আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরায়েলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার স্থানীয় ব্যুরো বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী শালোমা কারহি। হামাসের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ ও ইসরায়েলি সেনাদের সম্ভাব্য আক্রমণের তথ্য ফাঁসের অভিযোগ তুলে সংবাদমাধ্যটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি আল জাজিরা বা কাতার সরকার।
রোববার (১৫ অক্টোবর) ইসরায়েলের বেতার সংবাদমাধ্যম আর্মি রেডিওর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আর্মি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলে আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। বিষয়টি ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আইন বিশেষজ্ঞরা যাচাই-বাছাই করছেন। বিষয়টি রোববার (১৫ অক্টোবর) দেশের মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।
শালোমা কারহি জানান, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর দিন থেকে হামাসঘেঁষা সংবাদ পরিবেশ করে আসছে আলজাজিরা নিউজ। ইতিমধ্যে এই সংবাদমাধ্যমটির ইসরায়েল কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার একটি প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছেন। তাদের যাচাই শেষ হলে এটি মন্ত্রিসভায় তোলা হবে বলে জানিয়েছেন শালোমা।
আর্মি রেডিওকে ইসরায়েলের তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই নিউজ স্টেশনটি নিয়মিত উসকানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে এবং এসব সংবাদ ইসরায়েলের নাগরিকদের বিরুদ্ধে বাইরের দেশের অনেক মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। আলজাজিরা যতখানি সংবাদমাধ্যম, তারচেয়েও অনেক বেশি প্রোপাগান্ডা মাউথপিস। নিজেদের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম হিসেবে দাবি করা একটি নিউজ স্টেশন হামাসের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে— এটা অগ্রহণযোগ্য। আশা করছি, শিগগিরই এ ব্যাপারে আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।
তবে ইসরায়েলের এমন দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত আলজাজিরা বা কাতার সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
আল-জাজিরার প্রতি ইসরায়েলের এই ক্ষোভ নতুন নয়। এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ওই সময় বোমা হামলা চালিয়ে আলজাজিরার গাজা উপত্যকার ব্যুরো কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ইসরায়েল।