আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার পর গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সব রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় নাসের হাসপাতালের পরিচালক পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানান।
এর আগে গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছিল, আল-শিফার আইসিইউতে থাকা ৬৩ রোগীর ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার মাত্র দুদিনের মাথায় বাকি সব রোগী মারা গেলেন।
হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মাদ আবু সালমিয়া বলেন, হাসপাতালে ভেতরে সাত হাজার মানুষ আটকা আছেন। চিকিৎসকরা এখনো রোগীদের চিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলেছেন। ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি বড় কারাগার ও গণকবরে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালটি ঘেরাও করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এখন আমাদের কাছে কিছুই নেই। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার, পানি কিছুই নেই। প্রতিমুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
পরিস্থিতি খুবই বেদনাদায়ক উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আল-শিফা হাসপাতালকে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ঘাঁটি বানিয়েছে। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ মোখল্লালতি জানান, বাধ্য হয়ে তারা হাসপাতাল চত্বরেই মরদেহ দাফন করছেন।
আল-শিফা হাসপাতালে হামাস যোদ্ধাদের গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে, এমন দাবি করে হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলের সেনারা। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের এ দাবিকে নাকচ করে দেওয়া হয়।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) ইসরায়েলি সেনারা আকস্মিকভাবে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর এই হাসপাতাল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। যদিও ইসরায়েলের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে হামাস।