানে সেতু নির্মাণরে বিষয়টি আমরা জানতাম না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুদ্দিন বলেন, সরকারের অর্থ কাজে আসবে না এমন স্থানে সেতু নির্মাণ করার কথা নয়। সেতু নির্মাণের আগে স্থান নির্বাচন করা হয়।’ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।